পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । শরীরের সকল গতি ইচ্ছাপ্রযুক্ত নহে। আমি এই চেয়ারখানি নাড়িলাম , ইচ্ছ। অবশ্ব উহ নাড়াইবার কারণ, ঐ ইচ্ছাই পৈশিক শক্তিরূপে পরিণত হইয়াছে। এ কথা ঠিক বটে। কিন্তু যে শক্তি চেয়ারখানি নাড়াইবার কারণ, তাহাই আবার হৃদয়ে ফুসফুসকেও সঞ্চালিত করিতেছে, কিন্তু ইচ্ছা’রূপে নহে। এই দুই শক্তিই এক ধরিয়া লইলেও যখন উহা জ্ঞানের ভূমিতে আরোহণ করে, তখনই উহাকে ইচ্ছা’ বলা যায়, কিন্তু ঐ ভূমি আরোহণ করিবার পূৰ্ব্বে উহাকে ইচ্ছা বলিলে উহাকে ভুল নাম দেওয়া হইল, বলিতে হইবে । ইহাতেই শোপেনহাওয়ারের দর্শনে বিশেষ গোলযোগ হইয়াছে। বরং এখানে ‘প্রজ্ঞা’ ও ‘সম্বিং শবান্ধয় ব্যবহার করিলে ভাল হয়। এই শব্দ ছুইটী মনের সর্ব প্রকার অবস্থার সম্বন্ধে ব্যবহৃত হইতে পারে। প্রজ্ঞা ও সম্বিং ঠিক জ্ঞানের অবস্থা বা জ্ঞানের পূর্বাবস্থা নহে, বরং উহাকে মানসিক পরিণামসমূহের একটা সাধারণ ভাব বলা যাইতে পারে। । যাহা হউক, এক্ষণে আলোচনা করা যাউক, আমরা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করি কেন। একটী প্রস্তর পড়িল, আমরা অমনি প্রশ্ন করিলাম, উহার পতনের কারণ কি ? এই প্রশ্নের ছায্যত বা সম্ভবনীয়তা এই অনুমান বা ধারণার উপর নির্ভর করিতেছে যে, যাহা কিছু ঘটে তাহারই পূৰ্ব্বে—প্রত্যেক গতিরই পূর্বে আর কিছু ঘটিয়াছে। এই বিষয়টা সম্বন্ধে আপনাদিগকে খুব স্পষ্ট ধারণা করিতে অনুরোধ করিতেছি, কারণ, যখনই আমরা জিজ্ঞাসা করি, এই ঘটনা কেন ঘটিল, তখনই জামরা মানিয় X 8b