পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (চতুর্বিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৪৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় 8b^రీ বাসাবদল কবিতার একটি পূর্ববর্তী পাঠে পাণ্ডুলিপিতে স্বচনাংশ নিম্নমূত্রিত আকারে পাওয়া যায়— এল এবার জিনিস প্যাকের দিন । বালিগঞ্জে বাসা ছেড়ে যাব ব্যারাকপুরে। অবিনাশের আমুকুল্য এই দশাতেই জোটে চাইতে না চাইতেই, কাজ পেলে সে ভাগ্য বলেই মানে, খাটে মুটের মতো। আর সবারে বোঝা তো নয় সহজ ব্যাপার, কেবল জানি এই অবিনাশ নিতান্ত নিশ্চিত সময় অসময়ে । বিমুখী বান্ধবা যান্তি শুনি নাকি ধর্ম কেবল থাকে আর এই অবিনাশ । জিনিসপত্র ছড়াছড়ি, লাগল ক’ষে আস্তিন গুটিয়ে । ওডিকলোন মুড়ে নিল পুরোনো এক আনন্দবাজারে ইত্যাদি। তৎপূর্বের অন্ত একটি পাণ্ডুলিপিতে বাসাবদল (৯৬) ও পরিচয় (পৃ ১০৫ ) এই উভয় কবিতার গদ্যছন্দে-লিখিত একটি অবিচ্ছিন্ন আদিপাঠ পাওয়া গিয়াছে। অপ্রকাশিতপূর্ব এই রচনাটির নাটকীয় স্বসম্পূর্ণত কবিতা দুইটির রসগ্রহণে পাঠকদের সবিশেষ সাহায্য করিবে বলিয়া মনে হয়— নমস্কার কবি। চিনতুম না তোমাকে, চেয়েছিলুম চিনতে, চেনা হয়ে গেছে, আর বেশি সইত না, দাড়ি পড়েছে ঠিক জায়গায়। বাঙালীর মেয়ে, অত্যন্ত করে জানি ঘরের লোকদের। লোভ ছিল অজানা জগতের পরিচয়ে । বয়স ছিল কাচ, সদ্য বেরিয়েছি কলেজের মধ্যপথ থেকে। আমার বিশ্ববৃত্তান্তে সব চেয়ে অজানা রহস্ত কবি। তখনো চোখে দেখি নি, অনিলবাবু, তোমাকে। পড়েছি তোমার লেখা, ছবি এসেছে মনে, স্বপ্নের ঘোড়ায় চড়ে তুমি খুঁজতে বেরিয়েছ তোমার মানসীকে।