পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । অবস্থাগুলিকে জয় করিতে পারিব। উহাদিগকে জয় করিবার উপায় কি ? আমরা বাস্তবিক পক্ষে বাহিরের বিষয়গুলিতে কোন পরিবর্তন উৎপাদন করিয়া উহাদিগকে জয় করিতে পারি না । ক্ষুদ্রকায় মৎস্যটা তাহার জলন্ত শক্ৰগণ হইতে আত্মরক্ষায় ইচ্ছুক। সে কি করিয়া উহা সাধন করে ? আকাশে উড়িয়া—পক্ষী হইয়। মৎস্যটা জল বা বায়ুতে কোন পরিবর্তন সাধন করিল না— পরিবর্তন যাহা কিছু হইল, জাহা তাহার নিজের ভিতরে। পরি বৰ্ত্তন সৰ্ব্বদাই ‘নিজের’ ভিতরেই হইয়া থাকে। এইরূপে আমরা দেখিতে পাই, সমুদয় ক্রমবিকাশ ব্যাপারটাতে পরিবর্তন নিজের’ ভিতর হইয়া হইয়াই প্রকৃতির জয় হইতেছে। এই তত্ত্বট ধৰ্ম্ম এবং নীতিতে প্রয়োগ কর—দেখিবে, এখানেও অশুভজয়’ ‘নিজের’ ভিতরে পরিবর্তনের দ্বারাই সাধিত হইতেছে । সবই নিজের উপর নির্ভর করে, এই ‘নিজেট’র উপর ঝোক দেওয়াই অদ্বৈতবাদের প্রকৃত দৃঢ় ভূমি। ‘অশুভ, দুঃখ’ এ সকল কথা বলাই ভুল, কারণ, বহির্জগতে উহাদের কোন অস্তিত্ব নাই। ক্রোধের কারণসমূহ পুনঃ পুনঃ ঘটলেও ঐ সকল ঘটনায় স্থিরভাবে থাকা যদি আমার অভ্যাস হইয়া যায়, তাহ হইলেই আমার কখনই ক্রোধের উদ্রেক হইবে না । এইরূপে লোকে আমাকে যতই ঘৃণা করুক, যদি সে সকল আমি গায়ে না মাখি, তাহা হইলে আমারও তাহার প্রতি ঘৃণার উদ্রেক হইবে না । এইরূপেই ‘অশুভজয়’ করিতে হয়— "নিজের উন্নতি সাধন করিয়া। অতএব তোমরা দেখিতেছ, অদ্বৈতবাদই একমাত্র ধৰ্ম্ম, যাহা আধুনিক বৈজ্ঞানিকগণের সিদ্ধান্তসমূহের সহিত ভৌতিক ও আধ্যাত্মিক উভয়দিকেই শুধু মেলে, তাহ নয়, \e