পাতা:প্রবাসী (ষড়বিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

را نیb با তৎপর বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ উপাধি লাভ করিবার জন্ত বিজ্ঞানকলেজে প্রবিষ্ট হন এবং ১৯২২ সালে এম-এসসি পরীক্ষায় সৰ্বোচ্চ স্থান অধিকার করেন । ীেবনের প্রারস্তেই বিজ্ঞানের সেবায় নিজেকে সম্পূর্ণ ভাবে নিয়েজিন্ত করিলেও তিনি কখনও মাতৃভাষা-চর্চায় বিমুখ ছিলেন না। তিনি *প্রবাসী" ও অন্ত মাসিক পত্রে নানরূপ বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধাদি লিখিয়া অল্পবয়সেই সুধীসমাজে যুশ অর্জন করেন। বৈজ্ঞানিক গবেষণা দ্বারা ইনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড: জ্ঞানেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের মৌলিক গবেষণার ভিত্তি দৃঢ়তর করেন এবং তাহার এই গবেষণ লণ্ডন কেমিক্যাল সোসাইটার পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। “নেচার’ নামক বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক পত্রিকায় হঁহাদের কায্যের বিশেষ প্রশংসা বাহির হয়। বাণীর বরপুর হইয়াও ইহার দারিদ্রগু:থ কিছুমাত্র মোচন হয় নাই। ইনি ২রা জুলাই জীবনের অবসান করেন। বাচিয়া থাকিলে এই প্রতিভাশালী যুবক দেশের মুখোম্বুল করিতেন । কৃষ্ণভাবিণা নারী-শিক্ষামন্দির চন্দননগরে সম্প্রতি নারীশিক্ষার জন্য কুম্ভীবিনী নারী-শিক্ষা মন্দির নামে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হইয়ছে । প্রাচীন কাল ইষ্টতে চন্দননগর বহু সদনুষ্ঠানে অগ্রণী । এই শিক্ষালয় প্রতিষ্ঠা চন্দননগর, কৃষ্ণভাবিনী নারী-শিক্ষণমন্দির তথা বাংলা দেশের গৌরবের বিষয় | সৎকাৰ্য্য-পরায়ণ সাহিত্যিক *যুক্ত হরিহর শেঠ মহাশয় ইহার প্রতিষ্ঠাকার্য্যে বিশেষ সহায়ত করিয়াছেন । চন্দননগরে ১২ই আষাঢ় “কৃষ্ণভকিনী নারী-শিক্ষ-মন্দির” নামে নারীদিগের শিক্ষার একটি কেন্দ্ৰ তইয়াছে। এই শিক্ষ-মন্দির প্রতিষ্ঠার উদ্বোধন উপলক্ষে যে সভার অধিবেশন হইয়াছিল তাঁহাতে চুচুড় হুগলী শীবামপুর, উত্তরপাড়া, কলিকাত প্রভৃতি স্থান হইতে অনেক, গুলি গণ্যমান্ত ব্যক্তি উপস্থিত হইয়াছিলেন এবং tণননগরের কতিপয় উচ্চপদস্থ ফরাসী কৰ্ম্মচারীও উপস্থিত ছিলেন। সভাপতি প্রবাসী—শ্রোবণ ১৩৩৩ [ ২৬শ ভাগ, ১ম খণ্ড হইয়াছিলেন স্থানীয় জজ মশিয়ে গুfানো । শ্ৰীমতী সরলা দেবী চৌধুরাণী শিক্ষা মন্দিরের প্রতিষ্ঠার কার্য্য সম্পন্ন করেন। স্থানীয় মেয়র শ্ৰীযুক্ত নারাণচন্দ্র দে চন্দননগর অধিবাসীদের পক্ষ হইতে দাতাকে ধন্যবাদ দিয়া একটি যক্ত তা পাঠ করেন। তাষ্ঠীর বক্তত হইতে জানা যায় যে, এই শিক্ষা-মন্দিরের অট্টালিকা নিৰ্ম্মাণ ও শিক্ষার বয়ের জন্ত শ্ৰীযুক্ত হরিচর শেঠ সৰ্ব্ব মেত এক লক্ষ পচাত্তল হাজারের উপর টাকা দান করিয়াড়েন এবং এই দান চন্দননগর পুস্তকাগারে দান ও চন্দননগর পুস্তকাগারের বাড়ি সম্বলিষ্ঠ তাতার পিতৃনামের স্মৃতিমন্দির স্বরূপ চন্দননগরের টাউন হল, দাতবা চিকিৎসালয়, একটি বালকদের ও একটি ছোট মেয়েদের জন্ম দুইটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রভৃতি দানেরষ্ট অন্যতম । সভাপতি মহাশয় হবিস্তুর-বাবুর দানে কথা সবিশেষ উল্লেখ করিয়৷ অশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন । তিনি আশা করেন, দেশের নাপ্পী বিদ্যালয় সমুহের মধ্যে এই নারী শিক্ষ। প্রতিষ্ঠান বিশেষ স্থান অধিকার করিবে এবং এই শিক্ষাপীঠ হইতে শিক্ষিত মেয়ের সমাজের ও দেশের অনেক উপকারে আসিবে । সভাপন্থি মহাশয়ের বক্ত তার পরে শ্রীমতী সরল দেী চৌধুপীণী বহু ত৷ করিয়া শিক্ষ{-মন্দিরের দ্বীর উদঘাটন করেন । তিনি এই শিক্ষ।-মন্দিরের স্থানীয় সৌন্দর্য্যে ও ইহ। যে শিক্ষা মন্দির” —এই ভাবটিতে বিশেষ আকৃষ্ট হইয়াছেন বলিয়। উল্লেখ করেন। শযুক্ত হরিচর-বার বস্তুত। অনেক প্রয়োজনীয় ও জ্ঞাতব্য কথায় পূর্ণ ছিল। প্রথমে এই মারা শিক্ষার ব্যবস্থা করিতে ফরাসী আইনের জন্ম তিনি কিরূপ বাধা প্রাপ্ত হইয়াছিলেন তাহার উল্লেখ করেন । স্ত্রী-শিক্ষ। কিরূপ ভাবে হইতে পারে তাহ নিৰ্দ্ধারণ করিতে তিনি অনেক আয়ুস করিয়াছেন—"প্রবাসী"তে পুরস্কার ঘোষণা করিয়া স্ত্রী-শিক্ষা সম্বন্ধে অভিমত সংগ্রহের চেষ্টা করিয়াছিলেন, কিন্তু তাহাত বিশেষ কোন ফুল হয় নাই ( প্রথমে তিনি মনে করিয়াছিলেন, বালিকাদিগের ছদ্য কতকগুলি প্রাথমিক বিদ্যালয় চন্দননগরে স্থাপন করিবেন, কিন্তু পরে একটি আদর্শ ধরণের বিদ্যালয় স্থাপনৰ কথাই স্থির হয়। এবিদ্যালয়টি বে ঠিক্‌ প্রচলিত হাই স্কুলের মত হইবে তাহ নয়, যদিও এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার জন্ত প্রয়োজন মত ছাত্রীদের শিক্ষণ দেওয়া হইবে, কিন্তু ইহার প্রধান উদেশ্ব মেয়েদের উপযুক্ত ভাবে গড়িয়া তুলিবার জন্য যে-ভাবে শিক্ষ। দেওয়া প্রয়োজন, সেইভাবে শিক্ষা দিবীর চেষ্ট করা। এই শিক্ষামন্দিরের সহিত একটি পুর-স্ত্রী বিভাগ খুলিবার কথা আছে। তাহ দ্বাং ভবিষ্যতে পুরস্ট্রীদিগের উন্নতিকল্পে বিশ্যে সহায়ত হইবার আশা কর! যায়। শিক্ষ-মন্দিরের মধ্যে মেয়েদের বাসের উপযোগী বোর্ডিংয়েরও ব্যবস্থ হইয়াছে । C2)