বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্ম ও জগৎ । বরং ঐ সকল সিদ্ধান্ত হইতেও উচ্চতর সিদ্ধান্তসমূহ স্থাপন করে, আর এইজন্তই আধুনিক বৈজ্ঞানিকগণের প্রাণে ইহা খুব লাগিতেছে। র্তাহারা দেখিতেছেন, প্রাচীন দ্বৈতবাদাত্মক ধৰ্ম্মসমূহ উহাদের পক্ষে পর্য্যাপ্ত নহে, উহাতে র্তাহাদের জ্ঞানের ক্ষুধা মিটিতেছে না। কিন্তু এই অদ্বৈতবাদে তাহদের জ্ঞানের ক্ষুধ মিটিতেছে। শুধু প্রাণের বিশ্বাস থাকিলে মানুষের চলিবে না, এমন বিশ্বাসও থাকা চাই, যাহাতে তাহার জ্ঞানবৃত্তি চরিতার্থ হয়। যদি মানুষকে যাহা দেখিবে, তাহাই বিশ্বাস করিতে বলা হয়, তবে সে শীঘ্রই বাতুলালয়ে যাইবে। একবার জনৈক মহিলা আমার নিকট একখানি পুস্তক পঠাইয় দেন—তাহাতে লেখা ছিল, সমুদয় বিশ্বাস করা উচিত। ঐ পুস্তকে আরও লিখিত ছিল যে, মানুষের আত্মা বা ঐরূপ কিছুর অস্তিত্বই নাই। তবে স্বর্গে দেবদেবীগণ আছেন আর একটী জ্যোতিঃস্থত্র আমাদের প্রত্যেকের মস্তকের সহিত স্বর্গের সংযোগ সাধন করিতেছে। গ্রন্থকত্রী এ সকল জানিলেন কিরূপে ? তিনি প্রত্যাদিষ্ট হইয়। এ সকল তত্ত্ব জানিতে পারিয়াছিলেন আর তিনি আমাকেও ঐ সকল বিশ্বাস করিতে বলিয়াছিলেন। আমি যখন র্তাহার ঐ সমস্ত কথা বিশ্বাস করিতে অস্বীকৃত হইলাম, তিনি বলিলেন, “তুমি নিশ্চিত অতি জ্বরাচার—তোমার আর কোন আশা নাই।” যাহা হউক, এই উনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগেও আমার পিতৃপিতামহাগত ধৰ্ম্মই একমাত্র সত্য, অন্য যে কোন স্থানে যে কোন ধৰ্ম্মপ্রচারিত হইয়াছে, তাহ অবশুই মিথ্যা-এইরূপ ধারণ অনেকস্থলে বর্তমান থাকাতে ইহা বেশ প্রমাণিত হয় যে, আমাদের ভিতর এখনও কতকটা দুৰ্ব্বলতা রহিয়াছে-এই দুৰ্ব্বলত SW3).