পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

و " مهم سه هاه ర\9ు অনেক গ্রন্থ রচনা করেন কিন্তু উষ্ণৗষ আর পরিধান করেন নাই । তিনিই গুজরাতি ভাষায় সঞ্জীবনী আনয়ন করেন । গুজরাতি কলিতার প্রভাতী গায়ক নরসিংহ মেহেতার বন্দনায় গুজরাতি সাহিত্য তরুণ অরুণালোকে উদ্ভাসিত হইয়া সৌন্যত্রীতে প্রকটিত হইল। নরসিংহ মেঙ্গেত কেবল মনীষী বলিয়া গুজরাতের সমস্ত নর নারীর হৃদয়ে স্থানলাভ করিয়াছেন তাহ নয়, মহর্ষি বলিয়া ভক্তহৃদয়ের সমুচ্চ স্থানও অধিকার করিয়াছেন। জুনাগড়ে নরসিংহ মেঙ্গেতার বাসগৃহ ও রাসমঞ্চ দেখিয়াছি, সে রাসমঞ্চে শ্রীকৃষ্ণের চরণচিহ্ল আছে বলিয়া পুজা হইয়া থাকে। আর নরসিংহ মেহেতার প্রতিষ্ঠিত শ্ৰীকৃষ্ণের মূৰ্ত্তির পাশ্বে ষ্ট নরসিংহ মেহেতার একটী মূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। আবালবৃদ্ধবনিতার সভক্তি উপহার পূজা পুষ্পাঞ্জলি নিত্য তাতার চরণতলে পতিত হইতেছে। প্রেমময় কবি অতুল্য অমরত লাভ করিয়াছেন। নরসিংহ মেহেতা চিরজীবন শ্রীকৃষ্ণের প্রেমসঙ্গীরূপে র্তাহার গুণগানে মত্ত হইয়া এখানে অবস্থান করিতেন। স্থানের প্রাকৃতিক দৃগুটীও অতি সুন্দর, প্রাচীন রৈবতক বা গিরনার পর্বতের পাদমূলেই তাকার বাসভবন অবস্থিত ছিল । নরসিংহ মেহেতার কিছুকাল পরেই প্রেমানন্দ ভটের সরস কাব্যলহরীর সময় । নরসিংহ মেহেতা যেমন আদি কবি বলিয়া প্রসিদ্ধ, প্রেমানন্দ তেমনি গুজরাতের সর্বশ্রেষ্ঠ কবিপদে আরূঢ় । তাঙ্গর কবিতা প্রেম ও ভক্তিবিষয়ে পূর্ণ এবং অতি সুললিত বলিয়া প্রসিদ্ধ। ওখাকরণ ( উষাকরণ ), দানলীলা, নলাখ্যান, সুদামা-চরিত্র, মামেরু, রণযজ্ঞ ইত্যাদি অতি সুন্দর গ্রন্থ। ওখাহরণ মধুর তাহার প্রেম-ভক্তিবিষয়ক কাব্যপাঠে মানবের মন বিগলিত ও সাধকের মন به خ" و همه های ۰ - ۶۰۰۰۰ - مه ۶ه রসকাব্যের শ্রেষ্ঠ গ্ৰন্থ বলিয়া প্রসিদ্ধ । অপার আনন্দে আপ্লত য়। ওখ তৎকালীন দার্শনিক কলি বলিয়া প্রসিদ্ধ । বৈবাগা, চেতন, মায়া, বিশ্বরূপ, জীব, ঈশ্বর, সগুণ, ভক্তি ইত্যাদি বিষয়ক কবিতায় রচনা পূর্ণ। জ্ঞানমার্গ অবলম্বী ওখার কবিত। এক স্বতন্ত্র ধরণের । “জ্ঞামীন কবিমান গনীশ”— জ্ঞানীদিগকে কবির মধ্যে গণনা করিও না, তাহার উক্তি । কেহ কেহ তাহাকে কবি, কেহ কেহ বা র্তাহাকে