পাতা:তারাচরিত.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তারাচরিত।

স্বভাব। তারা করতলে কপোল বিন্যাস করিয়া বসিয়া আছেন। দিনমণি অস্তাচলাবলম্বন করিলে ক্রমে রাত্রি প্রায় যামার্দ্ধ হইল। নক্ষত্রমালা বিভূষিত চন্দ্রমা আকাশ মণ্ডলে পরিভ্রমণ করিতেছেন। ঝিল্লীরব ঘনীভূত হইয়াছে। মধ্যে মধ্যে বর্ত্ম বিহারী আম্রকানন বিচরণশীল জম্বুক সমূহের প্রচণ্ড রব শ্রুত হইতেছে। মন্দ মন্দ ললিত সমীরণ স্পর্শে তারার কোমল গাত্র জুড়াইতেছে। পিককুল-কুহরিত-সঙ্কুল-নিকুঞ্জ বিহগকুলললিত তানহিল্লোলে আপ্লুত হইয়া রাত্রির রমণীয়তা সম্পাদন করিতেছে। ফুলদল বিগলিত নির্ম্মল পরিমলে উপবন আমোদিত করিতেছে। তারা কতই কি ভাবিতেছেন। এমন সময়ে একটী নবীনা বালিকা অবগুণ্ঠনবতী হইয়া রাজবাড়ী প্রবেশ করিলেন। তারা দেখিতে পাইয়া অমনি ব্যস্তভাবে প্রাসাদের উপরি হইতে অবতরণ করিয়। দেখিলেন একটী বৃদ্ধা সেই নবীন যুবতীকে লইয়া আসিয়াছে। রাজকুমারী তার তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন তুমি কোথা হইতে আসিলে? বৃদ্ধা উত্তর করিল আমি সৌরাষ্ট্র হইতে আসিতেছি। এই কথা শ্রবণে রাজনন্দিনী তারার মুখ কালিমা ধারণ করিল, তাহার মনোমন্দিরে আনুপূর্ব্বিক সকলই উদয় হইল। তারা সে ভাব গোপন করিয়া কহিলেন তোমরা সৌরাষ্ট্রের কাহার নিকট হইতে আসিলে এবং এই কন্যাই বা কাহার? তখন বৃদ্ধা মৃদু মৃদু ভাবে কহিতে লাগিলেন, মাতঃ শ্রবণ কর, এই কন্যাট সৌরাষ্ট্রের পূর্বকার রাজার মন্ত্রীর প্রপৌত্রী। এই কথা শ্রৰণ করিয়া তারার হৃদয় যেমনি