পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/১৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰবাসী-আষাঢ়, ১৩২৪ [ ১৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড ধীরেনের মা আদিয়া বিধ স্বরে বলিলেণ—দিদি, স্বরে বলি দয়াদেৰী আঁচল হইতে চাবির গোছা একটি লোহা অালমারি খুলিলেন ; তাহার ভিতর হইতে হা বলিহা দয়াদেবী একমাৱ মোহিনীর দিকে একটি হাত-বার টানিয়া বাহির কবিয়া তাহার ভাল ধুলিয়া একবার যেয়েদ দিকে চাহিলেন । তারপর ধীরেনের বেলিলেন ; বাঢ়ি গহনায় তা । wাদেবী মাকে বলিলেন—তুমি আমার সঙ্গে এস মোহিনী তুই এই মাঝায় যে গহনা আছে তার দান অনেক হবে ; এই মায়ার কাছে থাক সব বেচে কি বন্ধক দিয়ে তুমি ওদের দাবী মেটায়। মায়ের আজ এই নুতন ভাব দেখিয়া মারার কানা সন্ধার পর রেনকে পাঠয়ে দি ও লাকা নিয়ে বাবে পাইতেছিল। মোহিনী কাছে গিয়া যেই বলিল—দিদিমণি , দেবী এতখানি দয়া বীয়েনের মা বুল মহত্ব বহি ওঠ খাবে চল । --অমনি মায়া কেৱ সহিত যাঃ আনি বিশ্বাস করিতে পাবিলেন না। তিনি অবিশ্বাস ও বিগ লবন বলিয়াই কাদিয়া ফেলিল টা অার বাকী থাকে দয়াদেবীর কানে আজ সেই কায় পৌছিলে তিনি গঃ না নিতে সেই হোক কি বিক্ৰী বন্ধক করতে তাহার কাছে চুটিয়া আসিলেন না। তিনি বয়েনের . গিয়েই হোক, চোর দায়ে বা গা ধীরেনের জেল না মাকে নিৰ্জ্জুন মালখানার ঘরে লইয়া গি৷ প্ৰিসা করি লেন-পেঁচো এত সকালে কি করতে এসেছিল তোমাৰ সাল সালে শী বানের মাগো বিক্ষপ বুলিতে মা পারি। অত: fu' ত ইয়া লিখেন -তবে কি হবে বীরেনের মায়ের কাছে সমস্ত নিয়া তিনি মাহত নেী ? মোরা কাছে নাগাদ ঢাকা ত অত নেই। ই বলিলেন—বাড়ীটা কে ছেড়ে দাও বেী ; ওঁ বনে আমি দুশে টাকা মানাহা৷ পাই ; আজ থেকে আমি বোক চেপেছে তখন স্বয়ং বগা এলেও বাদ করতে পারবে এক তোমরা কা না। যে টাকা দিতে চানে সেই টাকা নিয়ে অল্প কর, ধীরেন যেন চুপিচুপি মাসমাস সেই টাকা নিয়ে ধা সমিধারে এলাকায় গিয়ে বাস করগে । আমি এই শোনা ’য়ে দিবি এছি বো, বীরনের বাপে বাবে না, বাড়ী৪ সালে থালা কতে না গায়ণে আমি এ গহনা একখানি দয়াদেবীর মুখেও এই কথা শুনিয়া বীরনের ম মনে ঙ্গে ণ ন মা কণার কাছে মনিত করে তু রিলেন ইহাও নিমারে ফন্দি, ন ন মান হয়, এই সোনা তাহাকে তিটি ছাড়া করিবার চাণ ই তিনি অত্যন্ত হামা বিস্তা ঠে তাৱ কিয় ৰয়েকে দেবে ষ্ট হইয়া তীব্ৰস্বরে বলিয়া উঠিযেনে— আমার দেহে প্ৰাণ হলে পড়বার কোনো ভয় পাকবে না কৃতে সোয়ামী-শ্বশুরের ভিটে আমি হাতে পারব না, তাতোমরা যা করতে পার নয় । বীরনের মা দুষ্ট হইয়া চলিয়া সাইবা উপক্ৰম কবি হেন দেখিয়া দয়াদেবী বলিলেন -তবে এক কাজ কর দিদি, আমাঃ গক্ষমা কোরে, দাদেবীর সে এত দয়া তা আহি দে টাকাটায় বাড়ী বন্ধক অাছে ওরা বলছে, সেই বুঝতে পানি তোমাৰ অংশীবাদে বীরেনের অ্যাদা টাকাটা ওদের ফেলে দাও । কানো অকল্যাণ হবে না । বীরেনের মা ক্ৰোধ ৰিষ্কপ ও হতাশার হাসি হাসিয়া দমকা হাওয়ার মতন ঠাৎ ঘরে ঢুকিয়া মায়া যাকে বলিলেন- আমার সৰ্ব্বস্ব ত তোমরা নিয়ে চুকে বিধি , জড়াইয়া ধরিয়া কাদিয়া ফেলিয়া বলিণ—আমায় খেতে আত টাকা আমি আর কোথায়পাব ! দেবে এস না। সেই পরামৰ্শ করতেই ত তোমাক , যেকােছি বধিত দয়াদেবী তাঁচল দিয়া চোখ মুছিয়া বলিলেন— ৩য় সংখা দুই তার ২৫১ মায়া করে বলিয়া উঠিল—সকালে উঠেই পাড়ার