ছিলেন, এক্ষণে ভ্রমর-বারণ-চাতুরী দর্শনে পরম পরিতুষ্ট হইয়া, তুমি ধন্য তোমার কর্ম্ম ধন্য, ইহা বলিয়া তৎক্ষণাৎ রাজদত্ত বস্ত্রাভরণ খুলিয়া তাহাকে পারিতোযিক দিলেন।
মাধবের এই কর্ম্ম দেখিয়া রাজা মন্ত্রীকে কহিলেন দেখ এই ব্যক্তি কেমন নির্বোধ, অনায়াসে বারাঙ্গনাকে সকল বস্ত্র ও বহুমূল্য রত্নাদি পুরস্কার করিল। কিন্তু ভিক্ষুক হইয়া আমার সম্মুখে এমত দাতৃত্ব প্রকাশ করা অতি অনুচিত কর্ম্ম। অনন্তর তিনি মাধবকে জিজ্ঞাসিলেন তুমি ইহার কি গুণে মোহিত হইয়াছ, তাহা আমাকে কহ। মাধব কহিলেন মহারাজ তুমি যেমন মূর্খ, তোমার সভাস্থেরাও সেই রূপ। তোমার নকী এমত গুণ প্রকাশ করিল, তাহা কেহ বিচার করিলনা। ইহার কুচতটে মধুকর উপবিষ্ট হইয়া দংশন করিতেছিল, তাহাতে এই নারী, পাছে নৃত্য গীতের ব্যাঘাত হয় এই ভয়ে, আপন শ্বাসরোেধ পূর্ব্বক বক্ষের বস্তু উত্তোলন করিয়া ভ্রমরকে উড়াইয়া দিল, একি সামান্য গুণপনা। এই গুণে আমি ইহাকে বস্ত্রালঙ্কার পুরস্কার দিলাম।
মাধবের এই কথায় রাজা লজ্জিত হইয়া কোন উত্তর করিলেন না, কিন্তু তাহাকে কহিলেন তুমি এই দণ্ডে আমার নগর হইতে স্থানান্তর প্রস্থান কর, নতুবা তোমার হস্ত পদ বন্ধন পূর্ব্বক সমুদ্রে নিক্ষেপ করিব। মাধব কহিলেন মহারাজ আমাকে কি অপরাধে