বিপিন। রসিকবাবু আপনি কি বলেন আমি কিছু বুঝতে পারিনে!
রসিক। কি করে বুঝবেন―ভারি শক্ত কথা!
শ্রীশ। (নিকটে আসিয়া) কি কথা শক্ত মশায়?
রসিক। এই বৃষ্টি বজ্রবিদ্যুতের কথা!
শ্রীশ। ওহে বিপিন, তার চেয়ে শক্ত কথা যদি শুনতে চাও তা হলে পূর্ণর কাছে যাও!
বিপিন। শক্ত কথা সম্বন্ধে আমার খুব বেশী সখ নেই ভাই।
শ্রীশ। যুদ্ধ করার চেয়ে সন্ধি করার বিদ্যেটা ঢের বেশী দুরূহ―সেটা তোমার আসে। দোহাই তোমার, পূর্ণকে একটু ঠাণ্ডা করে এসগে। আমি বরঞ্চ ততক্ষণ রসিকবাবুর সঙ্গে বৃষ্টিবজ্রবিদ্যুতের আলোচনা করে নিই। (বিপিনের প্রস্থান) রসিকবাবু, ঐ যে সেদিন আপনি যাঁর নাম নৃপবালা বল্লেন, তিনি― তিনি—তাঁর সম্বন্ধে বিস্তারিত করে কিছু বলুন। সেদিন চকিতের মধ্যে তাঁর মুখে এমন একটি স্নিগ্ধভাব দেখেছি, তাঁর সম্বন্ধে কৌতুহল কিছুতেই থামাতে পারচিনে।
রসিক। বিস্তারিত করে বল্লে কৌতূহল আরো বেড়ে যাবে। এ রকম কৌতূহল “হবিষা কৃষ্ণবর্ত্মেব ভূয় এবাভিবর্দ্ধতে”। আমি ত তাঁকে এতকাল ধরে জেনে আস্চি, কিন্তু সেই কোমল হৃদয়ের দ্বিগ্ন মধুর ভাবটি আমার কাছে “ক্ষণে ক্ষণে তন্নবতামুপৈতি”।
শ্রীশ। আচ্ছা তিনি—আমি সেই নৃপবালার কথা জিজ্ঞাসা করছি—
রসিক। সে আমি বেশ বুঝতেই পারচি।
শ্রীশ। তা তিনি— কি আর প্রশ্ন করব? তাঁর সম্বন্ধে যা হয় কিছু বলুন না—কাল কি বল্লেন, আজ সকালে কি করলেন যত সামান্য হোক্ আপনি বলুন আমি শুনি।
রসিক। (শ্রীশের হাত ধরিয়া) বড় খুসি হলুম শ্রীশ বাবু আপনি যথার্থ ভাবুক বটেন—আপনি তাঁকে কেবল চকিতের মধ্যে দেখে’