পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/২৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'సి' কলিকাতা সেকালের ও একালের پستہ تھ= রাজভবন ছিল, সেই স্থানে উডিষ্যায় মোগল সুবাদার, আগামহম্মদ করিতেছিলেন। ক্ৰটন ও র্তাহার সঙ্গীরা নবাবের আগমন প্রতীক্ষায় রহিলেন । ৯ দেশে আর কখনও কেহ ইংরাজ দেখে নাই। কাজেই “সাদালোক” দেtি তাহারা একদৃষ্টে চাহিয়া থাকে। কিয়ৎক্ষণ পরে, নবাবের ভূত্যের কাপেট পাতিয়া দিল। সেই কাপেটের উপর মছলন্দের বিছানা ও স্বর্ণ-খচিত তাকিয়া পড়িল। ইহাই নবাবের বসিবার আসন । চারিট স্বর্ণদণ্ডে পরিধূত, মখমলের চন্দ্ৰাতপ সেই স্থানে খাটান হইল । কিয়ৎক্ষণ পরে একটা রব উঠিল, নবাব-সাহেব দরবারে আসিতেছেন। সকলে সন্মানের সহিত উঠিয় দাড়াইলেন। নবাব দুইজন লোকের স্বন্ধে, বাহুর ভর দিয়া দরবারে প্রবেশ করিলেন। র্তাহার পাশ্বে একজন সুন্দর কাস্তি যুবক উন্মুক্ত তরবারি হস্তে পাহারা দিতে লাগিলেন। ইনিই নবাবের ভ্রাতা । নবাবের পশ্চাতে পঞ্চাশজন সভাসদ । নবাব সেই মখমল-মণ্ডিত, বিছানার উপর বসিলেন । র্তাহার পরিষদবর্গ তাহার আশে পাশে বসিল। ইংরাজ বণিকগণ, নবাবের সন্মুখে উপস্থিত হইয়া, তাহাদের আনীত উপহার-দ্রব্যাদি র্তাহার সম্মুখে ধরিলেন। নবাব তাহা স্পর্শ মাত্র করিয়া, ইংরাজদের আপ্যায়িত করিলেন । ইং বণিকেরা, নবাবের নিকট বাণিজ্য-স্বত্ত্ব লাভের প্রার্থনা করিলেন । কিন্তু নবাব তাহার কোনরূপ উত্তর দিবার পূর্বেই—“নামাজের আজান-ধ্বনি' হইল । কাজেই সেদিন আর কোন কাজের কথা হইল না । তখন অপরাহ সময় । নবাব ও তাহার সঙ্গিগণ, সেই সভাতে বসিয়াই নামাজ করিলেনু । নামাজ শেষ হইলে—ভূত্যেরা সেই দরবার-দালানের মোমবাতিপূর্ণ ঝাড়গুলি জালিয়া দিল । রাত্রি আটটা নয়টার সময়, ইংরাজ বণিকগণ কটকে ফিরিয়া আসিলেন । ক্ৰটন এই নবাবের কোন নামোল্লেখ করেন নাই। এই নবাবই কার্টরাইটকে উড়িষ্যাদেশে অবাধ বাণিজ্যের স্বত্ব দান করিয়াছিলেন। কিন্তু ১৭০৪ সালের ইষ্ট-ইণ্ডিয়া কোম্পানীর পুরাক্তন কাগজপত্র হইতে, উইলসন সাহেব প্রমাণ করিয়াছেন—এই নবাবের নাম আগামহম্মদ জামান । পারস্তের তারহান ( টিহারাণে ? ) ইহার জন্মস্থান । জাহাঙ্গী রের আমলে, ইনি একজন উচ্চপদস্থ রাজ-কৰ্ম্মচারী ছিলেন । আগামহন্ধ বহুদিন এই বঙ্গদেশে ছিলেন। কয়েক বৎসরের জন্তু,তিনি শ্রীহট্টের ফৌজদ ও তালুকদার নিযুক্ত হন। সাজাহানের আমলে, তিনি মাসিক দুই