বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SMMMAMMAAA AAASS একূলা-আকাশের ফ কটাকে ভর্তি করতে হবে, সেই প্রত্যাশাটা আমার সঙ্গে সঙ্গে লেগে আছে। দৈবের এই দাবীটিই আমার সম্মান ; একে রক্ষা করতে হ’লে পুরাপুরি দাম দিতে হবে। ভাই শূন্ত আকাশে এক্লা বসে ভাগ্য-নির্দিষ্ট কাজ ক’রে থাকি । তাতেই আমার হওয়ার অর্থটা বুঝি, কাজেই আনন্দ ও পাই। বাশির ফাক্ট যখন স্বরে ভরে ওঠে তখন তার আর কোনো নালিশ থাকে না। শরীরে মনে প্রাণের দক্ষিণ হাওয়া যথন জোরে বয় তখন সুত্ম-প্রকাশের দক্ষিণেই আমার যথেষ্ট পুরস্কার মেলে । কিন্তু ধর্থন ক্লান্তি আসে, যখন পথ ও পাথেয় দুইষ্ট যায় ক’মে অথচ সাম্নে পথটা দেখতে পাই হুদীর্ঘ, তখন ছেলেবেল থেকে ঘে-ঘর বঁাধবার সময় পাইনি সেই ঘরের কথা মন জিজ্ঞাসা করতে থাকে। তখনি আকাশের তার ছেড়ে দীপের আলোর দিকে চোখ পড়ে। জীবলোকে ছোট ছোট মাধুরীর দৃপ্ত যা তীরের থেকে দেখা দিয়ে সরে স’রে গিয়েছে চোথের উপরকার আলে! স্নান ত’য়ে এলে সেই অন্ধকারে তাদের ছবি ফুটে ওঠে, তখন বুঝতে পারি সেইসব ক্ষণিকের দেখা প্রত্যেকেই মনের মধ্যে কিছুনা-কিছু ডাক দিয়ে গেছে । তখন মনে হয়, বড় বড় কীৰ্ত্তি গ'ড়ে তোলাই যে বড় কথা তা নয়, পৃথিবীতে যে-প্রাণের যজ্ঞ সম্পন্ন করবার জন্যে নিমন্ত্রণ পেয়েছি তাতে উংসবের ছোট পেয়ালাগুলি রসে * ভীরে তোলা শুনতে সহজ, আসলে দুঃসাধ্য! এবারে ক্লান্ত দুৰ্ব্বল শরীর নিয়ে বেরিয়েছিলুম। তাই অন্তরে যে-নারী প্রকৃতি অন্তঃপুরচারিণী হ’য়ে বাস করে ক্ষণে ক্ষণে সে অাপন ঘরের দাবী জানাবার সময় পেয়েছিল। এই দাবীর মধ্যে আমার পক্ষে কেবল যে আরামের লোভ তা নয়, সার্থকতার আশাও রয়েছে। জীবন-পথের শেষদিকে বিশ্বলক্ষ্মীর আতিথ্যের জন্তে শ্রাস্ত চিত্তের যে-ঔংস্থক্য সে কেবল শক্তির অপচয় নিবারণের আগ্রহে, পাথেয় পূর্ণ ক’রে নেবার জন্তে । কাজের হুকুম এখনো মাথার উপর অথচ উদ্যম এখন নিস্তেজ, মন তাই প্রাণশক্তির ভাণ্ডারীর খোজ করে । শুষ্ক তপস্তার পিছনে কোথায় আছে অন্নপূর্ণর ভাওরে ? প্রবাসী-বৈশাখ, ১৩৩২ [ ২৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড দিনের আলো যখন নিবে আসছে, সামনের অন্ধকারে • যখন সন্ধ্যার তারা দেখা দিল, যখন জীবনযাত্রার বোঝা . খালাষ ক’রে অনেকখানি বাদ দিয়ে শুল্পকিছু বেছে নেবার জন্যে মনকে তৈরি হতে হচ্ছে ভগন কোনটা রেখে কোনট। নেবার জন্যে মনের ব্যগ্রত। . আমি তাই লক্ষ্য করে . দেখছি । সমস্ত দিন প্রাণপণ চেষ্টায় যা-কিছু সে জমিয়েছিল, গড়ে তুলেছিল, সংসারের হাটে যদি তার কিছু দাম থাকে তবে তা সেইখানেই থাকু, যারা অগেলে রাখতে চায় তারাই তার খবরদারী করুক ; রইল টাকা, রইল খ্যাতি, রইল কীৰ্ত্তি, রইল পড়ে বাইরে ; গোধূলির আঁধার যতই নিবিড় হয়ে আসছে ততই তারা ছায় হ’য়ে এল ; শর মিলিয়ে গেন্স মেঘের গায়ে র্যাস্তেব বর্ণচ্ছটার সঙ্গে । কিন্তু যে-অনাদি অন্ধকারের বুকের ভিতর থেকে একদিন এই পুথিবীতে বেরিয়ে এসেছি সেখানকাল প্রচ্ছন্ন উৎস থেকে উৎসারিত জলধারা ক্ষণে ক্ষণে আমার ধাত্ৰঃপথের পাশে পাশে মধুর কলস্বরে দেখা দিয়ে তৃষ্ণ মিটিয়েছে, আমার তাপ জুড়িয়েছে, আমবি পূলে ধুয়ে দিয়েছে, সেই তীর্থেব জল ভরে রইল আমার স্মৃতির পত্রিখানি । সেই অন্ধকার অপরিসীমব হৃদয়কন্দর থেকে বারবার লে বশিব ধ্বনি গামার প্রাণে এসে পৌছেছিল, কত মিলনে, কর পিরছে. বেলায়, বসন্মের সায়াঙ্গে, বর্ষাব নিশীথ রাত্রে ; কত ধ্যানের শাস্থিতে, পূজার আত্মনিবেদনে, দুঃখের গভীরতায়ণ কত দানে, কত গ্রহণে, কত ত্যাগে, তার আমার দিনের পথে স্বর ২’য়ে বেঞ্জেছিল, আজ তারাই আমার রাত্রের পথে দীপ হয়ে জ'লে উঠছে । সেই অন্ধকারের ঝরণা থেকেই আমার জীবনের অভিষেক, সেই অন্ধকারের নিন্তব্ধতার মধ্যে আমার মৃত্যুর আমন্ত্রণ : আজ আমি তাকে বলতে পারব, হে চিরপ্রচ্ছন্ন, আমার মধ্যে যা-কিছু তুমি তোমার গভীরের ভিতর থেকে তারার মতো প্রকাশ করেছ, রূপে ও বাণীতে, তাতেই নিত্যকালে অমৃত ; আমি খুজে খু’জে পাথর কুড়িয়ে কুড়িয়ে কীক্টিং যে-জযস্তম্ভ গেঁথেছি, কালস্রোতের ভাঙনের উপরে তার ভিখ। সেইজন্তেই আজ গোধূলির ধূসর আলোয় একূল

  • r.

কত কান্নায়, ক'ত হাসিতে ; শরন্থের ভে{ কত সেবায়,—