পাতা:চিঠিপত্র (দ্বাদশ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সে-বক্তৃতায় আমাদের দেশের দুর্দশার যথার্থ হেতু বর্ণনা করলেন । তিনি বললেন যে নিম্ন বর্ণের লোকদের প্রতি উচ্চবর্ণের অবজ্ঞা ও অপ্রীতিই ভারতবর্ষের অধঃপতনের কারণ । ভারতবর্ষের পক্ষে সব চেয়ে বড় প্রয়োজন হচ্ছে একতাস্থত্রে আবদ্ধ হওয়া । তিনি আশা করেন যে একদিন পৃথিবীর এক ধর্ম হবে । সেদিন স্বার্থে স্বার্থে সংঘাত বাধবে না। বিভেদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার পাদপীঠ হবে ভারত বৰ্ষই কেননা, এখানে যত ভাষা, ধর্ম, আচার ব্যবহার বর্ণগত পার্থক্যবিশিষ্ট নরনারীর বাস পৃথিবীর আর কোথাও তত নয় । উপসংহারে বল্লেন “স্বৰ্য্য পূর্বদিকেই উদিত হয় । বাংলা দেশ ভারতের পূর্বপ্রান্তে অবস্থিত । সমগ্র ভারতবর্ষ তাই আজ বাংলার দিকে আশা করে চেয়ে অাছে। বাঙালীকেই আজ ভারভের এই জনজাগরণযজ্ঞে পৌরোহিত্য করতে হবে।” মনে আছে এই বক্তৃতায় এক জায়গায় কবি বলেছিলেন– “এক নয়, দুই নয়, বহু বহু রাজা আমাদের শোষণ করছেন ।” তা ছাড়া এ কথাও বলেছিলেন– “কাগজের নৌকোতে ক’রে ভবসমুদ্র পার হওয়া যায় না।” মানে দরখাস্ত পেশ করে স্বরাজ মেলে না । *অধৰ্ম্মেন এধতে তাৰং ততো ভদ্রানি পগুতি তত: সপত্নান জয়তি সমূলৰ বিনশ্বাতি’—তার প্রিয় এই শ্লোকটি অৰ্বিত্তি করে তার তাৎপৰ্য্য বুঝিয়ে দিয়েছিলেন ’১ ৭ নভেম্বর, মুরারিচাদ কলেজ ছাত্রাবাসে প্রায় চার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে ছাত্রর কবিকে সংস্কর্ধনা জ্ঞাপন করেন । এর ১ সুধীরেন্দ্রনারায়ণ সিংহ, শ্রীহট্টে রবীন্দ্রনাথ, কবিপ্ৰণাম ( ১৩৪৮ ) পরিশিষ্ট পৃ. ৫ ●abア