পাতা:প্রবাসী (সপ্তদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰবাসী— আশ্বিন, ১৩২৪ [ ১৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড সার কাছে একটা টুল টানিয়া লইয়া বসিল। তাহার পর বিষয় এই, বে, আকাশে ঘন মেথের পাট এক জায়গায় শাখাত ধরিয়া বলিল, “টনা, আমার দিকে একটু যেন ফাক হইয়া আসিতেছিল, সম্ভবতঃ দুপুরের মধ্যে দাও ; এস বন্ধুর মতো গড়া-ঘাট সব মিটিয়ে পরিষ্কার হইয়া বাইতে পারে। টনা মনে মনে ভাবেিল কেলি। আমি চিরকালই তোমার বন্ধু থাকব। “মিঃ বেটসের জন্তে যে গলাবন্ধটা করেছি সেইটা নিয়ে না হাতখান টানিয়া লইয়া বলি, “ধনবাদ : তোমার মসল্যাণ্ডে যাওয়া তাহলে আর বাহিরে যাওয়াটা দয়া ; কিন্তু এখন দয়া করে এখান থেকে সরে লেভি শেভারেলের চোখে ঠেকবে না।” মিস আশায় হয়ত আবার এখুনি আসবেন । - দয়ার কাছে মাছুরের উপর রিউপাট ভণেকুত্তাটা বসিয়া চনার কাছে বসিয়া আণ্টকির পুরানো মোহটী যেন ভাবিতে িছল—আই যে বুদ্ধিমান ব্যক্তি প্ৰথম ঘরের রিয়া আসিতেছিল, সে বলিয়া উঠিল, “সি আশার বাহির হইবে তাহাকেই সে উৎসাহ দিয়া ও সঙ্গদান লোয় যাক গিয়ে । সে হাত দিয়া টনার কোমর আড়াইয়া করিয়া গল্প করিখে। টিনাকে দেখিয়াই তাহার হাতের যি মুখ নীচু কবিয়া তাহাকে চুম্বন করিল। পরমুহূর্তেই তলায় কালো-হলুদে-মেশানো মন্ত মাথাটা গুৰিয়, মহা না এক বটুকা দিয়া তাহার, বাহুবন ছাড়াইহা উৎসাহে লেজ নায়ি সে অস্থির বাহিরে চুটিয়া চলিয়া গোল তাহার খুব ফুলিয়া আতিশযো একা দিয়া না মুখ চাষ্টিয়া তাহাকে লিয়া উঠিতেছিল, জল টল্‌ টল্‌ করিয়া অভ্যর্থনা করিল ; টিনার মুখ চাটতে অবশ্য খুব বেশী উচু হওয়ার দরকার হয় না । কুকুরটার বন্ধুত্বে তাহার সাতের পরিচ্ছেদ । মনটা কৃতজ্ঞতাৰ ভৱিা উঠিভেলি পশুদের বন্ধুত্বে শুধুই আনন্দ, তাহারা কোনো প্রশ্নও করে না, সমালোচনাও য়লার ধোঁয়ায় দম বন্ধ হইয়া আসিলে লোকে যেমন করে না। ভয়ে আৰ্দ্ধ অচেতন অবস্থাতেই প্ৰবল চেষ্টা নিজেকে "মসলাওস, ময়দানের এক টেরে ; ডোবা হইতে আনিয়া যুক্ত বাতাসের মধ্যে ফেলে, টনা তেমনি ছোট একটা গুলার বাহির হইয়া অ্যাকে রিয়া রিয়া অ্যাণ্টনির নিকট হইতে আপনাকে টানিয়া আনিয়া - রাখিয়াছিল ; এনে বাংলার দিনে বেড়াইবার পক্ষে এর সে যখন ধরে পৌছিল তখনও পুনরুজ্জীবিত চেয়ে খারাপ জায়গা বোধ হয় আর জুটিত না ; বৃষ্টি তখনি পুরানো প্ৰণৱে নেশা তাহার কাটে নাই ; তাহার