(ভৈরবী, জংলা জৎ)
তুমি ত জান মা সকল, আমি তোমার পাগল ছেলে;
রাজা উজির মানি না মা তোমার কথা মনে প’লে।
যেমন চালাও তেম্নি চলি, যেমন বলাও তেম্নি বলি,
মোক্ষপদ পায়ে ঠেলি, তোমার কোলে যাব ব’লে॥
করেছ সংসারের ওছাঁ, তবু কিন্তু মায়ের বাছা,
(জানি) মা ব’লে কাঁদিলে কালী বাবা ব’লে নিবি কোলে।
(তাই) ধর্ম্ম কর্ম্ম সকল ভুলে, কাঁদি কেবল মা মা ব’লে,
(ভাল) দিয়েছ ত গাছে তুলে, (যেন) মই কেড়ো না নিদানকালে। ১৯॥
(ভৈরবী, জৎ)
(আমার) বাপের নাম ভিখারী ভোলা, মায়ের নাম রাজরাজেশ্বরী;
(আমি) রেতে সাজি রাজপুত্র, দিনের বেলায় দীন-ভিখারী।
আমি যেমন বাপের বেটা, আমার তুল্য আছে কেটা,
শিবের ত সার সিদ্ধিঘোঁটা, (আমি) পঞ্চবঙ্গে মেতে ফিরি॥
আমি মা’র আদুরে ছেলে, সদাই ফিরি মায়ের কোলে,
পুজো পাঠা যুঠে গেলে, ভোগের আগে প্রসাদ মারি॥
বৎসের পাছে গাভী যেমন, মোর পাছে মা আছে তেমন,
যখন দেখি এমন তেমন, (অম্নি) মায়ের গলা জড়িয়ে ধরি। ২০॥
(জংলা, বেতালিক)
[গ্রন্থ কারের নিদারুণ পীড়ার সময়ে রচিত]
তোমার ঔষধে কাজ নাই, যাও হে বৈদ্য ভাই,
আমি আর কি রে ডরাই, ওই দ্যাখ্, মা আমার শিওরে।
তোমার কথায় ত ভুলবো না রে,—