পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/১৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰবাসী-আষাঢ় ১৩২৪ [ ১৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড কি জানি বাবা। কাল দয়াদিদিকে বলে এসেছিলাম... উঠিলেন তা হলে আমার আর মায়া নেই, দেখতে পাহি পঞ্চানন ডাকিল—ওরে ধীরে ; ঘুম ভাঙল ? গেচে৷ ভটা , মেথর মুন্সফরাস কুকুরেরও অধম অ্যাবার বীরেন্দ্ৰ নিদ্ৰাজড়িত কণ্ঠে একটু বিমাপের স্বরে চোইয়া কটুও অসন্তুষ্ট বা অপ্ৰতিভ না হইয়া তেমনি লিল-আজে যাই হাসিমুখে লিতে লাগিল—আমাকে যত ইচ্ছে গাল দিন বীরেন কাপড়খানা কমিয়া পরিত্বে গরিতে যাইতে কিন্তু আমার কি বোধ বলুন আমরা মুনিবের হুকুমের যাইতে ছিতোপদেশের পতনক বাসের কথা । চাক । বাবু বলেছেন বাড়ী ভাষা দামের চতুগুণদা বেিয় আপন মনে লিখা উঠিল, প্ৰাতলে নিষ্টদশন জাতা, ন জানে কি অনভিমতঃ দশছিযাতি বীরেনের মা আর আসরণ করিতে না পাঞ্জি বীরেন সদর দরজা খুলিয়া কি জ্ঞাসা করি।--কি দিলেন -বীর, কুকুরটাকে মেরে তাড়িয়ে দে ত পঞ্চানন অংশৰ্থী রকম iান্তভাবে মিনতি করিয়া বলি তোর মা কোথায় ? তোর মাকে বল আমি এসেছি পনি অত তপ্ত হয়ে উঠছেন কেন ? একটু তলিয়ে মা এইখানেই আছেন, আপনি বাড়ীর ৬ে তরে দিক্ষ ভেবে দেখুন জমি জমিদারের ; তার দয়াতে আয় পয়ারা জমির ওপর চাষবাস করে উপর-স্বত্ব ভোগ কতে বীরত্রের মা ঘরের দরজার একপাটি কপাট ভ ইয় ঠার নৃত্যু অধিকার তিনি সিরিয়ে চাইলে আমার তাহার আড়ালে ধাড়াইলেন, বীরেন্দ্ৰ খোল কপাটের নিকট | দিয়ে দেওয়া ছা ৷ ধার উপায় কি বলুন : তবে অামাদের দেয়ালে হেলান দিয়া দাড়াইল পঞ্চানন দলানে ? বাবুর পুত্ৰ নাকি দয়ার শী, তাই তিনি একখানা পুরোনে একটু উচু গলায় বলিতে লাগিণ—বা কতকগুলি গৰ বাড়ী নতুনের চতুগুণ। দাম দিয়ে কিনতে চাচ্ছেন সামি কুকুর কিনেছেন, সেগুলিকে সৰ্ব্বদা চোখের উপর লোক হলে লেঠেল দিয়ে গোর করে দখল করতে । কিন্তু আমাদের বা ত সে-রকম অধাৰ্ম্মিক নন ই দরকারের সহিত বীরেকের মায়ের কি সম্পৰ্কে তাহ রেনের মা ক্ৰমে বেশী ক্ষুব্ধ হইয়া উঠিতেছিলেন ; কৗশলে ত সব নিয়েছেন, আৰাৱ বলিতে লাগিল—াধু স্বরে লিসেন— বাবু ভণে । বাড়ী থেকে এই ৰাটি দেখতে পাওয়া বায় ভাৱ ইচ্ছে এই বড়িাটি তিনি বাকি আছে ভিটেটুকু ; তা লেঠেল দিয়ে জোর করে ক্ষেয়ে না নিলে, আমি ধেবে