পাতা:কাব্যগ্রন্থ (নবম খণ্ড).pdf/৫৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাঙ্কনী তাহ’লে, মহারাজ, শ্রুতিভূষণকে ওদের কাছে পাঠিয়ে দিন না—আমরা ততক্ষণ যুদ্ধের পরামর্শটা— না, না, যুদ্ধ পরে হবে, শ্রুতিভূষণকে ছাড়তে পারচিনে। - মহারাজ, স্বর্ণমুদ্রা দেবার কথা বলছিলেন কিন্তু সে দান যে ক্ষয় হ’য়ে যাবে । বৈরাগ্যবারিধি লিখচেন— স্বর্ণদান করে যেই করে দুঃখ দান যত স্বর্ণ ক্ষয় হয় ব্যথা পায় প্রাণ । শত দাও, লক্ষ দাও, হ’য়ে যায় শেষ, শূন্য ভাণ্ড ভরি শুধু থাকে মনঃক্লেশ । আহা শরীর রোমাঞ্চিত হ’ল । প্রভু কি তাহ’লে— না আমি সহস্ৰমুদ্র চাইনে ! দিন দিন একটু পদধূলি দিন । সহস্র মুদ্রা চান না। এত বড় কথা ! মহারাজ, এই সহস্র মুদ্রা অক্ষয় হ’য়ে যাতে মহারাজের পুণ্যফলকে অসীম করে আমি এমন কিছু চাই ! গোধনসমেত আপনার ঐ কাঞ্চনপুর জনপদটি যদি ব্ৰহ্মত্রদান করেন কেবলমাত্র ঐটুকুতেই আমি সস্তুষ্ট থাকব ; কারণ বৈরাগ্যবারিধি বলচেন— বুঝেচি শ্রুতিভূষণ, এর জন্যে আর বৈরাগ্যবারিধির প্রমাণ দরকার নেই। মন্ত্রী, কাঞ্চনপুর জনপদটি যাতে শ্রুতিভূষণের বংশে চিরন্তন—আবার কি, বারবার কেন চীৎকার করচে ? ○ ○○ 9–70