পাতা:শোধবোধ-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রথম অঙ্ক
শােধ-বােধ
দ্বিতীয় দৃশ্য

 মন্মথ। বিবেচনা না ক’রে তো আমি কিছুই করি না।

 শশধর। তবে দোহাই তোমার, বিবেচনা একটু খাটো করো! ছেলেটাকে কি জেলে দেবে? তাতে কি ওর ভালো হবে?

 মন্মথ। তা জানিনে, কিন্তু যার যেটা প্রাপ্য, সে তাকে পেতেই হবে।

 শশধর। প্রাপ্যের চেয়েও বড়ো জিনিষ আছে, তার পরেও মানুষেব দাবী থাকা অন্যায় নয়।

 মন্মথ। মিথ্যে আমাকে ব’ল্‌চো। হয় তো সব দোষ আমারই, একলা আমারই। তার শাস্তিও যথেষ্ট পেয়েচি। এখন তোমরাই যদি সংশোধনের ভার নাও তো নাও, আমি নিষ্কৃতি নিলুম।

উভয়ের প্রস্থান।

সতীশের বেগে প্রবেশ

সতীশ। (উচ্চস্বরে) মা, মা!

বিধুর প্রবেশ

 বিধু। কী সতীশ, কী হ’য়েছে?

 সতীশ। ঠিক ক’রেছি, যেমন করে’ হোক্ নেকলেস্‌টা নেলির কাছ থেকে ফিরিয়ে আন্‌বোই।

 বিধু। কী ছুতো ক’র্‌বি?

 সতীশ। কোনো ছুতোই না। সত্যি কথা ব’ল্‌বো। নেলির কাছে আমি কিছু লুকোবো না।

 বিধু। না, না, সে কি হয়?

 সতীশ। ব’ল্‌বো গুড়গুড়ির কথা—ব’ল্‌বো আমার অবস্থা কত খারাপ। আমি নেলিকে ফাঁকি দিতে পার্‌বো না।

[ ৩৫