না, আর তাও আমার প্রাণ থাকতে রেনের কাছ থেকে দাম দিয়ে কিনে নিয়ে এইখানে কুকুর কেউ কেড়ে নিতে পারবে না ীি রাখেন বীরেনের মা যত কুদ্ধ হইয়া উঠিতেছিলেন পঞ্চানন ধীরেন্দ্ৰয় মা বাহতের স্থায় স্তম্ভিত হইয়া :ে জীয় ক েবলিয়া উঠিলেন—যে বাড়ীতে ঠাকুর-দেবতা সষ্ট হইয় পরম বিনয় ও মিনতির ভাবে মিষ্ট করিয়া বলি তেছিল । সে বলি, --আপনি যখন অমন অবুধের মত পুজো হয়েছে, সোয়ামী শ্বশুর চান্দপুধে ধরে মানুষ হয়েছেন তখন আমাকে আসল কথাটি খুলে ইতিটো হবে কুকুরের বাথান, সেখানে থাকবে মেথর এক গুথমি করছেন মুৰুরাসা আমার জীবন থাকতে তা কখনো হবে না । বলতে হল, মনে করেছিলাম প্ৰকাশ করব না। ধীৱেদে পঞ্চানন ক্ৰৱ হাসি হাসিয়া পঢ়োৱ স্নায় বাকী নাক বাৰা এই বাড়ী আর তার জমি জমা সব বাবুর কাছে আরো বাহাইয়া, লাউ-বাঁচির মতন শাদা শাদা বড় বড় ধাত হাজার টাকায় বন্ধক রেখেছিলেন ; সাতশ টাকা উন্ম বাহির কবিয়া বলিল – শাস্নেই আছে যা জীব তা শিৰ দিয়েছিলেন ; সুধে-অসিলে দেন। এখন সাড়ে পাঁচ হাজাৰে কুকুর দেখয় সবই ত কেষ্টর জীব ! কুকুর ঠাকুর, ধামুন গাড়িয়েছে সই দেনার দায়ে এ বাড়ী ত বিকিয়েই গেছে মেথর সব সমান ! ভেদবুদ্ধি মায়াতে বৈ নয় । বু বাবু আমাদের দয়ার শরীর কিনা তাই কিছু বীরেক্সের মা লক্ষা জুলিয় চীৎকার, করিয়া বলিয়া ধরে দিয়ে বাড়ীটে চাছিলেন পানী এ নে ৩য় সংখ্যা] বীরনের মা বলিলেন—আমরা তিনটি প্রাণী ; আমাদের দয়াদেবী বধিলো—মোহিনীকে বলগে খেতে গেৰে তে টাকা ধার করবার কি সরকার হয়েছিল —িমেলে মায়া আসার কজিয়া বলিল—না, তুমি দেবে এ ছেলের বিয়ে পৈতে দিয়েছি, না দোল দুগ গোছব করেছি মাতা কন্যায় দিকে না ফিরিয়া বলিলেন— আমি এখন যে ধার হবে যেতে পারব না, তুই য পঞ্চানন একটু হাসিয়া কিন্তু-ভাবে বলিল—শেষদান মেয়ে রাগ করিয়া পা ছড়াই৷ সেইখানে মেঝেতেৰসিয়া, দীর চর ট ছিল, তাহা তিনি দেখিলেন না, তাঙ্গায় দৃষ্টি বীরেন ধীরেনের মা চীৎকার করিয়া বলিয়া উঠিলেন—মিথ্যে বাড়ীর দিকেই নিবদ্ধ দী জালিয়াত ! তুই আমার বাড়ী থেকে এন । মোহিনী দাসী আসিয়া মায়াকে ডাকিল—দিদিমণি, খাৰে বলছি । তারপর মা পারিস করগে । মাম্বা কোনো কথা বলিল না, গোজ হইয়া বসিয়া বুলি ধীরেন ও রাগে ফুলিতে-লিতে দলিল-দুর ও শিগগির হিনী বলিল—যা, দিদিমণিকে খেতে যেতে বল । দয়াদেবী বীরেন্দ্ৰদের বাড়ীর