১২৮ বিবিধ প্রবন্ধ। স্বাধীন বচনীয়তাপি হি বরং বন্ধো ন সেবাঞ্জলি:, মার্গোহেৰ নরেন্দ্রসোপ্তিকবধে পূৰ্ব্বংকৃতে দ্রোণিনা। লোকে ঘুমাইলে (অর্থাৎ বিশেষ বিবেচনা ব্যতিরেকে ) এ কাজটাকে নীচ বলে বটে, কিন্তু বিশ্বাসী ব্যক্তির প্রতি বঞ্চনা করা চৌর্য্য— কারণ তাহাতে শৌর্য্য নাই। পরস্তু লোকের নিন্দনীয় হইলেও বদ্ধাগুলি হইয়া সেবা কৰ্ম্ম নিৰ্ব্বাহ করা অপেক্ষ এ কৰ্ম্ম স্বাধীন এবং শ্রেষ্ঠ। আর দ্রোণপুত্র অশ্বথাম সুপ্ত রাজাদিগের ৰধবিধানে এইরূপ কাজের পথ দেখাইয়া গিয়াছেন । 领 সিংহ বিক্রমশরীর, প্রত্যুৎপন্ন বুদ্ধি, পরাধীন বৃত্তিপরায়ুখ, স্বাভাবিক .প্রখর ইচ্ছাবৃত্তি কর্তৃক প্রণোদিত শাস্ত্রীয় দৃষ্টান্ত দ্বারা স্বাবলম্বিত চৌর্য্য ব্যবসায়ের উৎকর্ষ খ্যাপনপূর্বক সকল বাধা অতিক্রম করিয়া শৰ্ব্বিলক সাহসকার্ধ্যে রত হইয়াছেন। শৰ্ব্বিলকের সমান প্রকৃতির লোক পূৰ্ব্বকালে ভারতবর্ষে ছিল। ইউরোপে পূৰ্ব্বেও ছিল, এখনও আছে—বস্তুতঃ শৰ্ব্বিলককে, ইউরোপীয় ছাঁচের মানুষ বলিয়াই বোধ হয়। কিন্তু ওরূপ প্রবল স্বৈরাচারের একান্ত বিরোধী আৰ্য্যশাস্ত্রের শিক্ষাপ্রভাবে ঐ প্রকার লোক এদেশে ক্রমেই নুন হইয়া গিয়াছিল—চারুদত্ত প্রকৃতির লোকই বাড়িয়াছিল, এবং এখনও বাড়িয়া আছে। দেখ মৃচ্ছকটিক প্রণেতা চারুদত্ত এবং শৰ্ব্বিলক উভয়কে গঠন করিয়া নিজগ্রন্থে চারুদত্তেরই প্রধান স্থান কল্পনা করিয়া গিয়াছেন। শৰ্ব্বিলকের স্থান উচ্চ নয়। শৰ্ব্বিলক যে সাহসের কৰ্ম্ম করেন তাহ বলিয়াই গ্রন্থকার নিবৃত্ত হয়েন নাই। শৰ্ব্বিলক যে কোন প্রকার ধৰ্ম্মকথাই মানে না, যাহা কিছু তাহার ইচ্ছার গতিরোধ করে, তাহাই উল্লঙ্ঘন করিতে প্রস্তুত, নাটককার তাহাও পদে পদে দেখাইয়। দিয়াছেন। একটা দৃষ্টান্ত দিতেছি। শৰ্ব্বিলক চৌর্য্য কাৰ্য্যে প্রবৃত্ত হইয়া সন্ধিখনন করিতে করিতে পরিমাণস্বত্র ভুলিয়া আসিয়াছে মনে হওয়াতে বলিল