সমুদায় ঢালা, হইলে, সেই নেকড়ার চারিধার আস্তে আস্তে গুটাইয়া, একটি পুঁটুলির মত করিয়া বাঁধিবে।
এদিকে চিনির রস ও লেবুর রস এক সঙ্গে পাক করিয়া, দুই-তারবন্দের রস প্রস্তুত করিয়া লইবে। এক্ষণে একখানি কড়াতে ঘৃত চড়াইয়া তাপ দিবে। জ্বালে ঘৃত পাকিয়া আসিলে, পুঁটুলিটীর নীচে একটি ক্ষুদ্র ছিদ্র করিয়া, সেই ছিদ্র দিয়া উহার মধ্যস্থ তরল পদার্থ, ঐ ঘৃতের উপর ঠিক জিলিপির ন্যায় চক্রাকারে ফেলিবে। উহা তপ্ত ঘৃতে পড়িবামাত্র-ই কঠিন হইয়া উঠিবে। কঠিন হইলে অর্থাৎ বেশ ভাজা ভাজা হইলে-ই, তুলিয়া পূর্ব্ব-প্রস্তুত উত্তপ্ত মধুরায় রসে ফেলিয়া, কিয়ৎক্ষণ ডুবাইয়া তুলিয়া পাত্রান্তরে রাখিবে। উহা ঘৃতের উপর অধিকক্ষণ জ্বালে থাকিলে পুড়িয়া যাইবে, এজন্য শীঘ্র শীঘ্র তুলিয়া লওয়া আবশ্যক।
ডিমের বাদসা-ভোগ ।
উপকরণ ও পরিমাণ।—ডিম দশটা, মিছরি এক সের, মৃগনাভি এক কোয়া, গোলাপ-জল আধ ছটাক।
প্রথমে মিছরির একতারবন্দ রস প্রস্তুত করিয়া পাত্রে রাখ। হ্রস তৈয়ার হইলে, বাঁশের সরু সরু শলা কুড়িটি একত্র করিয়া তাহার মাঝখানে এমন করিয়া কসিয়া বাঁধ যে, প্রত্যেক শলার মুখ পরস্পর পৃথকৃভাবে ঘাকিয়া একটি চক্রাকার হয়। এইরূপ বদ্ধ শলার নাম ‘ডিম-মন্থন-দণ্ড।
এখন কাচ, পাথর অথবা মাটির পাত্রে এক একটি করিয়া ডিম ভাঙ্গিয়া