দিক হইতে চোখ ফিৰাইতে পঞ্চানন হাসিমুণে একবার ধীরেনের দিকে তাকাই ‘ পারিতেছিলেন না, যে মুহূৰ্ত্তে তিনি চোখ ফিরাইবেন সেই তাহার মাকে উদ্দেশে ভূমি প্ৰণাম কবিয়া যাতে -বাইতে হবে যদি এমন কিছু ঘটিয়া যায়ু যাহা তাহা দেখা উচিত লিয়ঃ গেল—তবে অসি ঠোক । একটু ভেবে চিন্তে ছিল । তিনি না ফিরিয়াই বলিলেন-মায়া , যা রেনকে দিয়ে নাম বটা পাবেন দি দে না মায়ার নড়িবার কোনো লক্ষণ দেখা গেল না। সে যা স্থানে সাদাত ঘর করা হবে রোজ তাহাকে নিজের হাতে খাবার দিয়া কাছে বসিয়া খাওয়ান, সেই ম আজ একবার ফিরিয়াও চাহিতে সা বাবু পঞ্চানকে ডাকিয়া আত স্নাত্ৰে বীপ্লেৱে জমিজমা এই উপেক্ষায় অারে মেয়ের অভিমান উছলিবাউটিতেছিল সম্বন্ধে কি ব্যবস্থা করিলেন তাহা জানিবার সু বা হইয়া৷ মোহিনী বলিলা-মা, দিদিমণি যে নড়ে না বস্ত রাত্ৰি দয়াদেবী ভালে বরিয়া দুমাহঁতে পারেন নাই দয়াদেবী শুধু বিলেন—থাক, পরে থাৰে 'ন প্ৰভাতে শঙ্কা ছাড়িয়া উঠি ই যে-ঘরে হইতে বন্দ্ৰেদের সী অবাক হইয়া দাড়াইয়া দাড়াইয়ী ভাবিল- কাল দেখিতে পাওয়া যায় সেই ঘরে স্বাসে, বাবু সঙ্গে মারে বোধহয় গড়া হয়েছে । দাঁড়াইয়া অনুমনস্কতাবে সেই দিকে চাহিয়া ভাবিতে লাগি ধান বীরেজদের বাড়ী হইতে বাহির হইয়া গেল । লেন কেমন করিয়া উহাদের রক্ষা করিবার কি উপায় তি আননি জানলা হইতে বিবিয়াই দুৱাদেবী বলিলে করিতে পারেন । এমন সময় রাদেবী পেখিতে পাইলেন মোহিনী, যা ত বীরেন মায়ের কাছে, বলগে অা পঞ্চানন আসিয়া ধীরেন্দ্ৰদের দরজায় বাড়াইল । তাই কা কর মধ্যে ঝাপিয়া উঠিল । তিনি উৎসুক হই, সেই মোহিনী আশ্চৰ্য্যা হইয়া বহিল—তুমি মুখ লোবে না। জানার কাছে ঠাগ দাড়াই হিপে, ধাবো 'খন, তুই অাগে চট করে ধীরেনের মাকে দাসী আসিয়া ডাকিল—মা, মুগ্ধ :েবা জল দেওয়া হয়েছে মোহিনী আশ্চৰ্য্যা হইয় একবার হার মুখের দিকেঁ এইবার মায়ের অাদর পাইবে মনে বাছি বলিয়াও ইয়াদেবী সেখান হইতে নড়িলেন না চাহিয়া চলিয়া গেল । তিনি দেখিলেন বীরেন আসিয়া পঞ্চানকে সঙ্গে করিয়া করিয়া মায়া খুব রাগ করিয়া মুখ ধুৱাইয়া , বসিয়া আত্ম বাড়ীর ভিতর লইয়া গেল খে মায়ে দিকে ঘন-ঘন দৃষ্টিপাত করিতে লাগিল । দয়াদেবীর দশ বছরের মেয়ে মায়া আসিয়া ডাকিল,— কিন্তু দয়াদেবী দাড়াইয়া অন্তমনে কি ভাবিতেছিলেন, মেয়ের দিকে তাহা নজরপলি না খেতে দেবে এস ।