পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ত্রয়োবিংশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्ररौञ्ज-ब्रध्नावलौ في والا সদাগর। ও কী কথা। বাণিজ্য ও যে তুমি সদাগরের মন্ত্র আওড়াচ্ছ । রাজপুত্র । সাজিয়ে নিয়ে জাহাজখানি বসিয়ে হাজার দাড়ি কোন পুরীতে যাব দিয়ে কোন সাগরে পাড়ি । কোন তারক। লক্ষ্য করি কুল-কিনারা পরিহরি কোন দিকে যে বাইব তরী বিরাট কালে নীরে – মরব না আর ব্যর্থ আশায় সোনার বালুর তীরে । সদাগর। অকুলের নাবিকগিরি করে নিরুদ্দেশ হওয়া, এ তো বাণিজ্যের বাস্তা নয় । খবর কিছু পেয়েছ কি । রাজপুত্র। পেয়েছি বই কি । পেয়েছি আভাসে, পেয়েছি স্বপ্নে । নীলের কোলে শু্যামল সে দ্বীপ প্রবাল দিয়ে ঘেরা । শৈলচুড়ায় নীড় বেঁধেছে সাগরবিহঙ্গেরা। নারিকেলের শাখে শাখে ঝোড়ো হাওয়া কেবল ডাকে, ঘন বনের ফাকে ফঁাকে বইছে নগনী । সাত রাজার ধন মানিক পাবই সেথায় নামি যদি ৷ সদাগর । তোমার গানের স্বরে বোঝা যাচ্ছে, এ মানিকট তো সদাগরি মানিক নয়, এ মানিকের নাম বলো তো । রাজপুত্র । নবীন ! নবীন ! সদাগর। নবীন ! এতক্ষণে একটা স্পষ্ট কথা পাওয়া গেল । রাজপুত্র। স্পষ্ট হয়ে রূপ নিতে এখনো দেরি আছে।