পাতা:বিশ্বকোষ ত্রয়োদশ খণ্ড.djvu/৪৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভুবনেশ্বর [ 8७8 ] ভুবনেশ্বর ভুবনেশান (স্ত্রী) জগৎকত্রী। ভুবনেশী (স্ত্রী) শক্তিমূৰ্ত্তিভেদ। ভুবনেশী যন্ত্র, কৃষ্ণানন্দকুত্ব তন্ত্রসারবর্ণিত শক্তিপূজারযন্ত্রভেদ। ভুবনেশ্বর, উড়িষ্যাপ্রদেশের অন্তর্গত পুরীজেলাস্থ একটা শ্রেষ্ঠ শৈবক্ষেত্র । অক্ষা- ২•• ১৪% ৪৫%উ:, দ্রাঘি- ৮৫° ৫২ ২৬% পূ: বেঙ্গলনাগপুর রেলওয়ের ভুবনেশ্বর নামক ষ্টেশন হইতে এক ক্রোশ দূরে অবস্থিত। ভুবনেশ্বর বাস্তবিক ভুবনের মধ্যে একটা দ্রষ্টব্যস্থান । ইছার অসংখ্য শিবমন্দির, হিন্দু শিল্পীর অপূৰ্ব্ব রচনাকৌশল, ইছার নয়নমোহন ভাস্করকাৰ্য্য যিনি একবার মনোযোগপূৰ্ব্বক দেখিয়াছেন, তিনিই মুগ্ধ হইয়াছেন। প্রতিষ্ঠাতাকে অজস্র ধন্যবাদ না দিয়া কেহই থাকিতে পারেন নাই। হিন্দু, মুসলমান ও খৃষ্টান পুরাবিদগণও এই পবিত্র মন্দিরবৃন্দ-বিভূষিত প্রাচীনভূমির উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন। প্রত্নতত্ত্ববিদ রাজা রাজেন্দ্রলাল মিত্রের মতে এই পুণ্যভূমির প্রকৃত নাম ত্রিভুবনেশ্বর’ , উচ্চারণ-সৌকর্য্যাৰ্থ কেবল ভুবনেশ্বর নামেই পরিচিত হইয়াছে। তিনি আরও লিখিয়াছেন,—“উদয়গিরির হাথিগুফীয় উৎকীর্ণ শিলালিপিতে যে কলিঙ্গনগরীর উল্লেখ আছে, তাহাই এই ভুবনেশ্বর। বুদ্ধের সময়ে এই কলিঙ্গনগরী বৌদ্ধধৰ্ম্মের একট প্রধান স্থান বলিয়া গণ্য ছিল। বুদ্ধের নিৰ্ব্বাণ হইলে, তাহার পবিত্র দেহাবশেষ ষে কয়খণ্ডে বিভক্ত হইয়া প্রধান প্রধান রাজগণমধ্যে পরিগৃহীত হইয়াছিল, তন্মধ্যে কলিঙ্গনগরীর অধিপতি বুদ্ধদেবের পবিত্র দন্ত লাভ করিয়াছিলেন। প্রথমে সেই দন্ত কলিঙ্গনগরীতেই স্থাপিত হইয়াছিল, এখান হইতে পিপলির নিকটবর্তী দন্তপুরী বা দাতন নামক স্থানে স্থানান্তরিত হয়। এইরূপে খৃষ্টপূৰ্ব্ব ষষ্ঠ শতাম্বা হইতে এই স্থান কলিঙ্গনগরী বলিয়াই গণ্য হইতেছিল।” তিনি হাখিগুফায় উৎকীর্ণ শিলালিপিতে ঐররাজের প্রতিষ্ঠিত একটা বৃহৎ সরোবরের উল্লেখষ্টে স্থির করিয়াছেন যে, সেই সরোবরই সুপ্রসিদ্ধ বিন্দুসাগর এবং ভূবনেশ্বরেই সেই কলিঙ্গাধিপের রাজধানী ছিল। { ষ্টালিং, ইণ্টার, কনিংহাম, রাজা রাজেন্দ্রলাল প্রভৃতি ঐতিহাসিকগণ মাদলাপঞ্জীর উপর নির্ভর করিয়া সকলেই এক স্বাক্যে লিফুিল যে, উড়িষ্যার কেশরিবংশের প্রতিষ্ঠাতা शएाङिष्कभत्रैौ श३८ङझे छूवप्नश्वग्न शिज eङिठ्ठांद्र जरज dहे স্থান কালে ‘ভূবনেশ্বর মামে খ্যাত হইয়া আসিতেছে।

  • Mitrvs Antiquities ot ories», vol. ii.p.ei.s. + Lo Do Do Vol. li, p. 69.

