পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ঊনবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষরক্ষা Sఏ) পাওয়া ধন আনমনে হারাই যে অযতনে, হারাধন পেলে সে যে হৃদয়-ভরা । আপনি যে কাছে এল দূরে সে আছে, কাছে যে টানিয়া আনে সে আসে কাছে । দূরে বারি যায় চ’লে, লুকায় মেঘের কোলে, তাই সে ধরায় ফেরে পিপাসাহরা। কমল । ওই ক্ষাস্তদিদি আসছেন। ( বিনোদের প্রতি ) তোমার সাক্ষাতে উনি বেরোবেন না । [ বিনোদের প্রস্থান ক্ষান্তমণির প্রবেশ ক্ষান্তমণি । তা বেশ হয়েছে ভাই, বেশ হয়েছে। এই বুঝি তোর নতুন বাড়ি। এ যে রাজার ঐশ্বর্য ! তা বেশ হয়েছে। এখন তোর স্বামী ধরা দিলেই আর কোনো থেদ থাকে না । ইন্দু। সে বুঝি আর বাকি আছে ? স্বামী রত্নটিকে আগে-ভাগে ভাড়ারে পুরেছেন। ক্ষান্তমণি । আহা, তা বেশ হয়েছে, বেশ হয়েছে । কমলের মতো এমন লক্ষ্মীমেয়ে কি কখনো অসুখী হতে পারে ? ইন্দু। ক্ষান্তদিদি, তুমি যে ভর-সন্ধের সময় ঘরকন্না ফেলে এখানে ছুটে এসেছ ? ক্ষান্তমণি। আর ভাই, ঘরকন্ন ! আমি দু দিন বাপের বাড়ি গিয়েছিলুম, এই ওঁর আর সন্থ হল না। রাগ ক’রে ঘর ছেড়ে, শুনলুম, তোদের এই বাড়িতে এসে রয়েছেন। তা, ভাই, বিয়ে করেছি বলেই কি বাপ মা একেবারে পর হয়ে গেছে? দু দিন সেখানে থাকতে পাব না ? যা হোক, খবরটা পেয়ে চলে আসতে হল। ইন্দু। আবার তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে বুঝি ? ক্ষাস্তমণি । তা, ভাই, একলা তো আর ঘরকন্না হয় না । ওদের যে চাই, ওদের ষে নইলে নয়। নইলে আমার কি সাধ ওদের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক রাখি ? ইন্দু। ওই যে ওঁরা আসছেন। এসো এই পাশের ঘরে। [ প্রস্থান