পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/৩৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২৬ খ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত—৩য় ভাগ [১৮৮৫, ৩০শে অক্টোবর তিনি নড়ছেন জানে না। বলে, জলে হাত পুড়ে গেল। জলে কিছু পোড়ে না। জলের ভিতর যে উত্তাপ, জলের ভিতর যে অগ্নি তাতেই হাত পুড়ে গেল । “হাড়িতে ভাত ফুটছে। আলু বেগুন লাফাচ্ছে। ছোট ছেলে বলে, আলু বেগুনগুলো আপনি নাচছে। জানে না যে নীচে আগুন আছে ! মানুষ বলে, ইন্দ্রিয়েরা আপন আপনি কাজ করছে! ভিতরে যে সেই চৈতন্য স্বরূপ আছে তা ভাবে না ! ডাক্তার সরকার গাত্রোথান করিলেন । এইবার বিদায় গ্রহণ করিবেন । ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণও দাড়াইলেন । ডাক্তার-বিপদে মধুসূদন। সাধে তুহু তুহু বলায়। গলায় ঐটি হয়েছে তাই। তুমি নিজে যেমন বলে, এখন ধুনুরীর হাতে পড়েছে, ধুতুরীকে বলে, তোমারই কথা । শ্রীরামকৃষ্ণ-কি আর বলবো । ডাক্তার—কেন বলবে না ? তার কোলে রয়েছি, কোলে হাগছি . আর ব্যায়রাম হ’লে তাকে বলবো না তবে কাকে বলবো ? শ্রীরামকৃষ্ণ—ঠিক ঠিক । এক একবার বলি। তা—হয়—না । ডাক্তার—আর বলতেই বা হবে কেন, তিনি কি জানছেন না ? শ্রীরামকৃষ্ণ (সহাস্তে )–একজন মুসলমান নমাজ করতে করতে ‘হো আল্লা ‘হো আল্লা’ বলে চীৎকার করে ডাকৃছিল । তাকে একজন লোক বললে, তুই আল্লাকে ডাকৃছিস তা অতো চেঁচাচ্ছিস কেন ? তিনি যে পিপড়ের পায়ের নূপুর শুনতে পান । [ যোগীর লক্ষণ—যোগী অস্তমুখ-বিল্বমঙ্গল ঠাকুর ] শ্রীরামকৃষ্ণ—তাতে যখন মনের যোগ হয়, তখন ঈশ্বরকে খুব কাছে দেখে । হৃদয়ের মধ্যে দেখে । \,: