পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৪০ ঐশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত—৩য় ভাগ [ ১৮৮৪, ৯ই নভেম্বর “যাদের রাগভক্তি, তাদেরই আন্তরিক। ঈশ্বর তাদের ভার ল’ন। হাসপাতালে নাম লেখালে—আরাম না হ’লে ডাক্তার ছাড়ে না। “ঈশ্বর যাদের ধরে আছেন তাদের কোন ভয় নাই। মাঠের আলের উপর চলতে চলতে যে ছেলে বাপকে ধ’রে থাকে সে পড়লেও পড়তে পারে—যদি অন্ত্যমনস্ক হ’য়ে হাত ছেড়ে দেয় । কিন্তু বাপ যে ছেলেকে ধ'রে থাকে সে পড়ে না । [ রাগভক্তি হ’লে কেবল ঈশ্বর কথা—সংসার ত্যাগ ও গৃহস্থ ] “বিশ্বাসে কি না হ’তে পারে। যার ঠিক, তার সব তাতে বিশ্বাস হয়,—সাকার নিরাকার, রাম, কৃষ্ণ, ভগবতী । “ওদেশে যাবার সময় রাস্তায় ঝড়, বৃষ্টি এলো । মাঠের মাঝখানে আবার ডাকাতের ভয় । তখন সবই বললুম—রাম, কৃষ্ণ, ভগবতী, আবার বললুম, হকুমান ! আচ্ছা সব বললুম–এর মানে কি ? “কি জান, যখন চাকর বা দাসী বাজারের পয়সা লয় তখন ব’লে বলৈ লয়, এটা আলুর পয়সা, এটা বেগুনের পয়সা, এগুনে মাছের পয়সা । সব তুালাদা । সব হিসাব করে লয়ে তার পর দেয় মিশিয়ে । “ঈশ্বরের উপর ভালবাসা এলে কেবল তারই কথা কইতে ইচ্ছা করে। যে যাকে ভালবাসে তার কথা শুনতে ও বলতে ভাল লাগে । “সংসারী লোকদের ছেলের কথা বলতে বলতে নাল পড়ে । যদি কেউ ছেলের মুখ্যাত করে তো অমনি বলবে, ওরে তোর খুড়োর জন্য পা ধোবার জল আন । “যারা পায়রা ভালবাসে, তাদের কাছে পায়রার মুখ্যাত করলে বড় খুশি । যদি কেউ পায়রার নিন্দ করে, তা হলে বলে উঠবে, তোর বাপ চোঁদ পুরুষ কখন কি পায়রার চাষ করেছে ?”