--് উপরে ধে সক্লু মত আলোচিত হইল, এখনকার পুরাতত্ত্ব আলোচনা দ্বারা. উক্ত যুক্তিগুলি নিরর্থক বলিয়া মনে হইতেছে। বুদ্ধদেখেৰ সময় এই ভুবনেশ্বরে যে বৌদ্ধদিগের প্রধান অtডড ছিল, তাহার কোন নিদর্শন পাওয়া যায় না । খগুগিরি ও উদয়গিরিতে যে বৌদ্ধকাৰ্ত্তির নিদর্শন পাওয়া যায়, তাহা বুদ্ধদেবের বহু পরবর্তী, তাহার অল্পাংশই সম্রাটু অশোকের সময় প্রতিষ্ঠিত । বিশেষতঃ ভূবনেশ্বর অঞ্চলে ঐর নামে কোন রাজা যে কোন কালে রাজত্ব করিয়াছিলেন, তাহার প্রমাণাভাব। হাথিগুফায় উৎকীর্ণ শিলালিপিতে জৈনধৰ্ম্মাবলম্বী কলিঙ্গাধিপতি ধারবেল নৃপতির যশ:কীৰ্ত্তি বিবৃত হইয়াছে। তাহার শুালক হাথিসাহের নামে ও হস্তিমূৰ্ত্তি হইতে হাথি গুফার নামকরণ হইয়াছে। রাজ রাজেন্দ্রলাল, কনিংহাম,হন্টর প্রভৃতি পুরাবিদগণ যে হাথিগুফাকে বৌদ্ধকীৰ্ত্তি বলিয়। ঘোষণা করিয়াছিলেন, এখন তাহ। জৈনকীৰ্ত্তি বলিয়া প্রমাণিত হইয়াছে। কিন্তু উক্ত জৈনরাজ খারবেল যে কোন সময়ে ভুবনেশ্বরে রাজধানী স্থাপন করিয়াছিলেন, এ পৰ্য্যন্ত তাহার ও কোন প্রমাণ পাওয়া যায় নাই। এদিকে খৃষ্টীয় ৫ম শতান্সে কেশরি-বংশের প্রতিষ্ঠাত যযাতি কর্তৃক ভুবনেশ্বর প্রতিষ্ঠা কবিকল্পনা বলিয়। বোধ হয়। কারণ ঐ সময়ে অথবা পরে কেশরিবংশের প্রতিষ্ঠাতারূপে কোন ষযাতিকেশরীর নাম সাময়িক লিপি বা প্রাচীন ইতিহাসে বর্ণিত হয় নাই। জগন্নাথ শব্দে আমরা দেখাইয়াছি যে উড়িষ্যার বর্তমান ঐতিহাসিকগণ যে মাদলাপঞ্জীর দোহাই দিয়া থাকেন, তাছার প্রাচীন অংশ কল্পনামূলক, ঐতিহাসিকের নিকট তাহার কোন মূল্য নাই । ভুবনেশ্বরের উৎপত্তি সম্বন্ধে মাদলাপঞ্জীর বিবরুণও সেইরূপ কাল্পনিক বলিয়া উল্লেখ করিতে পারি । ” কাল্পনিক ও ইদানীন্তন রচিত মাদলাপঞ্জীর উপর নির্ভর না করিয়া প্রাচীন গ্রন্থসমূহ ও ভুবনেশ্বরের নানাস্থানে । উৎকীর্ণ সাময়িক শিলালিপি হইতে আমরা যে সকল প্রকৃত কঞ্চ পাইয়াছি, মাদলাপঞ্জীর সমালোচনার সহিত সেই সকল কথা । লিপিবদ্ধ করিতেছি। মহাভারতে বনপর্কে লিখিত আছে— “স সাগরং সমাসাস্ত গঙ্গায়াঃ সঙ্গমে নৃপ । নদীশতানাং পঞ্চানাং মধ্যে চক্রে সমাপ্লবং ॥ ২ ততঃ সমুদ্রতীরেণ জগাম বসুধাধিগ । - ভ্রাতৃভিঃ সহিতে বীর: কলিঙ্গান প্রতি ভারত ॥৩ . লোমশ উবাচ। ७८ऊ कनिन: cकोtढ़ग्न ऊळ ऐवज्रग्ननै ननैौ । "ৰজত ধর্শোইপি দেৱান শরণমেত্য ৰৈ • ادامه