পাতা:চিদ্বিলাস - বিনয় কুমার সান্যাল.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
বেদান্ত দর্শন।
৪৫

হয় তাহা এইরূপ;—অজ্ঞান প্রথমে আবরণ শক্তি দ্বারা আমাদের রজ্জুর বোধকে আচ্ছন্ন করে এবং পরে বিক্ষেপ শক্তি দ্বারা তাহাকে সর্পরূপে প্রকাশ করে। সেইরূপ অজ্ঞান প্রথমে ব্রহ্মকে বা আত্মাকে আবরণ করে ও পরে তাঁহাতেই প্রপঞ্চ জগতের বোধ করায়। এই অনাত্মাকে আত্মজ্ঞান অযথার্থকে যথার্থজ্ঞান, ব্রহ্মতে জগৎ জ্ঞান, আত্মাতে কর্ত্তৃত্ত্ব, ভোক্তৃত্ব ইত্যাদি জ্ঞানের নাম অধ্যাস। সুখ, দুখ, রাগ, দ্বেষ, কর্ম্মফল,জন্ম, মৃত্যু প্রভৃতি সমস্তই অধ্যাস বশতঃ ঘটিয়া থাকে। বস্তুতঃ আত্মজ্ঞান হইলে এ সমস্ত কিছুই থাকে না। ব্রাহ্মণত্ব, ক্ষত্রিয়ত্ব, শাস্ত্র, অশাস্ত্র, পাপ, পুণ্য, ভাল, মন্দ সমস্তরই অবসান হয়, কারণ সকলই অধ্যাসমূলক।

 এক্ষণে প্রশ্ন হইতে পারে যে সত্যেতে মিথ্যার ন্যায় আলোকেতে অন্ধকারের ন্যায় আত্মাতে কিরূপে অবিদ্যার সম্ভব হয়। তদুত্তরে শঙ্কর একটিমাত্র উপমা দিয়াছেন। দিবাভাগে প্রচণ্ড সূর্য্যালোক থাকে, তখন আলোকের কিছুমাত্র অভাব থাকে না, পরন্তু পেচক তখন দেখিতে