পাতা:বিশ্বপরিচয়-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিশ্বপরিচয়

স্ফোরণ ঘটতে থাকে, অবশেষে গিয়ে ঠেকে সীসেতে। আলফাকণা যখন শুরু করে তার দৌড় তখন তার বেগ থাকে এক সেকেণ্ডে প্রায় দশহাজার মাইল। কিন্তু যখন তাকে কোনো বস্তুপদার্থের এমন কি বাতাসের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় তখন দু-তিন ইঞ্চি খানেক পথ যেতে যেতেই তার চলন সহজ হয়ে আসে। আলফা-রশ্মি চলে একেবারে সোজা রেখা ধরে। কী করে পারে সে একটা ভাববার কথা। কেননা বাতাসে যে অক্সিজেন বা নাইট্রোজেন পরমাণু অছে হেলিয়মের পরমাণু তার চেয়ে অনেক হালকা আর ছোটো। এই তিন ইঞ্চি রাস্তায় বাতাসের বিস্তর ভারি ভারি অণু তাকে ঠেলে যেতে এ কিন্তু ভিড় ঠেলে যাওয়া নয়, ভিড় ভেদ করে যাওয়া। পরমাণু বলতে বোঝায় একটি কেন্দ্রবস্তু আর তাকে ঘিরে দৌড়-খাওয়া ইলেকট্রনের দল। এদের পাহারার ভিতর দিয়ে যেতে প্রচণ্ড বেগের জোর চাই। সেই জোর আছে আলফা-কণার। সে অন্য মণ্ডলীর ভিতর দিয়ে চলে যায়। অন্য পরমাণুর ভিতর দিয়ে যেতে যেতে লোকসান ঘটাতে থাকে। কোনো পরমাণুর দিলে হয়তো একটা ইলেকট্রন সরিয়ে, ক্রমে দুটো তিনটে গেল হয়তো তার খসে, তখন ইলেকট্রনগুলো বাঁধনছেঁড়া হয়ে ঘুরে বেড়ায় কিন্তু বেশিক্ষণ নয়। অন্য পরমাণুদের সঙ্গে জোড় বাঁধে। যে পরমাণু ইলেকট্রন হারিয়েছে তাকে লাগে পজিটিভ বৈদ্যুতের হয়

৪০