পাতা:প্রবাসী (চতুস্ত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sంబ BS , Bağ いもリさ正証リー সভাপতি হুইবার কথা ছিল। তিনি হঠাৎ পীড়িত হওয়ায় গবৰ্ম্মেণ্ট ও কংগ্রেস আলোমার রাজ্যের প্রধান বিচারপতি পত্তিত রামভদ্র বা, এম-এ, এলএল-বি, সভাপতির আসন গ্রহণ করেন। বেকার অবস্থা ও:সন্ত্রাসনবাদ বেকার অবস্থা সম্রাসনবাদের একমাত্র বা অনু্যতম মুখা কারণ নহে। যেসব স্কুল-কলেজের ছাত্র সন্ত্রাসক বলিয়া পুলিস কর্তৃক ধৃত হয়, তাহারা উপার্জক বা বেকার কোন শ্রেণীরই অন্তর্গত নহে। বেকার অবস্থাকে সন্ত্রাসনবাদের একমাত্র বা প্রধান কারণ বলিলে, যাহ। প্রধান কারণ তাহা হইতে চোপ ফিরাইয়া লণ্ডয়া হয়। দেশের অপেক্ষাকৃত হীন রাষ্ট্ৰীয় অবস্থা এবং তাহার উন্নতির উপায় ও সম্ভাব্যতা সম্বন্ধে নৈরাপ্ত বা আশার অল্পত সন্ত্রাসনবাদের অন্ততঃ একটি প্রধান কারণ বলিয়া আমাদের মনে হয়। যেসকল অবস্থার অস্তিত্বে সন্ত্ৰীসক দলের কিছু বাড়িবার সম্ভাবনা ঘটে বেকার অবস্থা সম্ভবতঃ তাহার অন্যতম। সন্ধাসক কার্য রাষ্ট্রীয় ইন দশ বা বেকার অবস্থা কিছুরই প্রতিকার লহে । - পালেমেণ্টারী বোর্ডে নারীর অল্পতা পঞ্জাবের একটি কাশ্মীরী ব্রাঙ্কণ মহিলা মিসে এল আৰু জুংমী (জ্যোতিষী) অভিযোগ করিয়াছেন, যে, মহিল কংগ্রেস কৰ্ম্মীরা জেলে ঘাইবার ও অন্যান্ত লাঞ্ছনা ভোগ করিবার যোগ্য বিবেচিত হন, কিন্তু কংগ্রেসের পালেমেন্টার বোর্ডে মােটে এক জন মহিলাকে—শ্ৰীমতী সরোজনী নাইডুকে -লওয়া হইম্বাঙ্কে । তিনি ঐ বোর্ডে আরও মহিলা-সদস্য চান। দাবিটি সঙ্গত । - দক্ষিণ-আফ্রিকায় ছদ্মবেশী শ্বেত স্বার্থপরতা দক্ষিণ-আফ্রিকার শ্বেতদের দ্বট রাজনৈতিক মূল আছে ; একটার নেতা মি: হার্টজগ ; অন্তটার সেনাপতি স্মটুিস। তাহারা উভয় দলকে সম্মিলিত করিয়া বলিতেছেন, যে, দক্ষিণ-আফ্রিকায় এশিয়াটিকু ( অর্থাৎ প্রধানতঃ ভারতীয় ) দিগের বিরুদ্ধে শ্বেত ও রঙীন (coloured অর্থাৎ নিগ্রে প্রভৃতি আফ্রিকাবাপীদিগের রক্ষা করিবার চেষ্টা তাহার করিবেন। নিগ্লোরা ভারতীয়দিগের হাত হইতে রক্ষিত হইতে কখনও চায় নাই, কারণ ভারতীয়রা তাহদের প্রতিদ্বন্দ্বী নহে, উৎপীড়কও নহে। ভাহারা শ্বেতদের হাত হইতে রক্ষ চায়। শ্বেতর তাহাদিগকে মনুষোচিত অধিকার হইতে বঞ্চিত রাধিয়াছে, কার্যতঃ দাস করিম রাগিয়াছে । ব্যবসাবাণিজ্যক্ষেত্রে ভারতীষ্মের শ্বেতদের প্রতিযোগী । এই জন্য শ্বেতর তাহাদিগকে তাড়াইতে চায়। তাঁহাই অংশতঃ নিগ্রোরক্ষার ছলে করিতে হুইবে । কংগ্রেগ-সম্পৃক্ত যেসব সমিতি কমিটি বেআইনী বলিয়া গবন্মেটি তাহীদের ক্রিয়াকলাপ নিষিদ্ধ করিয়াছিলেন, অম্বারা আর যে-আইনী বিবেচিত হইবে না, গধৰ্ম্মেটি এইরূপ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করিয়াছেন । তবে, তাহারা আবার কোন বে-আইনী কাজে লিপ্ত হইগে আছাঁদের উপর নিষেধ বৰ্ত্তিৰে । অবশু । উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের লাল কোর্তা { red shirts ) দলকে কিন্তু সরকার বে-আইনীই রাথিয়াছেন, কারণ তাহারা “বিপ্লবী,” কিন্তু কংগ্রেসূও ত বিপ্লব ঘটাইবার চেষ্টায় ছিল । লাল কোৰ্বারা কংগ্রেসেরই মত অহিংসপন্থী ছিল ; কংগ্রেসেরই মত তাহাঁদেরও আইন লঙ্ঘন চেষ্টা থামিয়া গিয়াছে। তাহারা নামে না হইলেও কাজে কংগ্রেসেরই অঙ্গীভূত ছিল। স্বতরাং কংগ্রোস ও লাল কোর্তায় প্রভেদ করা যুক্তিসঙ্গত নহে। অবশ্ব, ইহা একটা ঐতিহাসিক তথ্য বটে, যে রণকুশল ও রণপ্রিন্থ পঞ্জাব ও উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে বরাবরই দমননীতির প্রকোপ বেশী । বদি সেই তথ্যের সহিত সঙ্গতি রক্ষার্থ লাল কোপ্তাদের সম্বন্ধে ব্যবস্থা আলাদা রকম হইয়া থাকে, তবে তাহার অর্থ বুঝা যায়। কংগ্রেসের সম্পত্তি সম্বন্ধে দু-রকম ব্যবস্থা হইয়াছে। যাহা গধন্মে ণ্ট বাজেয়াপ্ত করিয়াছেন তাহ ফিরাইয়া দিবেন ন, যাহা কেবল দখল করিয়াছেন তাহ ফিরাইয়া দিবেন। ইহা অনেকটা কথার মারপেচ মাত্রে। ইহার তারিফ করিতে পারিলাম না । ইহা অবশু সত্য বটে, যে, গবন্মেটি কর্তৃক দখলীকৃত কংগ্রেসের ঘরবাড়ি ইত্যাদি ফেরত দেওয়৷ লোজা, কারণ সেগুলা সশরীরে বিদ্যমান আছে ; কিন্তু বাজেয়াপ্ত কংগ্রেসের টাকাকড়ি ফেরত দেওয়া কঠিন, কারণ তাহ অঙ্গ সরকারী টাকাকড়ির সঙ্গে মিশিয়া গিয়া খরচ হুইয়া গিয়াছে। কিন্তু তাহাও ফেরত দেওয়৷ গবন্মেণ্টের পক্ষে অসাধ্য ও নহেই, দুঃসাধ্য নহে। অতএব, দখলীকৃত ও বাজেয়ার্থী দু-রকম কংগ্রেস সম্পত্তিই সরকার ফেরত দিলে ভাল হয়। আইন-অমান্যকারী কংগ্রেসওয়ালা আর ১২•• মাত্র এখন জেলে আছেন। তাছাদের মধ্যে যাহারা বলিবেন, খালাস হইয়া আর আইন অমান্য করিব না, গথন্মেস্ট তাহাদিগকে ছাড়িয়া দিবেন। যত কৰ্ম্মিষ্ঠ কংগ্রেসওয়াল জেলের বাহিরে আছেন এবং যাহারা পাটনার সভায় উপস্থিত ছিলেন, তাহার। ত কেহই আইনলঙ্ঘনপ্রচেষ্টার পুনরারম্ভের পক্ষে মত প্রকাশ করেন নাই—তাহার প্রায় সকলেই জেলেও গিয়াছিলেন। স্বতরাং যে-সৰ কংগ্রেসওয়াল আইনলঙ্ঘক জেলে আছেন, তাহারাও খালাস পাই৷ আর আইন অমান্ত করবেন না, ইহা ধরিয়া লইয়া গবন্মেণ্ট তাহাদিগকে খালাস দিতে পারিতেন। উহাদের প্রত্যেকের কাছে প্রতিশ্রুতি লইবার ইচ্ছ। মহানুভবতার