পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/২৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

之é史 শ্ৰীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত—৫ম ভাগ পরিশিষ্ট থাকে না তখন খুব পরিষ্কার সাদা। স্বৰ্য্য দূরে বলে খুব ছোট দেখায় ; কাছে গেলে আর ছোট দেখায় না। ঈশ্বরের স্বরূপ ঠিক জানতে পারলে আর কালো থাকে না, ছোটও থাকে না। সে অনেক দূরের কথা সমাধিস্থ না হ’লে হয় না। যতক্ষণ আমি তুমি আছে, ততক্ষণ নাম রূপও আছে। র্তার সব লীলা। আমি তুমি যতক্ষণ থাকে ততক্ষণ তিনি নানারূপে প্রকাশ হন । “শ্ৰীকৃষ্ণ পুরুষ শ্ৰীমতী তার শক্তি—আদ্যশক্তি। পুরুষ আর প্রকৃতি । যুগল মূৰ্ত্তির মানে কি ? পুরুষ আর প্রকৃতি অভেদ। তাদের ভেদ নাই। পুরুষ প্রকৃতি না হ’লে থাকতে পারে না ; প্রকৃতিও পুরুষ না হ’লে থাকতে পারে না। একটি বললেই আর একটি তার সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে হবে। যেমন অগ্নি আর দাহিক্য শক্তি। দাহিক শক্তি ছাড়া অগ্নিকে ভাবা যায় না। আর অগ্নি ছাড়া দাহিক শক্তি ভাবা যায় না। তাই যুগলমূৰ্ত্তিতে শ্ৰীকৃষ্ণের দৃষ্টি শ্ৰীমতীর দিকে, ও শ্রীমতীর দৃষ্টি কৃষ্ণের দিকে। শ্ৰীমতীর গৌর বর্ণ বিদ্যুতের মত ; শ্ৰীমতী নীলাম্বর পরেছেন। আর শ্রীমতী নীলকান্ত মণি দিয়ে অঙ্গ সাজিয়েছেন । শ্রীমতীর পায়ে নুপুর, তাই শ্ৰীকৃষ্ণ নুপুর পরেছেন ; অর্থাৎ প্রকৃতির সঙ্গে পুরুষের অস্তরে বহিরে মিল।” এই কথাগুলি সমস্ত সাঙ্গ হইল, এমন সময়ে অধরের বঙ্কিমাদি বন্ধুগণ পরস্পর ইংরাজীতে আস্তে আস্তে কথা কহিতে লাগিলেন। শ্রীরামকৃষ্ণ (সহস্তে, বঙ্কিমাদির প্রতি)—কি গো । আপনার ইংরাজীতে কি কথাবার্তা করছে ? ( সকলের হাস্ত ) ৷ অধর—আজ্ঞে, এই বিষয় একটু কথা হচ্ছিল, কৃষ্ণরূপের ব্যাখ্যার কথা । শ্রীরামকৃষ্ণ ( সহাস্তে, সকলের প্রতি )—একটা কথা মনে পড়ে আমার হাসি পাচ্ছে। শুনো, একটা গল্প বলি। একজন নাপিত কামাতে গিয়েছিল। একজন ভদ্রলোককে কামাচ্ছিল। এখন কামাতে কামাতে তার একটু লেগেছিল। আর সে লোকটি (damn) ড্যাম বলে উঠেছিল। নাপিত কিন্তু ড্যামের মানে জানে না। তখন সে ক্ষুর-টুর সব সেখানে রেখে, শীতকাল, জামার আস্তিন গুটিয়ে বলে, তুমি আমায় ড্যাম বললে, এর মানে কি, এখন