কাছাকেও পাইল না, সবাইকে আটক-দক্ষিণা দিয়া জঙ্কি লোককে ডেকে গ দারের তা হইতে আবদ্ধ করিয়া রাখা হইয়াছে। কেলি দাদেবী মায়ার মাথায় হাত রাখিয়া বলিলেন—তোরই কাতা হইতে একজন উকিল আনা হইয়াছে, সে উকিল কল্যাণের ভয়েরে । তোই কলোণের জন্ধে । কাজে দক্ষ না হইলেও তাহাকে মফঃস্বলে আনায় জঞ্জ দক্ষিণা প্রচুর দিতে হইতেছে। ধীয়েনের মা ছেলেকে বীরনের বাবার সমস্ত সম্পত্তি বন্ধক রাখিয়া টাকা জেলায় পাঠাইয়া ঠাকুর-দেবতার কাছে মাথা খুড়িতে করার তমলুক তােমাদি হইয়া বাইতেছে বলিয়া বাসা থাকেন, অমর কারায় তাহাদের স্নান করান, হার প্রাণ গুণময়-বাবুকে ধীরেন ও চাহাব নায়ের নামে নাশি তুকক করিতে থাকে পােৰও জমিদার গতিবের বাছাকে দিতে হইল ; কেবল ডিজিটা, ককাই৷ হাথিবেন, নতুবা একলা কারে পাইবা প্ৰাণে বা বধ করে বিবা ও নাবালকের উপর ভিতি চাবি কৰিছা তাহবিগকে ঠাকুরের দরজায় ধীৱেনে মাতার মাথা ীে অা বৈহার করা … ত তাহা দে নয় বিশেষ কবিয়া দুয়াদেবীর মানতে চেয়ে দেখা গেল পঞ্চাননের অধি হাকে নালিশ করিতে হইয়াছে বীরনের মা মহাক ঢের জোরালো তমসুকের টাকার ডিকি হইয়া গেল । ল বলিরা একেবারে উড়াই দিতে চাহিতেছেন বলিয় দয়াদেবী স্বামীর পরে ধরিয়া বলি যিনি গ্রামের মধ্যে সৰ্ব্বাপেক্ষা ধাৰ্ম্মিক বলিয়া প্ৰসি, যিনি কথা রাখবে ? তিলক ফোটা কাটেন, তিন বই ধরিয়া কাপ আছিক গুণময় গম্ভীর হইয়া বলিলেন—কি ? করেন, গোয়৷ পরেন, আলোচাল নিরামিষ খ স্বয়ং সেই —বিশব আর নাবালককে ভিট-ছাড়া কয়ে না হেয়দেব মুথুলোর হাতের লেখা তমলুক ; তমনুকের ইসাণী ধৰ্ম্ম বইবে না। ভট্টাচাৰ্য, চতুৰ বিশ্বাস, নফল পোদ্দার, বেচারাম কী । বতবড় মুখ নয় তবড় কথা ! আমাকে মাণিক, আর রামকাণী গাঙ্গুলি ণের মধ্যে ধৰ্ম্ম দেখানো : আমি ওদের উচ্ছেদ করে দেখাবো যে পদার ও ধামালী গাঙ্গুলির ১ হইয়াছে ক ধৰ্ম্ম ধৰ্ম্ম কিছু নেই তাছাদে সই জগঞ্জা বিদামান আছে ; তমলুকের পিঠে গুণময় পা ছাড়াইয়া চলিয়া গেলেন হীরেনের বাবা নিজের হাতে যে সাতশো টাকা উগুল কাল ধীরেনদের বাড়ী ক্ৰোক হইবে । গুৱা আছে । শুধু তাই নয়, বা পাস নবী লক্ষুণ বঁীরেনের মা সন্ধ্যাৰেলা দয়াদেবীর কাছে আসি খানসামা হারাণে কৈও অাধ শুনহাটি মদন পায়ের ধূলা লইয়া বলিসেন-দিদি, তুমি করতে কম্বর টাকা উগুল দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিল, করলে না, আমাদের ভাগ্যের দোষ । কাল বীজ আমার তাহাৰা সাৰ্থী দিৰে সকলেই জানে কোন বাড়ীর কোন পদে দাড়াবে। পারে। ত তাকে তুমি দেখো রেকিসের কলমে কোন সময়ে কথন ঐ তমসুক লেখা স্বামীর কঠিন জেদের কাছে নিতান্ত অক্ষম দাদেবী ও তখন কে কে কোন মথো বসিয়া বা দাড়াইয়া আঁচলে চোখ মুছিয়া বলিলেন—দেখ বেী, গহনা-পত্তর বা ছিল এবং টাকার মধ্যে কত ছিল তোক নগা আর কত আছে এনে আমার কাছে রেখে যাও ছিল কোম্পানির নোট পাল বাড়ী বাড়ী সরিয়ে স্বাগ, সব কেন ক্ৰোক করতে স্তমসুক সৰ্ব্বৈব জাল বলিয়া বিধবা ও নাবালকে দেবে ? একমাত্ৰ খিনি সাগা দিতে পাধিতেন তিনি বীরনের বীরেনের মা জিভ কাটিয়া বলিলেন—না িদদি, তা কি বা—তিনি এখন পরলোকে । এরা জোচ্চারি করছেন বলে আমি কি তা পারি বে লেখাপঢ়া বদ্ধ কৰিম৷ ভিটা রক্ষার জন্য জেলা বীন্ধর তাতে অকল্যাণ হবে যে । ধীকে তুমি দেখো । মর ছুটি কৰিতেছে ; কিয় সে উকিল মোক্তার দয়াদেবী তার কোনো কথা বলিতে পরিলেন না,