পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/২৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম অধ্যায় ミミs রাসম্ভোগ করিবার ক্ষমতা, নিম্নপদস্থ কৰ্ম্মচারীদের ছিল না। পাঠক ! গুলার ফ্যাক্টার ইংরাজদের দেই মুদুর অতীত কালের বিলাসিতীর সহিত একবার বর্তমান যুগের, বেরুচ, ফিটন, ভিক্টেরিয়া ডগ কাট ও মোটারাদি fলাসময় যানবাহনের সুখটা, তুলনায় সমালোচনা করিয়া দেখুন। এই আড়াই শত বৎসরের মধ্যে কি অস্তুত পরিবর্তন ঘটিয়াছে। * মনুষ্যত্বের উচ্চ আদশের দিক দিয়া বিচার করিতে গেলে, সেকালের ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর কৰ্ম্মচারীদের অনেকেই অতি হীন প্রবৃত্তির লোক ছিলেন। যুর ভবিষ্যতে, যে ভারতে এলফিনষ্টোন, মনুরো, যাক, টড. হেনরি ও জন লরেন্স, মরটিন, হিবার প্রভূতি মহাপ্রাণ দেবতুল্য ইংরাজগণ, আবির্ভূত झे. ভারতক্ষেত্রে অক্ষয় কীৰ্ত্তি রাখিয়া গিয়াছেন, তাহীদের দেবচরিত্রের ও মহাপ্রাণতার সহিত তুলনায়, সেকালের ইষ্ট-ইণ্ডিয়া কোম্পানীর কৰ্ম্মচারীদের অনেকেই অতি হীন মতি ছিলেন। একথা অবশ্য স্বীকার্য্য, যে দেশকাল পাত্র ও ঘটনাচক্রবশে তাহাদিগকে এইরূপ হইতে হইয়াছিল। সে সময়ে যে সমস্ত ইংরাজ, ইষ্ট-ইণ্ডিয়া-কোম্পানীর কৰ্ম্মচারীরূপে এ দেশে আসিতেন, উহাদের অনেকেই অনভিজ্ঞ ও তরুণ বয়স্ক যুবক। ইহাদের মধ্যে, অধিকাংশই আবার অবিবাহিত অবস্থায়, নির্বাসিত ব্যক্তির ন্তায় মুদূর ভারতে উপস্থিত হইতেন । তঁহদের অনেকেরই আয় কম, খরচ বেণী । কোম্পানীর কৰ্ত্তারা বিলাতে থাকিতেন, আর বিলাত হইতে বহুদূরে ছয় মাসের পথে, সুদুর বঙ্গদেশে বসিয়া তাহদের কৰ্ম্মচয়ার রক্ষক হইয়াও ভক্ষকবৃত্তি অবলম্বন করিতেন। প্রভূ সম্প্রদায়ের উৎক্লোশ দৃষ্টির বাহিরে থাকিয়া, অনেকে বেনামী বাণিজ্য, ছাড় ও মিশন বিক্রয় প্রভৃতি নানাবিধ বিধি-বিগর্হিত উপায়ে, প্রভুর অনিষ্ট করিয়া ধনাগমের চেষ্টা করিতেন। স্বার্থসংঘর্ষ জন্ত, তাহীদের মধ্যে প্রায় আত্মবিবাদ উপস্থিত হইত। এই সকল বিবাদের মীমাংসার জন্যই, ষ্ট্রেনসাম মাষ্টার দুই দুইবার বঙ্গদেশে আসিয়াছিলেন। সেকালে সামাজিক ধৰ্ম্ম ও নীতিশিক্ষণ দিবার কোন সুবন্দোবস্ত ছিল না। নৈতিক নিয়মে বদ্ধ করিবার পথই ছিল না,কাজেই বিবেক-ভয়-শূন্তচিত্তে তাহারা অনেক অপকৰ্ম্ম করিয়া বসিতেন। কোম্পানীর বাণিজ্য-কুঠার ইংরাজ কর্মচারিদের মধ্যে, কেহ কাহারও উপর সস্তুষ্ট ছিলেন না । সকলেই সুযোগ পাইলে পরস্পরের নিন্দাবাদ ও অনিষ্ট চেষ্টা করিতেন। এইজন্য নবাব

  • Hedges Diary. to 66. Ovington's Voyages 400. Mandelslo's Voyages (Quoted by Prof. Wilson.)