পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (পঞ্চদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মন্থয় উত্তর জীবনের সর্বোত ফুর্তের পরে জীবনের সর্বোত্তম বাণী যেন ঝরে কণ্ঠ হতে নির্বারিত স্রোতে । যাহা মোর অনির্বচনীয় তারে যেন চিত্ত-মাঝে পায় মোর প্রিয় । সময় ফুরায় যদি, তবে তার পরে শান্ত হ’ক সে-নিবার নৈঃশব্যের নিস্তব্ধ সাগরে । ২৩ অগস্ট ১৯২৮ প্রতীক্ষা তোমার প্রত্যাশা লয়ে আছি প্রিয়তমে, চিত্ত মোর তোমারে প্রণমে । অয়ি অনাগতা, অয়ি নিত্য প্রত্যাশিত, হে সৌভাগ্যদায়িনী দয়িতা । সেবাকক্ষে করি না আহবান ;— শুনাও তাহারি জয়গান যে-বীৰ্য বাহিরে ব্যর্থ, যে-ঐশ্বর্য ফিরে অবাঞ্ছিত, চাটুলুব্ধ জনতায় যে-তপস্যা নির্মম লাঞ্ছিত। দীর্ঘ এ দুর্গম পথ মধ্যাহ্নতাপিত, অনিদ্রায় রজনী যাপিত । শুষ্কবাক্যবালুকার ঘূর্ণিপাক-ঝড়ে পথিক ধুলায় শুয়ে পড়ে। নাহি চাহি মধুর শুশ্ৰষা, হে কল্যাণী, তুমি নিষ্কলুষা, তোমার প্রবল প্রেম প্রাণভরা স্বষ্টির নিশ্বাস, উদ্দীপ্ত করুক চিত্তে উর্ধ্বশিখা বিপুল বিশ্বাস। 8 &