পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/৩৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতায় শ্যামপুকুর বাটতে ভক্তসঙ্গে স্ত্রীরামকৃষ্ণ ৩২৭ “কিন্তু একটি কথা আছে, যত এই যোগ হবে ততই বাহিরের জিনিস থেকে মন সরে আসবে। ভক্তমালে এক ভক্তের (বিল্বমঙ্গলের) কথা আছে। সে বেশ্বালয়ে যেতো। একদিন অনেক রাত্রে যাচ্ছে। । বোকে দেবে বলে হাতে করে লয়ে যাচ্ছে। তার বেখার দিকে এত । একাগ্র মন যে কিসের উপর দিয়ে যাচ্ছে, কোনখান দিয়ে যাচ্ছে, এ সব কিছু হুস নাই। পথে এক যোগী চক্ষু বুজে ঈশ্বর চিন্তা কছিল, তার গায়ে পা দিয়ে চলে যাচ্ছে। যোগী রাগ করে বলে উঠলে, “কি তুই দেখতে পাচ্ছিস না। আমি ঈশ্বরের চিন্তা করছি, তুই গায়ের উপর পা দিয়ে চলে যাচ্ছিস । তখন সে লোকটি বললে, “আমায় মাপ করবেন, কিন্তু একটা কথা জিজ্ঞাসা করি,বেশ্বাকে চিন্তা ক’রে আমার হুস নাই, আর আপনি ঈশ্বর চিস্ত কচ্ছেন আপনার সব বাহিরের হুস আছে । এ কি রকম ঈশ্বর চিন্তা 1’ সে ভক্ত শেষে সংসার ত্যাগ ক’রে ঈশ্বরের আরাধনায় চলে গিয়েছিল । বেশ্বাকে বলেছিল, তুমি আমার গুরু, তুমি শিখিয়েছ কি রকম ঈশ্বরে অনুরাগ করতে হয়। বেশ্যাকে মা বলে ত্যাগ করেছিল।” ডাক্তার—এ তান্ত্রিক উপাসনা । জননী রমণী । [ লোক শিক্ষা দিবার সংসারীর অনধিকার ] শ্রীরামকৃষ্ণ—দেখ, একটা গল্প শোনো । একজন রাজা ছিল । একটি পণ্ডিতের কাছে রাজা রোজ ভাগবত শুনতো। প্রত্যহ ভাগবত পড়ার পর পণ্ডিত রাজাকে বলতে রাজা বুঝেছ? রাজাও রোজ বলতে, তুমি আগে বোঝো! ভাগবতের পণ্ডিত বাড়িগিয়ে রোজ ভাবে যে, রাজা রোজ এমন কথা বলে কেন । আমি রোজ এত ক’রে বোঝাই আর রাজা