জ্ঞানাঙ্কুর ফাঃ, ১২৮২ ) মানবতত্ত্ব । ›ፃ ó বসিয়া ছিলেন, সেদিন, কাৰ্য্য করিতে লিশ্বকে অনাদি বলয় দোষ কি ? আরম্ভ করিলেন, একথা নিতান্ত অস- এস্থলে আর একটা বিষয় বিবেচনা ক্ষত। ইছর উত্তরে যদি বলেন, ইচ্ছাই : করিয়া দেখিলে বিশ্বের অনাদিত্ব ঈশ্বরের বিশ্বসৃষ্টির কারণ, যতদিন সম্বন্ধে কোন সন্দেহ থাকিবে না। ঈশ্বরের সে ইচ্ছা হয় নাই, ততদিন পূর্বে বলা হইয়াছে যে, আমরা কোন বিশ্বসৃষ্টি হয় নাই, যখন ইচ্ছ ছইল, পদার্থেরই আদি দেখিতে পাইনা, তখনই সৃষ্টি হইল। কিন্তু জিজ্ঞাস্য * কিন্তু তাহাতে এরূপ বুঝা যাইতে এই যে, কি জন্য এতকাল ঈশ্বরের ইচ্ছা হয় নাই এবং হঠাৎ একদিনেই বা সে ইচ্ছা হইল কেন ? যে যুক্তি অবলম্বন করিয়া এই কূট তর্কের অবতারণা করেন, একথা সে যুক্তিরও বিৰুদ্ধ। তাছাদের মুলযুক্তি এই যে, কারণ ভিন্ন কিছুই হয়না । এইজন্য র্তাহারা ভাবিলেন বিশ্বের অবশ্যই কারণ আছে এবং সেই কারণই ঈশ্বরের ইচ্ছা । যখন র্তাহারা স্পষ্টই বলিতেছেন, কারণ ভিন্ন কিছুই হয় না; তখন ঈশ্বরের ইচ্ছার কি কারণ নির্দেশ করেন ? যখন বলিতেছেন, ঈশ্বর চিরকালই আছেন, কিন্তু র্তাহার ইচ্ছা ছিলনা, তখন হঠাৎ তাহার ইচ্ছা জন্মিল কেন ? ইহার কারণ নির্দেশ করিতে না পারিলে তাহদের যুক্তির মুলে কুঠারণঘাত হইল । কিন্তু যদি র্তাহারা ঈশ্বরের ন্যায় বিশ্বকেও অনাদি অনন্তু বলেন, তাহ হইলে তাহদের যুক্তিও দুর্বলা হয় না এবং সকলদিক রক্ষা হয় । যখন আমরা কোন পদার্থেরই আদি দেখিতে পাইন, তখন | ; | { পারে যে, সে সকলের অাদি থাকা সম্ভব, কেবল আমাদের ক্ষুদ্র জ্ঞান উ{হারা ততদুর যাইতে পারেনা বলিয়া তাছা আমাদের উপলব্ধি হয় না। কিন্তু যদি আমরা এরূপ কিছু দেখিতে পাই যে, যাহার অসীমত্ব সম্বন্ধে আমাদের বিশ্বস অjছে, তাহা হইলে বিশ্বের অসীমত্ব সম্বন্ধে কেন বিশ্বাস না জন্মিবে ? এক্ষণে দেখা যাউক সেরূপ আমরা কিছু দেখিতে পাই কি না । আমরা মোটামুটী এ বিশ্ব সম্বন্ধে কি অনুভব করি ? আধার, আধেয়, কার্য ও কাল । বোধ হয় এই চারিট ভিন্ন বিশ্ব সম্বন্ধে আমাদের আর কিছুই জ্ঞান নাই । যাহাতে কিছু থাকে, তাহাকে আধার, যাহা থাকে, তাছাকে আধেয়, আপেxয়র শক্তি বা গুণ প্রকাশকে কাৰ্য্য এবং কার্য্যের ব্যাপ্তিকে কাল বলে । দুগ্ধের আধার ভাও, ভাণ্ডের আধার পৃথিবী, পৃথিবীর আধার কি ? বিবেচনা করিয়া দেখিলে স্পষ্টই বুঝা যাইবেক যে, যাহাকে আমরা শূন্য বা আকাশ বলি, তাছাই আাধার,
পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/১৮৪
অবয়ব