বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (দশম ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] জীবনের ভারটা অনেক কমে গেছে—এ ভাবে যদি জীবন কেটে যায়, মন্দ কি ? কিন্তু চারে বোকা । তাও কি হয়? তাহলে যে জগতের অশ্রুঞ্জলের পরিমাণ অনেকটা কমে যেত । লেষ্টনীরও তা হল না । কী এক যাতনায় তার মন এখন ক্লিষ্ট হ’তে লাগলো। তা’র মনে কীট প্রবেশ করেছে। এখন ভাবে, আমার জীবন ওর চরণে উৎসর্গ করেছি, সে কি আমার হবে না ? সে ধনীর মেয়ে ? হোক না সে ধনী, প্রেমের কাছে ধন কত তুচ্ছ । ছেলেবেলা গল্প গুনেছি কত সব রাজপুত্রীর ভালবাসায় পড়ে কত দরিদ্র যুবককে বিয়ে করেছে। আমার কপালে কি সেরূপ কিছু একটা হতে পারে না ? এক হাতে পাথার দড়িটি ধরে টানতে টানতে বারান্দায় বসে চতভাগ এইরূপ কত কি চিন্তা করত। এখন স্মাইলকে দেখলে আর তার হৃদয় আনন্দে পূর্ণ হয়ে ওঠে না—হৃদিতন্ত্রীগুলির উপর দিয়ে হু হু করে একটা বিষাদের সুর বেজে যায়। তা’র দরিদ্র হৃদয়ের উপর প্রেম যে এতটা আধিপত্য বিস্তার করেছে, তা ভেবে সে বিস্মিত হয়ে যেত । আজ স্মাক্টলের বিবাহ । এষ্ট গির্জাতেই বিয়ে হবে । ভোর হ’তে গির্জা সাজান হচ্ছে। লেষ্টনীও এ খবর গুনেছে—একজন ‘লর্ডের সঙ্গে তার বিয়ে । সংবাদটা তা’র হৃদয়খানা ভেদ করে দিয়ে গেল—একটা যেন ছিদ্র করে দিয়ে গেল। ষ্টেনী তা’র ক্ষুদ্র কুঠরীর দরজা এটে, বিছানায় গিয়ে গুয়ে পড়ল । আজ তার হৃদয় লণ্ডভণ্ড কয়ে যাচ্ছে। কে যেন লোহা পুড়িয়ে তার হৃদয়ে দাগ দিচ্ছে। সারাটি দিন সে বিছানাতেই পড়ে রইল, এক ফোট জলও মুখে দিলে না । সন্ধ্যার সময় তা’র সঙ্গীরা এসে বললে, “কি হে লেষ্টনী, আজ কাজে যাবে না ? আজ যে একটা খুব বড় বিয়ে তা বুঝি ভুলে গেছ ? চল, চল, আর দেরী लिह्ड़। *न] * লেইন ধীরে ধীরে বললে, “ন কে ভাই, আজ আমি कYzख शां’द मl ।” "আরে তোমার মত ত আর হাবা দেখিনি হে ! ९४छब्रांडि जॉहिङ, 8や● জান আজ কত বখশীস মিলবে ? চল, চল ।” . বলতে বলতে তারা লেষ্টনীকে টেনে নিয়ে চলল। লেষ্টনী ভাবছিল, “হায়! স্মাইলের বিয়ে, আর সেখানে আমাকেই পাখা টানতে হবে । ভগবান ! এ কী তোমার খেলা ! আমার বক্ষের ধন যে ছিনিয়ে নিয়ে যায়—ছিনিয়ে নেবার মুহূর্তে তাকেই আমার বাতাস কবতে হবে । তার ছিনিয়ে নেবার ক্লাস্তিটুকু আমাকেই বাতাস করে দূর করতে হবে । ভগবান!” • • • • পুরোচিত বর কন্যাকে একত্র করে দিলেন, বিয়ে হয়ে গেল। বর কন্ত আগে আগে বাহির হলেন । দরজার সামনে এসেই স্মাষ্টল চীৎকার করে উঠল “Oh ! my God !” বলেষ্ট ২/৩ হাত পিছিয়ে পড়ল । সকলে তাড়াতাড়ি গিয়ে দেখলে পাথার দড়ি হাতে করে একটা কুলি দরজার কাছে মরে পড়ে রয়েছে। শ্ৰীহেমচন্দ্র বক্সী । গুজরাতি সাহিত্য গুজরাতি সাহিত্য প্রকৃষ্ট চারি যুগে বিভক্ত। আদি যুগের আদি কবি নরসিংহ মেহেতা-ভক্তি, জ্ঞান, বৈরাগ্য ও শৃঙ্গার এই চতুৰ্ব্বিধু রসপূর্ণ গ্রন্থ রচনা করিয়াছেন । সুদামাচরিত্র, মামেরু ও বাললীলা র্তাহার সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট গ্রন্থ । বিষ্ণুদাস নামক এক ব্যক্তিকে কেহ কেহ আদি কবি বলিয়া নির্দেশ করেন, তাঙ্কার কাল ১৩০০ বিক্রম সম্বত বলিয়া জানা যায় । কিন্তু তৎকালীন কোন গ্ৰন্থই পাওয়া যায় না, কাজেই নরসিংহ মেহেতা আদি কবির অমরসিংহাসন লাভ করিয়াছেন। ভালন তাঙ্গর সমসাময়িক কবি । নরসিংহ মেহেতাঁর সময় সৰ্ব্বত্র হিন্দি ভাষার প্রচলন ছিল । একদিন কোন এক হিন্দি কবি, নরসিংহ মেহেতাকে একটা হিন্দি ‘গজল’ শুনাইয়া বলে, এমন স্বমিষ্ট কবিতা গুজরাতি ভাষায় হয় না । সেই দিন নরসিংহ মেহেতা উষ্ণীষ পরিত্যাগ করিয়া প্রতিজ্ঞ করেন, যত দিন পর্য্যন্ত গুজরাতি ভাষার সম্যক উন্নতি বিধান করিতে না পরিবেন তত দিন উষ্ণীৰ পরিধান করিবেন না । তারপর জীবনে তিনি