হিন্দুধৰ্ম্মের নবজাগরণ বুঝিতে পারে, যখন উহা তাহদের অনুভবের উপযোগী হইয়া স্থূল আকারে তাহাদের সম্মুখে প্রকাশ পায়। তাহাদের নিকট প্রবল সমরোৎসাহ লুণ্ঠনাদিই, খুব স্পষ্টতঃ প্রত্যক্ষ শক্তির বিকাশ বলিয়া প্রতীত হয় ; আর যাহা কিছু ঝড়ের মত আসিয়া সম্মুখে যাহা কিছু পায় তাহাকেই উলটিয়া পালটিয়া দেখ না, তাহাই তাহাদের দৃষ্টিতে মৃত্যুস্বরূপ । সুতরাং শত শত শতাব্দী ধরিয়া কোনরূপ বাধা দিবার চেষ্টাশূন্ত হইয়া বিদেশী বিজেতৃগণের পদতলে পতিত, একতাহীন, স্বদেশহিতৈষণ৷ লেশশূন্ত ভারতবর্ষ তাহাদের নিকট গলিত অস্থিপূর্ণ ভূমি বলিয়া, প্রাণহীন পচনশীল পদার্থরাশি বলিয়া প্রতীত হইবে । কথিত হয় যে, যোগ্যতমই কেবল জীবনসংগ্রামে জয়ী হইয়া থাকে । তবে সাধারণ ধারণানুসারে যে জাতি সৰ্ব্বজাতির মধ্যে অযোগ্যতম, সে জাতি দারুণ জাতীয় দুর্ভাগ্যচক্রে নিষ্পেষিত হইলেও কেন তাহার বিনাশের কিছুমাত্র চিহ্ন দেখা যাইতেছে না ? তথাকথিত বীৰ্য্যশালী ও কৰ্ম্মপরায়ণ জাতিসমূহের শক্তি যেমন একদিকে প্রতিদিন কমিয়া আসিতেছে, তেমনি এদিকে দুর্নীতিপরায়ণ ( ) হিন্দুর সর্বাপেক্ষ অধিক শক্তির বিকাশ হইতেছে, ইহা কিরূপে হয় ? র্যাহারা ф: о