लिश्रतः [ ২৬৯ ] क्लिश्न হংসডিম্বাকৃতি পুনঃ স্থাপনায়াং প্রশস্ততে । স্বয়ং সংশ্ৰবতে লিঙ্গং গিরিতে নৰ্ম্মদাতটে । আবিরাসী গিরেী তত্র লিঙ্গরূপী মহেশ্বরঃ । বাগলিঙ্গমপি খ্যাতমতোহথ জগন্নাতীতলে ৷ অন্তেষাং কোটিলিঙ্গানাং পূজনে যৎ ফলং ভবেৎ। তং ফলং লভতে মর্ত্যো বাণলিঙ্গৈকপূজনাৎ ॥” (হেমাদ্রিধৃত পুরাণবচন) পার্থিব লিঙ্গপূজা-পার্থিব লিঙ্গপূজা করিতে হইলে প্রথমে লিঙ্গ নিৰ্ম্মাণ করিতে হয় । ‘ওঁ হরায় নমঃ’ এই মন্ত্রে এক তোলা বা দুই তোলাঁ মৃত্তিক লইয়া ‘ওঁ মহেশ্বরায় নমঃ’ বলিয়া অঙ্গুষ্ঠ পরিমিত লিঙ্গ নিৰ্ম্মাণ করিতে হইবে। মৃত্তিক সমান তিন ভাগ করিয়া উপরের ভাগে লিঙ্গ, মধ্যভাগে গৌরীপীঠ এবং শেষ ভাগ দ্বারা বেদী অর্থাৎ আসন প্রস্তুত করিতে হয় । উপরের ভাগকে লিঙ্গ, মধ্যভাগকে গৌরীপীঠ এবং নিম্নভাগকে বেদী কহে । দুই হাতের মধ্যে যে কোন হস্ত দ্বারা লিঙ্গ নিৰ্ম্মাণ করা যাইতে পারে, এক হস্ত দ্বারা লিঙ্গ নিৰ্ম্মাণ করাই প্রশস্ত। নিতান্ত অসমর্থ হইলে দুই হস্ত দ্বারাও লিঙ্গ গড়ান যাইতে পারে। এইরূপে নিৰ্ম্মাণ করিয়া একটী ক্ষুদ্র গোলাকার মৃত্তিক লিঙ্গের মস্তকোপরি দিতে হইবে । ইহার নাম বজ। অপরে লিঙ্গ নিৰ্ম্মাণ করিয়া দিলে পূজক শিবের গাত্রে হাত দিয়া ‘ওঁ হরায় নমঃ’ ও ‘ওঁ মহেশ্বরীয় নমঃ’ এই মন্ত্ৰ পড়িবে। পূজার সময় শিবলিঙ্গের পিণাক উত্তরদিকে করিয়া বিন্ধপত্রের উপর বসাইতে হয় । সামান্ত পূজাবিধি অনুসারে আসনগুদ্ধি, জলগুদ্ধি, গণেশাদি প্রভৃতি দেবতা পূজা করিয়া লিঙ্গপূজা করিতে হইবে। পূজার সময় ললাটে ভষ্ম বা মৃত্তিকার ত্রিপুঞ্জ, এবং গলদেশে রুদ্রাক্ষমালা ধারণ বিধেয় ॥৫ পরে শিবের ধ্যান করিতে হইবে । ধ্যান যথা— “ওঁ ধ্যায়েন্নিত্যং মহেশং রজতগিরিনিভং চারুচন্দ্রাবতংসং * রত্নাকল্পোঞ্জলাঙ্গং পরশুমৃগবরাভীতিহস্তং প্রসন্নম্। পদ্মাসীনং সমস্তাৎ স্তুতমমরগণৈব্র্যাখ্রকৃত্তিং বসানং বিশ্বাস্তং বিশ্ববীজং নিথিলভয়হরং পঞ্চবক্তং ত্রিনেত্ৰম্।” এই ধ্যান পাঠ করিয়া মানসোপচারে পূজা করিয়া পরে ধান পাঠ করিয়া শিবের মস্তকে ফুল দিতে হইবে। পরে ওঁ পিণাকবৃক্ ইহাগচ্ছ, ইহাগচ্ছ, ইহ তিষ্ঠ ইহ তিষ্ঠ, ইহ সন্নিধেহি, ইহ সন্নিধেহি, ইহ সন্নিরুদ্ধ্যস্ব ইহ সন্নিরুদ্ধাস্ব, অত্রাধিষ্ঠানং কুরু মম পুজাং গৃহাণ ” এইরূপে আবাহনাদি করিবে। আবাহনী প্রভৃতি পাঁচট মুদ্র দেখাইয়া আবাহনাদি করিতে হয়। পরে ‘ওঁ শূল
- “বিনা তন্মত্রিপুণ্ডে ৭ বিনা রত্রাঙ্কমালয়।
