মন্দিরে বিজয় গোস্বামী, মহিমাচরণ প্রভৃতি সঙ্গে ৩৪ উঠে, তখন ঈশ্বরকথা বই শুনতেও পারে না আর বলতেও পারে না। তখন তার মুখ থেকে কেবল জ্ঞান উপদেশ বেরোয় " " . ঠাকুর আবার বলিতেছেন—“বেদে আছে ‘সচ্চিদানন্দ ব্রহ্ম। ব্ৰহ্ম । একও নয় দুইও নয়। এক ছয়ের মধ্যে। অস্তিও বলা যায় না, । নাস্তিও বলা যায় না। তবে অস্তি নাস্তির মধ্যে। । স্ত্রীরামকৃষ্ণ ও ভক্তিযোগ-রাগভক্তি হ’লে ঈশ্বর লাভ ] | শ্রীরামকৃষ্ণ-রাগভক্তি এলে, অর্থাৎ ঈশ্বরে ভালবাসা এলে তবে তাকে পাওয়া যায়। বৈধ ভক্তি হতেও যেমন যেতেও তেমন । এতজপ, এত ধ্যান করবে, এত যাগ যজ্ঞ হোম করবে, এই এই উপচারে পূজা করবে, পূজার সময় এই এই মন্ত্র পাঠ করবে, এই সকলের নাম বৈধীভক্তি । হ'তেও যেমন, যেতেও তেমন ! কত লোকে বলে, আর ভাই কত হবিষ্য করলুম, কত বার বাড়িতে পূজা আনলুম, কিন্তু কি হ’লে ? “রাগ ভক্তির কিন্তু পতন নাই ! কাদের রাগভক্তি হয় ? যাদের । পূৰ্ব্বজন্মে অনেক কাজ করা আছে। অথবা যারা নিত্যসিদ্ধ। যেমন একটা প’ড়ো বাড়ির বনজঙ্গল কাটতে কাটতে নল বসান ফোয়ার একটা পেয়ে গেল ! মাটি সুরকি ঢাকা ছিল ; যাই সরিয়ে দিলে অমনি ফর ফর ক’রে জল উঠতে লাগলো ! “যাদের রাগভক্তি তারা এমন কথা বলে না, ‘ভাই, কত হবিষ্য করলুম,–কিন্তু কি হলো ! যারা নূতন চাষ করে তাদের যদি ফসল না হয়, জমি ছেড়ে দেয় । খানদানি চাষা ফসল হ’ক আর না হ’ক, আবার চাষ করবেই । তাদের বাপ পিতামহ চাষাগিরি করে এসেছে, -- তারা জানে যে চাষ ক’রেই খেতে হবে।