এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
প্রাণের ভয়ে ছুটতে লাগল। কিন্তু চোখে কাপড় বাঁধা ছিল বলে ভালো করে ছুটতে পারল না।
জোলা তো গোড়া থেকেই তার পিঠে চড়ে বসে আছে, আর ভাবছে এটা তার ঘোড়ার ছানা! সে ঠিক করে রেখেছে যে একটু ফরসা হলেই পথ চিনতে পারবে, আর ঘোড়ার ছানাটাকে নিয়ে বাড়ি যাবে। ফরসা যখন হল, তখন জোলা দেখলে যে, কাজ তো হয়েছে! সে ঘোড়া মনে করে বাঘের উপর চড়ে বসেছে। তখন আর সে কি করে? সে ভাবলে যে এবারে আর রক্ষা নেই!
বাঘ ছুটছে আর বলছে ‘দোহাই টাগদাদা’! আমার ঘাড় থেকে নামো, আমি তোমায় পুজো করব।’ জোলা জানে না যে বাঘ তাকেই টাগ বলছে! জোলা খালি ভাবছে, সে কি করে পালাবে।
এমন সময় বাঘ একটা বটগাছের তলা দিয়ে যাচ্ছিল। সেই গাছের ডালগুলি খুব নীচু, হাত বাড়ালেই ধরা যায়! জোল খপ করে তার একটা ডাল ধরে ঝুলে গাছে উঠে পড়ল।
৭১