বিন মালুরপত্রেণ নাৰ্চয়েৎ গর্থিবং শিব ।” XVII (tely পাণে ইহ সুপ্রতিষ্ঠিতো ভব" এইরূপে লিঙ্গপ্রতিষ্ঠা করিয়া ‘ওঁ পশুপতয়ে নমঃ’ এই মন্ত্রে তিনবার শিবের মস্তকোপরি জল দিয়া শিবের মস্তকের বঞ্জ ফেলিয়া দিয়৷ তদুপরি চারিটা আতপ তণ্ডুল দিতে হয়। পরে পাঙ্গাদি দশোপচার দ্বারা পূজা বিধেয় । ‘ওঁ এতৎ পাছং ওঁ নমঃ শিবায় নমঃ ।” 織 “ইদমর্ঘ্যং ওঁ নমঃ শিবায় নমঃ” ইত্যাদিক্রমে পাঙ্ক, অর্ঘ্য, আচমনীয়, মধুপর্ক, স্নানীয়, গন্ধ, পুষ্প, বিবপত্র, ধূপ, দীপ ও নৈবেদ্যাদি দিতে হইবে । শিবের অর্ঘ্যে কলা ও বিল্বপত্র দিতে হয়। পরে শিবের অষ্টমূৰ্ত্তির পূজা করিতে হয়। পূৰ্ব্বদিকে—এতে গন্ধপুষ্পে ওঁ সৰ্ব্বায় ক্ষিতিমূৰ্বয়ে নমঃ ঈশ্বনকোণে এতে গন্ধপুষ্পে ওঁ ভবায় জলমূৰ্ত্তয়ে নমঃ’ উত্তরে এতে গন্ধপুষ্পে ও রুদ্রায় অগ্নিমূৰ্ত্তয়ে নমঃ’ বায়ুকোণে এত্বে গন্ধপুষ্পে ওঁ উগ্ৰায় বায়ুমূৰ্ত্তয়ে নমঃ’ পশ্চিমে এতে গন্ধপুষ্পে ওঁ ভীমায় আকাশমূৰ্ত্তয়ে নমঃ’ নৈখতে ‘এতে গন্ধপুষ্পে ওঁ পশুপতয়ে যজমানমূৰ্ত্তয়ে নমঃ’ দক্ষিণে এতে গন্ধপুষ্পে ওঁ মহাদেবায় সোমমূৰ্ত্তয়ে নমঃ অগ্নিকোণে এতে গন্ধপুষ্পে ওঁ ঈশানায় স্বৰ্য্যমূৰ্ত্তয়ে নমঃ’ এইরূপে অষ্টমৃত্তি পূজা করিয়া যথাশক্তি জপ ও গুহাতিগুহ মস্ত্রে জপ ও বিসর্জন করিতে হইবে। তৎপরে দক্ষিণকরের বুদ্ধাঙ্গুষ্ঠ ও তজ্জনী যোগ করিয়া তন্দ্বার বম্ বম্ শৰে দক্ষিণ গাল বাদ্য করিতে হয় । এই সময় মহিমঃ স্তব প্রভৃতি শিবের স্তবকবচ পাঠ করা আবশ্বক । অসমর্থ হইলে অভাবপক্ষে ২ । ১টা শ্লোকও পাঠ করা বিধেয়। পরে নিম্নোক্তমন্ত্রে প্রণাম করিতে হইবে । মন্ত্ৰ—ওঁ নমস্তুভ্যং বিরূপাক্ষ মমস্তে দিব্যচক্ষুষে । নমঃ পিণাকহস্তায় দ গুপাশাসিপাণয়ে । নমস্ত্রৈলোক্যনাথায় ভূতানাং পতয়ে নমঃ ॥ বাণেশ্বরায় নরকর্ণেবতারণায় জ্ঞানপ্রদায় করুণাময়সাগরায় । কপূর্বকুন্দধবলেদুজটাধরায় দারিদ্র্যদুঃখদহনায় নমঃ শিবায় ॥ নমঃ শিবায় শাস্তায় কারণত্রয়হুেতবে । নিবেদয়ামি চাত্মানং ত্বং গত্তিঃ পরমেশ্বর ॥ নমস্তে ত্বং মহাদেব লোকানাং গুরুমীশ্বরম্। পুংসামপূর্ণকামানাং কামপুরামরাঙ্গি পম । এই মন্ত্রে প্রণাম করিয়া দক্ষিণহস্তে অর্থ্যজল গ্রহণপূৰ্ব্বক নিম্নোক্ত মন্ত্রে আত্মসমর্পণ করিয়া শিবের মস্তকে একটু জল দিতে হইবে । মন্ত্র যথা--"ইতঃ পুৰ্ব্বং প্রাণবুদ্ধিদেহধৰ্ম্মাধিকারতো জাগ্রৎস্বপ্নস্যুগু্যবস্থাস্থ মনসা বাচ হস্তাভ্যাং পদ্ভ্যামুরেণ শিশ্না যৎস্থতং যৎকৃতং যুক্তং তৎসৰ্ব্বং ঐশিবায় স্বাহ, মাং মীরং সকলং সম্যক ঐশিবচরণে সমৰ্পয়ে।’