প্ৰেমা “কমেিয় আসিতেছিল, এবং একটু পরেই থামেিয় গেল বটে, দেয় এই আকস্মিক প্ৰেমানিয়ে সে এত উত্তেজিত কিন্তু প্ৰায় সমস্ত পথাৱ দুই ধারেই গাছের সারি দুই ইরাডিয়ছিল যে আনন্দ ও বেদনার স্বৰে কে জয়ী দিক হইতে ভাল মেলিয়া পথের উপর জল বৰ্ষণ করিতে তাহা সে বুদ্ধিয়াই উঠিতে পারিতেছিল না। কি ছিল। এই ভিজে বাস্তাৱ উপর দেিয় ছাতা হাতে করিা বান্পৰ্শে যেন তাহার নোৱাজটা তোলপাড় - অতি কষ্ট চলিতে চলিতে যদিও টিনার হাতপ ব্যথা ছি দিয়াছে-তবিধাৎটা কেমন যেন কালা হইয়৷ ইয়া উঠিল, তবু যে পাগ করা উত্তেজনার হাত বইতে লিয়াছে, শীতকালের প্রখর স্কন্দ্ৰ আলোকে যেমন বেদনাময় সে মুক্তি চাহিতেছিল, এই শারীরিক পরিশ্রম ও কষ্টই তাহা তার মুখ স্পষ্ট হইয় ফুটিয়া থাকে, তাহা আর নাই, এ টাই দিল। িয গিলক্ষিণকে মাঝে মাকে যখন বিধা ও নভেীরে বেলার কুয়াসার আলো, কেবল সম্ভাবনােৱ হিংসা পাইয়া বসিত তখন তিনি সারাদিন শিকার করিয়া আভাস দিতেছে শ্ৰান্ত হইয়া তাহাদেৱ হাত হইতে নিতি পাইতেন; নিজেকে বেশ নাড়া দিয়া জাগাইয়া তুলিবার জন্য টনার পুত্র শরীরের পথে এইটুকু পৰিশ্ৰমই ভাষা ভাষায় শরীয়টাকে চঞ্চল , করিয়া তোলা দরকার। বৃষ্টি শিকারের সমান। প্ৰকৃতির নিৰ্দো৷ আফিং প্রাত্তিতেই পঢ়িলেও বাহিৱে ৰাইতে যাইতে হইবে । সুথের তাহাদেয় মুক্তি হলঘরের | - ৬ষ্ঠ সংখ্যা] মসল্যাণ্ডস’ বাইতে হইলে জলচর ছাড়া সকল সময় ফাইবার এইটাই কৃষ্ট পাবলিয় তাহার ৰা জীবকেই একটু েছাট সুন্দর খিলান করা, কাঠের সাঁকো হইয়াছিল। শিকলে বাধা কুকুরটার জীবণীংকারোগ পায় হইতে হইত। টনা খন সেখানে পৌছিল, সূৰ্য্য উঠিয়া সে দেখিল, তাৰায় দেবপুতলি টনা আদিতে তখন মেঘের উপর জয়লাভ করিয়া গলীয় কুঁড়ের চারি. তাড়াতাড়ি উঠিয়া নীচু কুঁড়ের চালে প্ৰায় মাথা কিয়াই বারের লম্বা এম গাছগুলির কালের মাকে ফাঁকে রেী দরজার কাছে অভ্যর্থনা করিতে দুটা আসিল । ছড়াইতে ব্যস্ত ; আলোর পশে জলবিপুগুলি হীরা হইয়া তখন ক্লিষ্টপাটের সঙ্গে ভাৰ করিতে ব্যস্ত..। হাসিতেছিল ; দেওয়াল ও ছাদের গায়ের তার ভিতর মিঃ বেট্‌সের চুলে এখন পাক ধৰিয়াছে, কিন্তু শীর আলোর তাকে আগুন-বরণ ফুলগুলি আবার মাথা এখনো বেশ শক্ত আছে। গলায় জানো হালের পাত তুলিতেছিল। হাড়কাকগুলা নানারকম গলায় একঘেয়ে ললে মুখখানা আরো লাল দেখাইতেছিল, কোময়ে একখানা হয়ে কা কা জুড়ি দিছিল ; হোৱাও যেন সে দিন নীল কাপ চেহারায় বেশ একটা জানো