পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্দশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৩০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भोडिमिएकछन : {9} আমরাও দেখেছি আমাদের আনন্দের কর্মের মধ্যেই আমরা মুক্ত । আমরা প্রিয়বন্ধুর ষে কাজ করি সে কাজ আমাদের দাসত্বে বদ্ধ করে না। শুধু বদ্ধ করে না তা নয় সেই কৰ্মই আমাদের মুক্ত করে। কারণ, আনন্দের নিক্রিয়তাই তার বন্ধন, কর্মই তার মুক্তি । o 确 : * , তবে কর্ম কখন বন্ধন ? যখন তার মূল আনন্দ থেকে সে বিচ্যুত হয়। বন্ধুর বন্ধুত্বটুকু যদি আমাদের অগোচর থাকে যদি কেবল তার কাজমাত্রই আমাদের চোখে পড়ে তবে সেই বিনাবেতনের প্রাণপণ কাজকে তার প্রতি একটা ভয়ংকর অত্যাচার বলে আমাদের কাছে প্রতিভাত হবে । . . কিন্তু বস্তুত তার প্রতি অত্যাচার কোনটা হবে ? যদি তার কাজ বন্ধ করে দিই । কারণ কর্মের মুক্তি আনন্দের মধ্যে এবং আনন্দের মুক্তি কর্মে। সমস্ত কর্মের লক্ষ্য আনন্দের দিকে এবং আনন্দের লক্ষ্য কর্মের দিকে । এইজন্ত উপনিষং আমাদের কর্ম নিষেধ করেন নি। ঈশোপনিষৎ বলেছেন, মাকুব কর্মে প্রবৃত্ত হবে না এ কোনোমতে হতেই পারে না । এইজন্ত তিনি পুনশ্চ বলেছেন যারা কেবল অবিস্তায় অর্থাৎ সংসারের কর্মে রত তারা অন্ধকারে পড়ে, আর যারা বিষ্ঠায় অর্থাৎ কেবল ব্ৰহ্মজ্ঞানে রত তারা ততোধিক অন্ধকারে পড়ে । به এই সমস্তার মীমাংসাস্বরূপ বলেছেন কর্ম এবং ব্রহ্মজ্ঞান উভয়েরই প্রয়োজন আছে । बबिन्नद्रा श्रृष्ट्रा डोर1 विन्नद्राबूठबन्नुष्ड । करबिं बांब वृट्र छैडोfश्tब्र विद्यांशबा औव जवृठ नाछ करब्र । ব্ৰহ্মহীন কর্ম অন্ধকার এবং কর্মহীন ব্ৰহ্ম ততোধিক শৃষ্ঠত। কারণ, তাকে নাস্তিকতা বললেও হয়। যে আনন্দস্বরূপ ব্ৰহ্ম হতে সমস্ত কিছুই হচ্ছে সেই ব্ৰহ্মকে এই সমস্ত-কিছু-বিবর্জিত করে দেখলে সমস্তকে ত্যাগ করা হয়, সেই সঙ্গে তাকেও ত্যাগ করা হয় । যাই হ’ক জানন্দের ধর্ম যদি কর্ম হয় তবে কর্মের দ্বারাই সেই আনন্দস্বরূপ ব্রহ্মের সঙ্গে আমাদের যোগ হতে পারে। গীতায় একেই বলে কর্মযোগ । . . . কর্মযোগের একটি লৌকিকরূপ পৃথিবীতে জামরা দেখেছি। সে হচ্ছে পতিব্ৰতা স্ত্রীর সংসারাত্রা। সতী স্ত্রীর সমস্ত সংসার-কর্মের মূলে জাছে স্বামীর প্রতি প্রেম ; স্বামীর প্রতি আনন্দ। এইজন্ত, সংসারকর্মকে তিনি স্বামীর কর্ম জেনেই আনন্দ বোধ করেন—কোনো ক্রীতদাসীও তার মতো এমন করে কাজ করতে পারে না। এই কাজ যদি একান্ত র্তার নিজের প্রয়োজনের কাজ হত তাহঙ্গে এর ভার বহন করা তার পক্ষে