হাতে পেলেও তােমার সঙ্গে মিলতে পারব না। পাণিগ্রহণ! এই হাত নিয়ে! কিন্তু কেন এসব কথা! সমস্ত কালাে দাগ মুছবে যমকন্যার কালাে জলে, তারই কিনারায় এসে বসেছি। আজ বলা যাক যত সব হালকা কথা হাসতে হাসতে। সেই জন্মদিনের ইতিবৃত্তটা শেষ করে দিই। কী বল, এলী।”
“অন্তু, মন দিতে পারছিনে।”
“আমাদের দুজনের জীবনে মন দেবার যােগ্য যাকিছু আছে সে কেবল ওইরকম গােটাকয়েক হালকা দিনের মধ্যে। ভােলবার যােগ্য ভারি ভারি দিনই তাে বহুবিস্তর।”
“আচ্ছা, বলো অন্তু।”
“জন্মদিনের খাওয়া হয়ে গেল। হঠাৎ নীরদের শখ হল পলাশির যুদ্ধ আবৃত্তি করবে। উঠে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে গিরিশ ঘােষের ভঙ্গিতে আউড়িয়ে গেল―
কোথা যাও ফিরে চাও সহস্র কিরণ,
বারেক ফিরিয়া চাও ওগাে দিনমণি।
নীরদ লােক ভালাে, অত্যন্ত সাদাসিধে, কিন্তু নির্দয় তার স্মরণশক্তি। সভাটা ভেঙে ফেলবার জন্যে আমার মন যখন হন্যে হয়ে উঠেছে তখন ওরা ভবেশকে গান গাইতে অনুরােধ করলে। ভবেশ বললে, হার্মোনিয়ম
১২১