থাকাতে মানুষের বুদ্ধির একটু ধীর পাইছিল, তাই বোধ হয় বাহার পুলিয়াছিল ঋতু পরিবর্তনের বিষয়ে কথা বলিবাহ হযোগটা ছাড়িতে ঃি বেট্‌ চীৎকার করিয়া বলি, ও হরি ছে পালি না। চারিধারে শ্যাওলা ও তাছার মাঝে-মকে চিনি-মণি, এমন দিনে তুমি কোথেকে । কাদা করতে বেশ ভিাছ বাট নাে দিনবেশ ভালােতে থাকেতােমায় েদখে েয তা । তবে যাহোক আমার কি আনন্দ হচ্ছে তাহার মতে শরীরের ভিতরটা রাখিলার ঔষধ আর কি ।, ওরে ও হোর, টিনার ছাতাটা নিয়ে মোদ জানিলে বাহিরের সামায় একটু ঠাণ্ডায় কিছু বিশেষ দিয়ে আয় ।" বুঢ়ী জো িয আসিয়া ছাতাটা লইয়া গেল । ক্ষতি হয় না। মিবেট্‌স আবার বলিল, “এস, এস, টিনিমণি, গৱে ল এই কুটারটি টিনার বড় প্ৰিয় কাকদের ভোইয়া অগুনের ধারে বসে প-টাগুলো গরম করে নাও, কচিগলায় কা কা করিতে-কবিতে ভিয়া ঘাসের মধ্যে আবার ঠাণ্ডা লেগে অসুখ করবে, একটু গরদ কিছু খাও ব্যাঙের লাধানি দেখিয়া ছোট হাত দুখানিতে তালি মি: বেট্‌স পথ দেখাইয়া দরজাগুলার কাছে মাথা থে দিতে দিতে টনা ঘনমিঃ বেটসের কোলে চড়িয়া আসিয়া করি আগে আগে চলিতে লাগিল। সিৰায় ঘৱে আৱা মালী হাসমুণীগুলোর ডাক শুনিয়া বিষয়ে বড় বড় েচথ কুসির উপরে নানা রঙের তালি েজাড়া বিট কাদি টি মেলিয়া থাকি, সেই সময় বইতেই এখানকার প্রতি- কুটিা মৃদ্ধ জ্বলন্ত আনের কাছে সরাইয়া দিল। সেখা। শব্দ প্ৰতি-অৰা তাহার পরিচিত আজ তাহার চোখে বসিলে বেশ মাম্বু পোড়া হওয়া যায় ইহারা হইয়া উঠিাছে তেমন আর কোনো যেমন সুন্দর টন বলিল, ধন্যবাদ বেট্‌ষ কাকা, আগুনেয় ত দিন হয় নাই। মিস আশারের এলাকা বাহিরে এ জায়গাটি কাছে চেয়ারটা দিও না, হেঁটে হেঁটেই বেশ গরম, তাহার হুবনমোহন রুপ, সভ্য-ব্য মতামত কিছুরই প্ৰভাৰ উঠেছি । * টনা ছেলেবেলার কাকা , জ্যাঠা ভাস্ক এখনো এখানে নাই । টিনা মনে করিয়াছিল মিঃ বেট্‌স এখনই ছাড়ে নাই থাইতে আসিবে না, তাহার অপেক্ষায় সে ততক্ষণ বসিয়া বেট্‌স বলি, “হা হা, তা তো হয়েছে, কিন্তু ক্ষো জোড়া যে ভিজে তপ তপ করছে, পা দুখানা এগিয়ে গ টিনার ধারণাটা কিন্তু ঠিক হয় নাই। আৱাম-কুটিার মধ্যে মুখে একথান মাল চাপা দিয়া মিঃ বেট্‌স পড়িয়া জোড়া চামচে । তুমি যে ওই পায়ের উপর ভর দিয়ে দাতা ছিল, ক্ষটির িদনে মানুষের দেিয় খাইবার উপাণ থাকে, কি করে তাই আমি েভবে পাই না। ধা, এখন পীঠ না, কাজেই সকাল সন্ধ্যায় খাওয়ার মাঝখানের অতটা বাজে গরম করবার জন্ধে কি থাবে বলে। দিয়া