পাতা:ইণ্ডিয়ান মিউজিয়ামের পরিচয়পত্র.pdf/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( > 0 s ) পার্থীরা, স্তন্যপায়ী প্রাণীদের ন্যায় “গরম রক্তের” প্রাণী । এই কথাটা ভেকাদির বিবরণেই বিশেষ করিয়া বলা হইয়াছে । পার্থীদের গায়ের উত্তাপ সব রকমের স্বাভাবিক অবস্থায় সাধারণতঃ ১০৪ ডিগ্রি ( ফারণহিট ) থাকে দেখা যায় । মানুষের স্বাভাবিক উত্তাপ ৯৮ ডিগ্রি ( ফারণহিট )। কাজেই পাখীদের স্বাভাবিক উত্তাপ মানুষের এবং অন্ত সব স্তন্যপায়ী প্রাণীর স্বাভাবিক উত্তাপ হইতে অনেক অধিক । এই শারীরিক উত্তাপাধিক্য পার্থীদের জীবন-প্রবাহের কার্য্যের দ্রুততার পরিচায়ক। পতঙ্গাদির দ্যায় পার্থীরাও গগণচারী প্রাণী ও বায়ুচর। এই দুই অতি ভিন্ন প্রকারের এবং দূরস্থ প্রাণি-শ্রেণীর অন্তর্গত হইয়াও ইহাদের মধ্যে কতকগুলি আশ্চর্য্য রকমের ঐক্যতা দেখা যায় – উড়িবার শক্তি, শ্বাসক্রিয়ার জটিল ও বিস্তৃত বন্দোবস্ত, উজ্জল বণবৈচিত্র, স্ত্রীপুরুষভেদে ভিন্ন আকৃতিবিশিষ্টতা ( Sexual dimorphism ), Cătă-fazássa ( Preferential mating ) :az: Hsziবৎসলতা । নীচ শ্রেণীর শিরদাড়াওয়ালা প্রাণীদের তুলনায় পাখীদের জীবনে ভাবুকতার প্রভাব অনেক বেশী । জীবন-সঙ্গীদের প্রতি ভালবাসা, সস্তান প্রতিপালনে তৎপরতা, নিয়ত আনন্দ উপভোগে অনুরক্তি (যাহা অনেক সময় সুমিষ্ট তানে পরিণত হইয়া ৰাহিরে প্রকাশ হইয়া পড়ে) এ সবই ইহাদের ভাবমূলক প্রকৃতির পরিচায়ক । গেলারির মাঝখানে পুবের দিকে মুখ করা কয়েকটি খাড়া গ্লাসকেসে পার্থীদের ভিতর স্ত্রী-পুরুষভেদে সাজ সজ্জার এবং ঐ সবের পরিদর্শন প্রণালীর কয়েকটি দৃষ্টান্ত দেখান হইয়াছে। পাখীদের মধ্যে সাধারণতঃ পুরুষগুলিই অপেক্ষাকৃত অধিক বড়, অধিক বগশালা এবং জাকাল ও পোষাক দেখা যায়। এই সাধারণ নিয়মের ব্যতিরেকে দৃষ্টান্ত ভারতবর্ষের ziÈR C Ft:37 ( Button Quail ) qqs চকরাপাকড়া কাদাখোচায় (Painted Snipe) দেখা যায়। ইহাদের মধ্যে স্ত্রী-পার্থীরাই পুরুষ পার্থী হইতে অধিক বড় এবং বেশী সুন্দর। শিকারী পাখীদের ভিতর স্ত্রীজাতির পুরুষদের অপেক্ষা অধিক বড় হয় বটে কিন্তু অধিক সুন্দর হয় না। হংসাদি ভিন্ন পার্থীর সাধারণতঃ একনিষ্ঠ ।