পাতা:কলিকাতা সেকালের ও একালের.djvu/৮৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্ব্বিংশ অধ্যায়। ף פף খৃঃ অব্দে ফোট-উইলিয়াম-কালেজ প্রতিষ্ঠিত হইলে, ক্যারি-সাহেব এই কলেজে, সাহেবদিগকে বাঙ্গলাভাষা শিখাইবার ভারপ্রাপ্ত হন। ঐরামপুরেই এই ক্যারি সাহেবের মৃত্যু হয়। এণ্টনি-বাগান-লেন । এণ্টনি-বাগান-লেনের একটু প্রাচীন ইতিহাস আছে। এণ্টনি সাহেবের নামে, এই গলির নামকরণ হইয়াছে। এই এণ্টনি সাহেব, জবচার্ণকের আমলের লোক। এণ্টনি সাহেব, লক্ষ্মীকান্ত মজুমদার বা বড়িশার সাবর্ণজমাদারদের আদিপুরুষের, কাছারির একজন কৰ্ম্মচারী ছিলেন । তখন কলিকাতা, সুতালুট ও গোবিন্দপুর এই তিনখানি গ্রামের ও ইহার পাশ্ববর্তী মৌজার সত্ত্বাধিকারী ছিলেন–বিদ্যাধর রায় । মজুমদার ইহাদের নবাবীআমলের উপাধি। তৎপরে ইহার রায়চৌধুরী উপাধিলাভ করেন । বিদ্যাধরের পুত্র রামচাদ, ১৬২৮ খৃঃ অব্দে ইষ্ট-ইণ্ডিয়া-কোম্পানীকে কলিকাতা তালুট ও গোবিন্দপুর গ্রামত্রয় বিক্রয় করেন। তখন নবাব মুরশীদ কৃলিখার আমল । নবাব, এই গ্রামত্রয় ইংরাজদিগকে বিক্রয় করিতে তদধিকারীগণকে নিষেধ করিলেও, রামচাদ তাহ শোনেন নাই। ভবিষ্যৎ কলিকাত; মহানগরীর প্রাণপ্রতিষ্ঠা, এই তিন খানি গ্রাম লইয়াই হইয়াছিল । এক রামচাদ নহেন, তাহার সঙ্গে তাহার আরও চারিঞ্জন জ্ঞাতি, ইংরাজদিগকে এই গ্রামগুলি বিক্রয় করেন । বিদ্যাধরের কাছারিবাড়ী ছিল, বৰ্ত্তমান লালদীঘির পার্শ্ববর্তী, এক ভূখণ্ডে। কাছারী বাড়িট পাকা-কোঠা । তখন এস্থানে আর একখানিও পাকা কোঠ ছিল না । জবচার্ণক দেখিলেন—উপযুক্ত কোঠাবাড়ীর অভাবে, কোম্পানীর পুরাতন সেরেস্তাগুলি নষ্ট হইয়া যাইতেছে। তিনি অগত্য। বিদ্যাধরের এই পাকা-কোঠাটি কিনিয়া লইলেন। কোঠা, ইষ্ট-ইণ্ডিয়৷ কোম্পানীর কলিকাতার প্রথম রেকর্ড-রূম হইল । সেই পুরাকালে—এই কাছারী-বাড়ির নিকট, সাবর্ণদের প্রতিষ্ঠিত খামরাষ্ট্র বিগ্রহের ঠাকুরবাড়ী ছিল। এই শ্যামরায়, পরে কালীঘাটে স্থানান্তয়িত ইয়াছিলেন। সুপ্রসিদ্ধ প্রত্নতত্ত্ববিৎ, সুপণ্ডিত মিঃ এ, কে, রার বলেন—“এই গধরায়ের দোল পর্বোপলক্ষে লালদীঘির জল আবিরে লাল হইয়া যাইত । এইজন্ত লালদীঘির এইরূপ নামকরণ।” পূৰ্ব্বোক্ত এন্টনি সাহেব বিদ্যাধরের ম্যানেজার ছিলেন । দোল উপলক্ষে মহাসমারোহ হইত। লালদীঘিতে