বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্ম ও জগৎ । দেখিতেছি, আর ঐরূপে নীচের দিক্ হইতে দেখিলে এই ব্ৰহ্ম জগদ্ধপে দৃষ্ট হন। ইহা হইতে বেশ বোধ হইতেছে, যেখানে বঙ্গ, সেখানে দেশকালনিমিত্ত নাই। কাল তথায় থাকিতে পারে না, কারণ, তথায় মনও নাই, চিন্তাও নাই। দেশ তথায় থাকিতে পারে না, কারণ, তথায় কোন পরিণাম নাই। গতি এবং নিমিত্ত বা কাৰ্য্যকারণভাবও তথায় থাকিতে পারে না, যথায় একমাত্র সত্তা বিরাজমান। এইট বুঝা এবং বিশেষরূপ ধারণ করা আমাদের আবশুক যে, যাহাকে আমরা কাৰ্য্যকারণচাপ বলি, তাহ ব্ৰহ্ম প্রপঞ্চরূপে অবনতভাবাপন্ন-হুইবার পর (যদি ৷ আমরা এইরূপ ভাষা প্রয়োগ করিতে পারি ) আরম্ভ হয়, গঙ্গর পূৰ্ব্বে নহে ; আর আমাদের ইচ্ছা বাসন প্রভৃতি যাহা কিছু সব তার পর হইতে আরম্ভ হয়। আমার বরাবর এই ধারণা যে, শোপেনহাওয়ার (Schopenhauer) বেদান্ত বুঝিতে এই জায়গায় ভ্রমে পড়িয়াছেন—তিনি এই ইচ্ছা’কেই সৰ্ব্বস্ব করিয়াছেন। তিনি ব্রহ্মের স্থানে এই ইচ্ছা’কে বসাইতে চান । কিন্তু পূৰ্ণব্ৰহ্মকে কখন ইচ্ছা বলিয়া বর্ণনা কর বাইতে পারে ম, কারণ, ইচ্ছা জগৎপ্ৰপঞ্চের অন্তর্গত ও পরিণামশীল, কিন্তু বন্ধে ( ‘গ’ এর অর্থাৎ দেশকালনিমিত্তের উপরে ) কোনরূপ গতি নাই, কোনরূপ পরিণাম নাই। ঐ (গ) এর নিমেই গতি-বাহ ধী আন্তর সর্বপ্রকার গতির আরম্ভ ; আর এই আন্তরিক গুতিকেই চিন্তা বলে। অতএব, (গ) এর উপরে কোনরূপ ইচ্ছা থাকিতে পারে না, সুতরাং ইচ্ছা জগতের কারণ হইতে পারে না । আরো নিকটে আসিয়া পর্যবেক্ষণ কর ; আমাদের ➢ 8ዊ