পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/২২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্মমণ্ডলী । রবিবার, ১৬ই ফাল্গুন, ১৮১৯ শক ; ২৭শে ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৮ খৃঃ । ঈশ তাহার অনুবর্তিগণকে বলিয়া গেলেন, তোমরা যখন দুই তিন জন মিলিত হইয়া স্বৰ্গীয় পিতাকে ডাকিবে, তখন আমি তোমাদের মধ্যে আসিব এবং তোমাদের উপাসনাতে যোগ দিব । বৈরাগিগণ সঙ্কীৰ্ত্তন আরম্ভ করিবার পূৰ্ব্বে শ্ৰীগৌরাঙ্গকে আহবান করেন। ইদের দিনে দিল্লীর জুমমসজিদে হাজার হাজার লোক এক ইঙ্গিতে উঠে বসে, এক ইঙ্গিতে প্রার্থনার ভাব গ্রহণ করে, এক সঙ্গে প্রার্থন আরম্ভ করে । ঈশ্বরের পূজাতে, ঈশ্বরীরাধনাতে এরূপ দশ জনের, শত জনের, হাজার জনের দলবদ্ধ হইবার তাৎপর্য্য কি ? ঈশাই বা কেন তাহার পরিত্যক্ত মণ্ডলীতে পুনঃ পুনঃ আসিবেন বলিয়া অঙ্গীকার করিলেন ? ঈশ্বরের নামে র্যাহারা মিলিত হন, তাহদের পরস্পরের সম্পর্ক কি ? এই সমবেত দলের নাম কি ? এইরূপে যাহারা দলবদ্ধ হইয়া ঈশ্বরকে ডাকে, এইরূপে যাহারা প্রাণের এক আগ্রহে পরস্পর পরস্পরের হৃদয়ে মিশিয়া যায়, তাহদের সমবেত দলের নাম ধৰ্ম্মমণ্ডলী । এই মণ্ডলীগত যোগ ও একতা চির অচ্ছেদ্য । ইহারা যখন জীবনের বিবিধ কাৰ্য্যে বিব্রত থাকে, আমোদ আহলাদ করে, তখন ইহারা পরস্পর মতে ভিন্ন থাকিতে পারে ; কিন্তু ঈশ্বরের পূজার জন্য তাহার পবিত্র বেদীর পাশ্বে যখন ইহার একত্র হয়, তখন পরস্পরের হৃদয় এক হয়, একাত্ম হইলে ইহাদের ধৰ্ম্মগত মিলনরজু সুদৃঢ় হয়। ইহাকেই ঈশ্বরের পরি