পাতা:বত্রিশ সিংহাসন - নীলমণি বসাক.pdf/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪২
বত্রিশ সিংহাসন

যদি এই কথায় প্রত্যয় না হয়, যাইয়া প্রত্যক্ষ দেখ।

 দ্বারী এই কথা রাজাকে গিয়া বলিল। রাজা পূর্ব্বমুখী চারি জন মৃদঙ্গীকে ডাকিয়া একে একে সকলের হস্ত পরীক্ষা করিয়া দেখিলেন এক ব্যক্তির এক অঙ্গুলি মোম নির্মিত। এতদবলোকনে ভূপতি ব্রাহ্মণকুমারের প্রতি অতিশয় সন্তুষ্ট হইয়া তাহাকে ডাকাইলেন। মাধব সম্মুখে আসিলে, রাজা তাহাকে সম্মান পূর্বক স্বীয় আসনে উপবেশন করাইলেন। এবং আপনি যে প্রকার বস্ত্রাদি পরিধান করিয়াছিলেন, সেই প্রকার বহুমূল্য বস্ত্রাদি আনাইয়া তাহাকে পরিধান করাইলেন। তদনন্তর কামকলাকে ডাকিয়া আজ্ঞা করিলেন ইহার সম্মুখে তুমি আপন গুণ প্রকাশ কর। ইনি সঙ্গীত শাস্ত্রে অতিপণ্ডিত, অতএব যাহা করিবে অতি সাবধানে করিতে হইবে।

 কামকন্দলা রাজাজ্ঞা পাইয়া নানা প্রকার রাগালোচনা ও অতি মনোেহর অঙ্গভঙ্গী পূর্ব্বক নৃত্য করিতে লাগিল। ঐ সঙ্গে নানাপ্রকার সুশ্রাব্য বাদ্য হইতে লাগিল। ইতিমধ্যে একটা ভ্রমর ভ্রমণ করিতে করিতে তাহার বক্ষঃস্থলে বসিয়া তাহার কুচদেশে দংশন করিল। ভ্রমরের দংশনে কামকলা কাতর হইল। কিন্তু তখন কাতরতা জানাইলে তাল ভঙ্গ হইবে ইহা ভাবিয়া, চতুরতা পূর্ব্বক কুচের বসন কিঞ্চিৎ উত্তোলন করিল। তাহাতে মধুকর উড়িয়া গেল। মাধব, কামকলার রূপমাধুরী ও সঙ্গীতচাতুরী দর্শনে পূর্বেই বিমোহিতচিত্ত হইয়া