পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/১৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰবাসী—আষাঢ়, ১৩২৪ [ ১৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড ছিা নি নামক কবি শুধু ঈশ্বরের গুণগান রচনা সাহিতা-সেৰাৱ কঠোর তপস্তাৱ প্ৰস্তাব, অপর দিছে দিতেন। তাহার কবিতা লোকে ধরে ঘরে হাটে ঘাটে জোগাড়ের হয়ে চাটুকারের লাভের মনোমুগ্ধকর দুষ্ঠা গাইত। একদিন সুলতান আলী আদিল শাহ তাছাকে একদিকে শ্ৰমে ও তাগের, অপর দিকে ভোগের ডাকি অনেক উপহার দিয়া বলিলেন “আমার কীৰ্ত্তি পান আবামের আহ্বান। খ্ৰীসদেশের সুৰকৰী হাকিলিসকে ন। কৰি বলিলেন “আমার জিহৰা ঈশ্বরের স্তবে ই নারীমূরি দিক থেকে দুই হাত ধরিয়া টানিয়া লইতে উৎসৰ্গ দিয়া দিয়াছি, রাজার স্তুতি গাইতে পারিব না।" চেষ্টা করিয়াছিল, তোমাদেরও ঠিক সেই পরীক্ষা উপস্থিা (I. S. 395 ) কিয় মনে রাখি ভোগসুখপ্রদায়িনী মুটি দেবী , দ্বিতীয়তঃ আমাদের সাবধান থাকিতে হুইবে যে এই দানী তাহার দান কুকমাত্ৰ, তাহা দিনে উড়িয়া, সাহিত্যমন্দিয় যেন মামুদ্ধের বঙ্গ ভূমিতে পরিণত না হয় অবসাদ, সমাজের বিষ্কা জানি আমার দলথেরা হইয়া ভাড়াকা পাঁচ-সাতখান এ নজের মনস্তাপের মধো ফেলি দিয়া চলিয়া যায় খবরের কাগজে নিজের জডয়া বাজাইতে-বাঙ্গাইতে শায় যশ লাভ কবি, ফাকি দিয়া কাজ হাসিল কবি, অগ্ৰসৰ হইলাম। আপনিও আপনার পারিষদবৰ্গ লইয়া অবশ্যক পৰিশ্ৰম ও সজাগ বা হইতে নিজেকে পাপনায় হাত-ধরা পাঁচ সাতখানা পত্রিকায় ঢাক বাঙ্গাইয়া যোগ করিয়া সত্যসমালোচনার পথ বন্ধ কৰিব,এই উপস্থিত হইলেন | তাহার পর আমাদের জনের মধে ভাবে প্রণোদিত ইয়া যদি তোমরা সাহিতা সৃষ্টি কয় ৰে এই ভাবে সৃষ্ট সাহিতা আমাদের তাহ: বাচিয়া থাকিবে না, তা জীব ও হইবে না, ডাহা বিধিগ্ৰস্ত নৰা শিক্ষিত পাঠকবৰ্গেৱ প্ৰাতঃকালে জাতীয় জীবনের ধমনীতে নবলের ধারা প্ৰবাহিত কহিতে কিঞ্চি ক্ষুধা বৃদ্ধি করিতে পারে, কিন্তু ইহাতে দেবীপূজার পালিবে না। জগতের সমস্ত দেশের সাহিত্যের ইতি যি হয় মাত্ৰ । অৰ্থলোভী সেবাই ইংদের মে ১ালাঠি এই সাপ ভারতবধে এই সত্যের ইতে পারে, ভক্ত উপাসকদের মধ্যে স্বণ নাই হইবার কোন কারণ নাই স ভাই । অতএব, যদি সাহিত্য-সবা কলি ও তৰে উদ্যোগী