১১শ সংখ্যা ] মণ্ডলীকে প্রবঞ্চন করিবার বাসনায় ৰিজ মনোমত দিয়৷ থাকিতেন তাহ হইলে ইহাতে সেই বংশাবলীর শেষ দুই-তৃতীয়াংশ সত্য হইত না। ঐ বংশাবলীর কতদূর এক্ষণে সহ্য সপ্রমাণিত হইয়াছে তাহ পরে এই প্রবন্ধে প্রকাশ পাইবে । যখন আবার বিবেচনা করা যায় যে কোন রাজা কত বৎসর রাজত্ব করিয়াছিলেন তাহাও পুরাণে পুঙ্খানুপুঙ্খ লিখিত তখন সেই বর্ণনা অবিশ্বাস করা বেহার-চিত্র &ጭ » দুঃসাহস মনে হয়। অতএব পুরাণের প্রমাণে যুধিষ্ঠিাদির অস্তিত্ব অবগু স্বীকাৰ্য্য। যাব তায় পুরাণ আলোচনা আবখ্যক নাই। কেবল বিষ্ণু পুরাণ, বায়ু পুরাণ, ভাগবতপুরাণ, মৎস্যপুরাণ ও ব্রহ্মাণ্ডপুরাণ হইতেই দেখাইতে পারা যায় যে পরীক্ষিতের সময় হইতে, খৃষ্টীয় পঞ্চম મકાજી નળજી যুধিষ্ঠিরাধির ঐতিহাসিকতা স্বীকৃত । শ্রীহরিচরণ গঙ্গোপাধ্যায়। বেহার-চিত্র দে ওয়ানজি ( বেহারের লাল৷ কৰ্ম্মচারী ) জীবনের প্রত্যুষেই যুন্সী ছেদিগম্বুদের চরিত্রে বিষয়বুদ্ধির সুতীক্ষ্ণ অক্ষুর দেখ। গিয়াছিল। অন্যান্ত অল্পবুদ্ধি বালকের যখন "লেঙ্গ ড্র গুরুজির" বৃক্ষতলস্থ পাঠশালে বসিয়া সমস্বরে "ও নামাসি ধং গুরুজি পতং” আবৃত্তি করিত, বালক ছেদি তখন পাঠশালা হইতে পলায়ন করিয়া নদীতীরস্থ তাম্রকুঞ্জে বড়লোকের নষ্টস্বভাব ছেলেদের সঙ্গে’ "জুয়া থেলিয়া দুই পয়সা উপার্জনের চেষ্টা করিত এবং বাবু গণেশলালের নির্জন উদ্যান হইতে প্রতিদিনের ব্যবহার্য্য তরকারি সংগ্ৰহ করিত। স্নানের সস্তু-প্লfরধেয় বস্ত্র সাহায্যে নদী হইতে মৎস্য সংগ্রহ ব্যাপ্লারে ও ছেদির আকুরাগের অভাব ছিল না। সাধু-সন্ন্যাসীর সেবা করিয়া কৈশোরেই ছেদি তাম্রকুট হইতে গঞ্জিকার সোপানে আরোহণ করিয়াছিল, মাঠের খর্জুর বৃক্ষ হইতে গোপনে আহরিত ‘ লড়ি'র রসাম্বাদও তাহার অবিদিত ছিল না। সুকুমার কৈশোরেই পৌত্রের এই সৰ্ব্বতোমুখী প্রতিভা দেখিয়া বুদ্ধ দামড়িলাল সৰ্ব্বদাই পুলকিত চিত্তে ভবিষ্যৎ বাণী কfরতেন যে এ ছেলে বাচিয়া থাকিলে ‘দেওয়ানজি' না হইয়া ছাড়িবে না । বয়ঃক্রম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে প্রথরবুদ্ধি ছেদি আরও দুই একটা &লভ বিদ্য৷ সহজেই আয়ত্ত করিয়া লইল। তাহার মধ্যে সর্বপ্রধান— হিসাবে গোজামিল দেওয়ার বিদ্যা এবং একজনের লেখা দেখিয়া অবিকল সেইরূপ লিখিবার কৌশল। ছেদির পিতার একটী ক্ষুদ্র মস্লার দোকান ছিল। এই দোকানই, ছেদিকে
পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৬৭৬
অবয়ব