পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘তখন কবি সম্বন্ধে বাংলার বাহিরে কেহই বিশেষ কিছু জানিত না”— জীবনস্মৃতির ইংরেজি তর্জমা তখনো হয় নাই । কবি সম্বন্ধে কোনো বই প্রকাশিত হয় নাই । সুতরাং নানা কারণে এই প্রবন্ধটিকে সময়োপযোগী রচনা বলিতে হইবে "৫ প্রবাসী এবং মডার্ণ রিভিয়ু পত্রিক। বঙ্গদেশে, বঙ্গের বাইরে ভারতবর্ষে এবং পাশ্চাত্যে রবীন্দ্রসাহিত্য প্রচারে বিশেষ সাহায্য করেছিল। পরবর্তীকালে মডার্ণ রিভিয়ু রবীন্দ্রনাথের নানা রাজনীতি-বিষয়ক প্রবন্ধ প্রকাশ করে দেশে ও বিদেশে কবির অভিমত পৌছে দিয়েছে। রামানন্দ শুধু রবীন্দ্রসাহিতা প্রচারেই প্রয়াসী হন নি, রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাদর্শ প্রচারে ও সাহায্য করেছিলেন । বোলপুর ব্রহ্মাচর্যাশ্রমের প্রতি তার শ্রদ্ধা ছিল । ১৯০৮ সালে রামানন্দ এলাহাবাদ থেকে কলকাতায় স্থায়িভাবে চলে আসেন । ১৯১১ সালে তিনি ‘রাজা' নাটকের অভিনয় উপলক্ষে ছেলেমেয়েদের নিয়ে শাস্তিনিকেতনে প্রথমে আসেন । ১৯১৭ তে রামানন্দ শাস্তিনিকেতনে বেশ কিছুদিনের জন্য বাস করতে আসেন। কনিষ্ঠ পুত্র মুলুকে তিনি এখানেই ভরতি করে দেন। মুলুর অকালবিয়োগের (১৯১৯ সেপ্টেম্বর) পূর্বেই তিনি কলকাতায় চলে আসেন । শাস্তিনিকেতনে থাকবার সময় রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তার লোক শিক্ষণ-গ্ৰস্থমালা প্রবর্তনের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হত—একথা রামানন্দ বলে গিয়েছেন । ১৯২৫-এ রামানন্দ বিশ্বভারতীর কলেজবিভাগে অধ্যক্ষ হয়ে আসেন ; তবে কোনো কোনো বিষয়ে মতাস্তরের জন্য পদত্যাগ করলেও রবীন্দ্রনাথ, বিশ্বভারতী ও শাস্তিনিকেতনের অাদর্শ প্রচারে কখনোই ক্ষণস্ত হননি। বস্তুত প্রবাসীর সর্বজন-পঠিত এ তদেব পু ৪৩৫ 88ግ