পুৰুষসিংহের নিকট লক্ষ্মী স্বয়ং সিয়া উপস্থিত ন-চেতা ও শুধু ভোগ । কিন্তু খোসামুদে জোগাড়ে সাহিত্যিকে জয় ক্ষণিকআসামের লালসা ত্যাগ কৰিলেই হইবে না, শুধু প্ৰমীল ন যে লক্ষ্মীকে লাভ করেন সে বড়ই চঞ্চল, সে লোক ইলেই ১লিবে না, প্ৰকৃত সাহিত: সেবককে উন্নত হক লান মায়ামী মাত্ৰ । আর উদ্যোগ পুকৃসিংহ, বৰ্ণ হইতে হইবে, চাক কৃতিকে পদাঘাত করিতে হইবে ব্যাপী নীরব নিভৃত সাধনার পর, প্ৰকৃত নগদা দেখায় করিতে হইবে । তিনি ৰেলমাত্ৰ নিজের হৃদয়ে বলে মনের তে ও প্রয়োগ নিজকে এক অশরীরী দেবীর পূজারি বণিয়া জানেন । কোম রিয়া সাহিত্য-ক্ষেত্ৰে যে শশ্বক্সপিণী লক্ষ্মীকে কাম করেন জীব বা মহাৰাজ সমাস বলি৷ স্বীকার কহেন না ভাষার অতুলনীয় মুক্তি কবি তুলিতে এই বণে আঁক এই নিী ইয়াছে রাজবারে অনেক অবিচার, অনেক অক্ষা লানা অতি দিলা, সুখ সমূলা নগ্ৰহ সহ কলিতে হয় । কিন্তু তিনি সেজন্তু ভীত নদে তাহা বৃষ্টি জাতীয় জীবনের সুদূর ভবিষ্যতের প্রতি নিদি তি উদারুণ কিরণ-বিলাসিনী, তিনি জানেন যে ঈশ্বরের বিচারে একদিন তাহাৰি পূৰ্ণসিতাং বিভাল বিকাশিনী, নন্দ-লগী মঙ্গল আসিবেই আসিবে, তখন হয়ত তিনি স্বৰ্গগত কিন্তু তাহা মাতৃভাষার সেৰা দহ ৰ্যপ্রশ্ন ৰকবৃন্দ ! তোমাদের আত্মা পৃথিবীতে তাহার এদের প ধাৰণ করিয়া ৰিয়াজিত সম্মুখে এক কঠোর ক্ষা সমগত । একদিকে প্ৰকৃত তখন তাহার বাৰ্গ সাধনখানি সাকিল হইয়াছে । ৩য় সংখ্যা ] প্ৰবাসী বাঙ্গালী ও বঙ্গসাহিত্য ২৭৯ - আহ্মা তখন বিজয়ী। তখন তিনি আর বলিতে পারেন না কুমারের পিতা-অপহাৰ্য্যং দদনন্ত নিগ্ৰাৎ দিনাপাণি —যিনি কামকে ক্ষে পরিণত করেন এবং ক্লাপকে পরা সুবাহীন তাই হয়েছি ডায়ে সাৱটি গ করেন । সেই-মত বে-সাহিত্য আমাদের জাতির জ ন অামার প্রাণের একটি যা বুকের দন জীবন আনয়ন কৰিবে, ভারতবৰ্ষকে জয়ের সিংহাসনে ীি বীণ প্ৰতিষ্ঠিত করিবে, তাহার রচয়িতাকে বহুবৰ্ষব্যাপী নীয় ওগো দ্বিতী বীণা সাধনা করিতে হইবে, সুদীৰ্ঘ উদ্যোগ-পৰ্ব্ব উদযাপন কহিতে দেখিয়া তোমার গুণীজন সৰে ইবে ; তবে তিনি কাৰ্য্যে প্ৰবৃত্ত হইবেন, তাছাকে হাসিছে কহিয়া সুশা নিকান তপস্বী হইতে হইবে, তাহাকে বীর হইতে কাণ সেদিন তাহার বাৰ্থ সাধনপানি” সব হতে সাৰ্থক হুইবে । প্ৰতোক বিভাগে খণ্ড খণ্ড আকারে যিনি বাণীর