পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম অধ্যায় । ... .. দক্ষিণ বাঙ্গালার সমুদ্রতীর পর্য্যন্ত অরণ্যানিপূর্ণ তাবৎ ভূভাগকে সমতট । প্রদেশ” বলিয়া উল্লেখ করা হইয়াছে। চীন দেশীয় ভ্রমণকারী, ইতিহাস-প্রসিদ্ধ হুয়েন-সাং, ভারতবর্যের সমসাময়িক অবস্থার কথা, তাহার লিখিত-বৃত্তান্তে লিপিবদ্ধ করিয়া—সেই অন্ধতমসময় যুগের ইতিহাস-রক্ষার অনেক সহায়তা করিয়াছেন। হুয়েন-সাং যখন বাঙ্গালায় আসেন, তখন ইহা পাচটা প্রদেশে বিভক্ত ছিল । র্তাহার মতে, তৎকালে বঙ্গের উত্তরে পৌণ্ড, উত্তর পূৰ্ব্বে কামরূপ, পূৰ্ব্বে সমতট, দক্ষিণ পশ্চিমে তাম্রলিপ্ত ও পশ্চিমে কর্ণসুবর্ণ বিভাগ ছিল । তাহার লিখিত বিবরণ হইতে জানা যায়, যে তাম্রলিপ্ত ( বৰ্ত্তমান মেদিনীপুর ) হইতে দক্ষিণের সমগ্র সমতটভূমি-সম্পূর্ণরূপে জনশূন্ত ছিল। সুপ্রসিদ্ধ প্রত্নতত্ত্বজ্ঞ, পাশ্চাত্য পণ্ডিত শিরোমণি, ডাক্তার কনিংহাম বলেন, খ্ৰীঃ পূৰ্ব্ব পঞ্চম অথবা ষষ্ঠ শতাব্দী হইতেই আমরা ভারতের নানা স্থানের ভৌগলিক অবস্থা সম্বন্ধে নানা কথা জানিতে পারি। ইহার পূৰ্ব্বের ঘটনা, কুহেলিক-জালে সমাবৃত। বুদ্ধদেবের সমসাময়িক লিখিত বিবরণের সহায়তায়, ভারতের প্রাচীনতম স্থানের অনেক বিবরণ অবগত হওয়া যায়। এই সমস্ত কাহিনী হইতে, আমরা দক্ষিণে রাজগৃহ, গয়া প্রভৃতির কথা জানিতে পারি। আলেকজান্দার যখন ভারতবর্য আক্রমণ করেন, সেই সময়ে পাটলী-পুত্র বা পাটনার কথা জানিতে পারা যায়। জনকপুর, শ্রাবস্তী, কুশী নগর, কপিলাবস্তু প্রভৃতি নগরীগুলি, নেপাল তিরায়ের পর্বতশ্রেণীর অধিকৃত নিম্ন সমতল ভূভাগেই স্থাপিত হইয়াছিল । খৃষ্টের ছয় হইতে দশম শতাব্দীর মধ্যে, পাটনার দক্ষিণ প্রদেশ গুলির যথেষ্ট উন্নতি সাধিত হয় । ইহার কয়েক শতাব্দী পরে, আমরা গৌড় নগরীর নামোল্লেখ দেখিতে পাই । ১৬৮৪ খৃঃ অব্দে গৌড়ের ধ্বংশের সহিত তাণ্ডায় বঙ্গের রাজধানী স্থাপিত হয় । তৎপরে ১৭০৪ খ্ৰীঃ অব্দে মুরশীদকুলি থা—মুরশীদাবাদ প্রতিষ্ঠা করেন। পণ্ডিতবর কনিংহামের মতে, সমস্ত বঙ্গদেশের এইরূপ উন্নত ও জনপূর্ণ অবস্থায় উপনীত হইতে তিন চারি সহস্ৰ বৎসর লাগিয়াছে । * প্রত্নতত্ত্ববিৎ পণ্ডিতেরা সিদ্ধান্ত করিয়াছেন, আজকাল যে কলিকাতা “সৌধময়ী—নগরী” বা City of Palaces বলিয়া এত গৌরবান্বিত, সহস্ৰাধিক বৎসর পূৰ্ব্বে তাহার চিহ্নমাত্র ছিল না। সমুদ্রের অনন্তু সলিলগর্ভে Journal of the Geologic), Society of London. VOXXI 1869. து