জ্ঞানী প্রবাসী—মাঘ, ১৩১৭ [ २०अ छांश, २ग्न थ७ বলিয়া থাকে। কাব্যচাতুৰ্য্যের প্রতি তাহার লক্ষ্য অতি সামান্য কিন্তু জ্ঞানবিচার অতি উচ্চ । তাহার পর কবি সামলভট। তাহার কবিতায় তর্ক ও বিচারশক্তি সবিশেষ প্রবল । ননীবত্রীশী, পঞ্চদও, অঙ্গদবিষ্টি, রাবণ-মন্দোধরী-সংবাদ ইত্যাদি গ্ৰন্থ অতি সুন্দর। দ্বিতীয় স্তরের কবিগণের মধ্যে বল্লভ ভট, রত্নো, কালিদাস, মুক্তানন্দ, ব্ৰহ্মানন্দ ও স্বামী নারায়ণ সম্প্রদায়ের কবিগণই প্রসিদ্ধ। বল্লভ, নরসিংহ মেচেতার পুত্র। তাঙ্কার কবিতায় তেজ গৰ্ব্ব সমধিক প্রবল ; দেশভক্তির মুন্দর বিকাশও র্তাহার কবিতায় দেখা যায়। বীর রস ও বীর ভাবের কবিতায় বল্লভই শ্রেষ্ঠ । রত্নোর ঋতুবর্ণনা ও কৃষ্ণবিরহ বিষয়ক কবিতা ভিন্ন অন্ত কবিতা পাওয়া যায় না। কলিদাসের প্রহ্লাদাখ্যান রৌদ্র ও বীর রসপূর্ণ। স্বামী নারায়ণ সম্প্রদায়ের কবিগণের রচনা তাঙ্গাদের গুরু সহজানন্দের স্তুতি, কৃষ্ণোপাসনা ও বৈরাগ্য বিষয়ক কবিতায় পূর্ণ। ধীর কবির পদ আত্মবোধ বিষয়ক । প্রীতমদাস বেদান্ত ও শৃঙ্গার উভয়বিধ বিষয়ে কবিতা রচনা করিয়াছেন কিন্তু তাহার বেদান্ত বিচার ওখার মত উচ্চ নয় । স্ত্রীকবিগণের মধ্যে মিবারের রাণা কুম্ভের মহিষী মীরাবাইয়ের প্রেমভক্তিপূর্ণ কবিতা সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ । ভক্তিমান সাধারণ লোক র্তাহাকে প্রেমের সহিত পূজা করিয়া থাকে । মীরা মূৰ্ত্তিময়ী বৈষ্ণবী বাণী । মীরাবাইয়ের প্রথম কবিতাগুলি হিন্দি ভাষায় রচিত হইয়াছিল। কৃষ্ণপ্রেমের জন্ত স্বামীগৃহ হইতে তাড়িত হইয়া মীরা দ্বারকায় আসিয়া বাস করেন। বোধ হয় তখন তক্টতে গুজরাতি কবিতা রচনায় প্রবৃত্ত হন। মীরাবাঈয়ের পূর্বের অনেক চিন্দি কবিতা গুজরাতি লোক দ্বারা পরিবর্তিত হক্টতে হইতে ক্রমে গুজরাতি কবিতার আকার ধারণ করিয়াছে । তাঙ্গার সমস্ত কবিতা রস ও পেমপূর্ণ। প্রত্যেক বাণীতে প্রেমতরঙ্গ উছলিয়া উঠে। গুজরাতের আবালবৃদ্ধরমণী গরবাগানে মীরাবাঈয়ের রচিত গান গাষ্টয়া থাকে । - পুরীবাই, গরবীবাই, কৃষ্ণাবাই নামে তিনজন স্ত্রীকবিও গুজরাতি সাহিত্যে সমধিক প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছেন। তৃতীয় যুগের শ্রেষ্ঠ কবি দয়ারাম। দয়ারাম মনুষ্যবৃত্তি