কাছে এইরুপ স্থায়ী জাতীয় সাহিত্য রচনা করিতে চাৰ, কিছু তাহাকে অক্লা সত্যসন্ধানী নিৰ্ভীক সত্যৰাজী,ী দিতে চাপে সি সরস্বতীয় নিবন্ধ সেবক, হইতে চাইবে ইহা কোন নাই, একথা যেন আমরা কথন নালি । অনেকদিন এবং বাণী আজ তাতো কব পাতিয়া লইয়াছেন, আপনার ৷ ভাবিয়া ভারিয়া, বড়ই ক্ষোভে, জাতীয় জীয়ে অা কৰিব বিল বিধাতের দিকে চাহিয়া মালা থিয় কাথিয়াছেন বড়ই শঙ্কায়, আজ আদি মারাশি তাহার জীবন সফল কবিগাছে বঙ্গসাহিত্যের জন্তু এই পঙ্কতিক্ত-কারের ব্যবস্থা ফজিলা যে বাণীর মদিৱেব স্থার উচাটন করিবার ৪ রোগী কি ইহা গ্ৰহণ করিবেন, তিমি কি নিজ য়ে আমার মত অকৃতিকে আদেশ করিয়াছেন তা যেন স্বীকার কবিনে ? নাই দেবমন্দির হইয়া থাকে ; যেন তাহাতে সাধকগণ এই তিনটি মই দণ করেন আধাবসায়ের জীবন্ত দৃষ্টান্ত এই সুদ্ধদ-পরিষদ-গৃহ আজ সম্পূৰ্ণ হইল, সেই জ্বয়ের বল, সেই অধ্যৱসায় সাজি ক্ষেত্ৰে প্ৰয়োগ কহিলেই আমাদের সমস্ত আশা সকল ৰে উল্লোগিন: পুৰুষসিংহমুপৈতি লক্ষ্মী তাহারা ইটের বদলে রোড়া ( rubble ) ব্যবহা জে শরীরা বা পাতমে মীমাবা সাদয়েমে ? নাই, তাতারা শুকির বদলে কাদার কঁচা গাঁথনি দেয় নাই এই মন্দিরে যেন মিথ ধী চাটুকা গণ, অলো বং সব দোষ চুনকামে ঢাকিয়া তাড়াতাটি নুতন বাট সত্যতীত পুণা-ভীক কাপুৰুগণ বলাসী সাহিতন গ্ৰাহককে কাইয়া বেচিয়া পালাইয়া যাইবার চেষ্টা করে গণ, সরস্বতীর নামাবলিতে গা ডাকিয়া উপস্থিত না হয় নাই। ইংরেজীতে যাহাকে jerry-built house বলে স্বাণ এটি নৱপূণার মন্দির নহে। ইয়াতে যিনি প্ৰকৃত এটা তাহা নয় আমাদের বাক্ষীপুরের সাহিত্যাপ্ৰি পূজা অধিকাষ্ট্ৰী তাহাকে সংযম পালন করিতে হইবে, যুবকগণ অনেক বাধা অনেক বিপত্তিকে উপহাস কৰিয়া কে ধনতাৰ্থী থত্যাগী ব্ৰহ্মচারী হইতে হইবে । যে বুক বাধিয়া কত বছর খাটিয়া তবে এই গৃহটিকে দৃঢ় ও যাশক্তিশালী বীর দানব জয় কবিয়া দেবজাতির উদ্ধার স্থায়ীভাবে গঠন করিয়াছে। ঠিক এই গুণগুলিই সাহিতা ৰাছিলেন তাহাৰ মাতা—াজার নদিনী হইয়াও, রচনায় দেখাও, আর কিছুই চাই না। পমা সুন্দরী হইয়া, শিীষ পুশের মত কোমলদেহ আছে যে মন্দিরের অৰ্গ মোচন কৰিতে আমরা সকলে ও কঠোর তপস্যা করিয়াছেন। আর সেই বিজয়ী যাইতেছি তাহা যেন প্ৰকৃতই দেৰগৃহ হয়, যেন আমাদে