দাঁড়াইল। দারুকেশ্বর উৎসাহিত হইয়া কহিল,—এই যে চাচা। আজ রান্নাটা কি হয়েছে বল দেখি!
সে অনেক গুলা ফর্দ দিয়া গেল। দারুকেশ্বর কহিল কোনটাই ত মন্দ শোনাচে না হে! (অক্ষয়ের প্রতি) মশায়, কি বিবেচনা করেন? ওর মধ্যে বাদ দেবার কি কিছু আছে?
অক্ষয় অন্তরালের দিকে কটাক্ষ করিয়া কহিলেন—সে আপনারা যা ভাল বোঝেন!
দারুকেশ্বর কহিল, আমার ত মত, ব্রাহ্মণেত্যো নমঃ বলে সব কটাকেই আদর করে নিই!
অক্ষয়। তা ত বটেই, ওঁরা সকলেই পূজ্য!
কলিমদ্দি সেলাম করিয়া চলিয়া গেল। অক্ষয় কিঞ্চিৎ গলা চড়াইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, মশায়রা কি তাহলে আজ রাত্রেই ক্রিশ্চান হতে চান?
খানার আশ্বাসে প্রফুল্লচিত্ত দারুকেশ্বর কহিল—আমার ত কথাই আছে, শুভস্য শীঘ্রং। আজই ক্রিশ্চান হব, এখনি ক্রিশ্চান হব, ক্রিশ্চান হয়ে তবে অন্য কথা! মশায়, আর ঐ পুঁই শাক কলাইয়ের ডাল খেয়ে প্রাণ বাঁচে না! আনুন আপনার পাদ্রি ডেকে! বলিয়া পুনশ্চ উচ্চস্বরে গান ধরিল—
যাও ঠাকুর চৈতন-চুটুকি নিম্ন,
এস দাড়ি নাড়ি কলিমন্দি মিঞা!
চাকর আসিয়া অক্ষয়ের কানে কানে কহিল—মাঠাকুরুণ একবার ডাক্চেন।
অক্ষয় উঠিয়া দ্বারের অন্তরালে গেলে জগত্তারিণী কহিলেন—এ কি! কাণ্ডটা কি?
অক্ষয় গম্ভীরমুখে কহিলেন—মা সে সব পরে হবে এখন ওরা হুইস্কি